কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে সারাদেশ। ঘর থেকে বের হলে এক হাত সামনে কী আছে সেটাই দেখা যায় না। ওয়েদার অ্যাপে চোখ ফেললে মনে হবে বাংলাদেশ নয়, ইউরোপের কোনো শীতল দেশে রয়েছেন। ইউরোপে এমন শীত পড়লে কর্তৃপক্ষ হয়তো তিন দিনের জন্য স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করত, ছাত্রছাত্রীদের পরিবারের সঙ্গে থাকার পরামর্শ দিত।
ঠিক এই অবস্থাতেও অনেকেই ঘর থেকে বের হচ্ছেন, এমন খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যেই একজন উইড খান, যিনি আজ উত্তরায় ঘুরতে গিয়ে এক অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন। তিনি জানিয়েছেন, দূর থেকে হিমালয় দেখা যাচ্ছে! কয়েক কদম এগোলেই বেইজ ক্যাম্প, আর একটু সামনে গেলে হাত-পা জমে যাওয়ার অবস্থা।
উইড খান ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন,এই যে দূরে হিমালয় দেখা যাচ্ছে, হঠাৎ এত ঠান্ডা লাগার কারণ বের করতেই বের হয়েছিলাম। উত্তরায় এসে দেখলাম হিমালয়ের বাংলাদেশ বেইজ ক্যাম্প! সাদা বরফে ঢাকা হিমালয়কে এত কাছ থেকে দেখব, ভাবতেও পারিনি। এর পুরো কৃতিত্ব আমার বন্ধুকে, যে আমাকে গতকাল বাসা থেকে বের করে দিয়েছিলো।
হিমালয় পাকাপোক্ত ভাবে বাংলাদেশে চলে এসেছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে রাতের অন্ধকারে হিমালয় মাইগ্রেট করার খবরে নেপাল ও ভুটানে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। উভয় দেশের অভিযোগ, বাংলাদেশ জোরপূর্বক হিমালয় গুম করেছে। নেপাল ও ভুটানের গুর্খা বাহিনী হুমকি দিয়েছে, দুই দিনের মধ্যে হিমালয় ফেরত না দিলে যৌথ সামরিক অভিযান চালানো হবে।
বাংলাদেশের জনগণ অবশ্য এসব অভিযোগে কান না দিয়ে হিমালয়ে পিকনিকের প্রস্তুতি নিচ্ছে। শহরের পাশে এমন একটি ট্যুরিস্ট স্পট পেয়ে সবাই উচ্ছ্বসিত। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ট্যুর ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি 'হিমালয়ে এক রাত এক দিন’, 'হিমালয়ে দুই রাত তিন দিন' এর মতো প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।
অন্যদিকে, কেউ কেউ হিমালয়ের এই স্থানান্তরকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তাদের মতে, হিমালয় তার প্রকৃত জায়গায় ফিরে এসেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, হিমালয় আসলেই দেশপ্রেমিক। আপার শাসনামলে নেপালে বিতাড়িত অবস্থায় ছিল। আপা চলে যেতেই ভদ্র ছেলের মতো ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছে।