রিতা বাইরে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলো। সে সময়ই আসলো খলিলের ফোন। ফোন ধরতেই খলিল জিজ্ঞেস করলো, 'আজকে ফ্রি আছো? আমি তোমাদের এদিকেই ছিলাম...'
রিতা চোখে আইলাইনার দিতে দিতে বললো, 'না খলু! তোমাকে বলছিলাম না, আম্মা হাসপাতালে?'
-না বলো নি তো! আরে, কী সর্বনাশ! কী হয়েছে আম্মার?
-এই যে, বললাম। একটু বিপি হাই। বাজে অবস্থা, আমি হাসপাতাল যাচ্ছি এখনই।
-কোথায়, কোন হাসপাতাল?
-এইতো, গুলশানের দিকে।
-আমি নামিয়ে দিয়ে আসবো?
-না না, তুমি শুধু শুধু কষ্ট কোরো না। আমি চলে যাবো, আংকেলের গাড়ি আসবে, নিয়ে যাবে। সমস্যা নেই!
খলিল ওপার থেকে হতাশ গলায় বললো, 'আচ্ছা, ঠিক আছে। জানিয়ো কী খবর।'
আরেকটা কল ওয়েটিংয়েই ছিল। রিতা চেক করে দেখলো, জলিল। ফোন ধরে রিতাই জিজ্ঞেস করলো- কই আসবো?
ওপাশ থেকে জলিল বললো, 'ধানমন্ডি লেকে। এখনও বের হও নি? অনেক সময় লাগবে তো।'
'ব্যাপার না, পাঠাও নিয়ে নেবো নে, জ্যাম ট্যাম ব্যাপার না।' রিতার ঝটপট উত্তর।
-পাঠাও না পেলে?
-পাবোই। আমাদের এদিকে প্রচুর রাইডার। খোঁজা মাত্রই রাইডার পাওয়া যায়। আসছি।
রিতা বের হলো। সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে পাঠাও রাইডের জন্য আস্ক করলো। পেয়েও গেলো রাইডার, তখনই। দুই মিনিটেই রাইডার হাজির। রাইডার রিতার সামনে বাইক থামিয়েই হেলমেট খুলে রেখে রিতার দিকে তাকিয়ে অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করলো।
রাইডার রিতার পরিচিত, তার বয়ফ্রেন্ড খলিল...
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন