লাপাত্তা ট্যালেন্টদের গল্প

৪৬০ পঠিত ... ১৭:৩৮, মে ০৫, ২০২৪

feed84ff-205f-491e-bb3e-38c327e461fd

সতর্কতা: ভয়াবহ স্পয়লার অ্যালার্ট। মোটামুটি পুরো সিনেমার গল্পই এখানে উঠে এসেছে। নেহায়েত লেখাটার মান ভালো বলে একে স্থান দেওয়া হলো। মুভিটা দেখে তারপর এই লেখা পড়ার পরামর্শ দেওয়া হলো। তারপরও যদি কেউ মুভি দেখার আগে পড়তে চান, আপনার অভিরুচি। (সম্পাদক)

 

লাপাত্তা লেডিস সিনেমায় মাঞ্জু মাইয়ের একটা ডায়লগ আছে। ডায়লগের সারমর্ম অনেকটা এমন—হাজার বছর ধরে এই অঞ্চলে মেয়েদের সাথে একটা ফ্রড বা ধোঁকা হয়ে আসছে। আর ধোঁকার নাম হচ্ছে, ভালো ঘরের বউ/কন্যা।

এই ফ্রডের সাথে আমরা সবাই আসলে পরিচিত। ভালো ঘরের মেয়েরা খেলাধুলা করে নাকি, ভালো ঘরের বউরা চাকরি করে নাকি, ভালো ঘরের মেয়েরা বাইক চালায় নাকি—মেয়েদের মেধাকে, প্রতিভাবে দমিয়ে রাখার জন্য এমন অস্ত্র তো আমাদের আশেপাশেই দেখা যায়।

বলিউড নির্মাতা কিরণ রাও লাপাত্তা লেডিস সিনেমায় ছোট ছোট অনেক গল্প বলেছেন। মেয়েদের বঞ্চনা, অবহেলা, হারানোর গল্প যেমন দেখিয়েছেন, তেমনি দেখিয়েছেন পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজে মেয়েদের টিকে থাকার গল্পও, দেখিয়েছেন প্রতিভা বিকাশের গল্পও। লাপাত্তা লেডিস সিনেমার লাপাত্তা ট্যালেন্টগুলোর বিকশিত হওয়ার গল্প নিয়েই এই লেখা।

 

ফুল কুমারী

ফুল কুমারী। গ্রামের খুবই সাদাসিধে, প্রথাগত, নিঁখুত সামাজিক ও পারিবারিক আচার-কালচারে বড় হওয়া, সমাজের নিয়ম-কানুন-প্রথার প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি মেয়ে। বয়স কত? ১৮ হয়নি হয়তো। কিন্তু রান্নাবান্না, ঘরের কাজে দারুণ পারদর্শী। উপমহাদেশের কোটি কোটি মেয়ের মতই ছোটবেলা থেকে ফুলকে এইসব স্কিল ভালোভাবে শেখানো হয়েছে যাতে সে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে এইসব স্কিল ব্যবহার করে তাদেরকে ইমপ্রেস করতে পারে।

ঘটনাক্রমে বিয়ের দিন স্বামীর সাথে লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে শ্বশুরবাড়ি আসার পথে ট্রেন থেকে হারিয়ে যায় ফুল। রাতের অন্ধকারে শুনশান স্টেশনে নিজেকে একা আবিষ্কার করে ভারতের এক প্রত্যন্ত গ্রামের সহজ-সরল মেয়ে ফুল কুমারী। যে এর আগে কখনই বাড়ি থেকেও বের হয়নি। শ্বশুরবাড়ির গ্রামের নামটাও সে মনে করতে পারছে না।

8dd9151f-3fd5-41ae-8c9a-51302f2c893c

স্টেশনে তার পরিচয় হয় মাঞ্জু মাই নামের এক উদ্যোক্তার সাথে। স্টেশনে একটি নাস্তার দোকান আছে মাঞ্জু মাইয়ের। মাঞ্জু মাইকে পুরো ঘটনা বলার পর সেখানেই স্থান হয় ফুলের। পরেরদিন থেকে ফুল মাঞ্জু মাইয়ের দোকানে টুকটাক কাজ করাও শুরু করে। তৃতীয়দিন নিজেই বানায় নতুন একটি মিষ্টান্ন আইটেম। মাঞ্জু মাইয়ের দোকানের যে আইটেমটি চলেও বেশ ভালো। শ্বশুর বাড়িতে রান্না করার জন্য রান্না শেখা ফুলের জীবনের প্রথম আয়ও আসে এখান থেকেই। রেল স্টেশন থেকে লাপাত্তা হয়ে যাওয়া ফুল যেন ফিরে পায় আরেক ফুলকে। যে ফুল অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বি হওয়ার যোগ্যতা রাখে। ফুল কুমারীর চেহারায় আমরা দেখতে পাই আরও কোটি কোটি ফুলকে, আর্থিকভাবে স্বাভলম্বি হওয়ার মত যথেস্ট মেধা তাদের আছে। শুধু সেগুলো কেউ খুঁজে বের করছে না, সামাজিক ও পারিবারিক নানান প্রতিবন্ধকায় যেগুলো তারা মেলেও ধরতে পারছে না। লাপাত্তা হয়ে পড়ে আছে।   

 

পুষ্পা রানী কিংবা জয়া

জয়ার জন্মও ভারতের এক প্রত্যন্ত গ্রামে। যদিও সিনেমার শুরুতে আমরা তাকে চিনি পুষ্পা রানি হিসেবে। বিয়ে করে নিজের বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে ট্রেন থেকে ফুলের মত হারিয়ে যায় সে। সঙ্গী হয় ফুলের স্বামী দীপকের। স্টেশন ছেড়ে দীপকদের বাড়ি গিয়ে নতুন বউয়ের ঘোমটা তুলেই সবাই বুঝতে পারে, এ তো ফুল না। অন্য কেউ। জানা যায়, তার নাম পুষ্পা রানী। ঠিক হয়, পুষ্পা রানীর বরকে খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত দীপকদের বাড়িতেই থাকবে সে।  

দীপকদের বাড়িতে বসবাস করতে থাকা পুষ্পা রানীকে আমরা ধীরে ধীরে অন্যভাবে আবিষ্কার করতে শুরু করি। বুদ্ধিমান, সতর্ক মানুষ বলেই মনে হয় তাকে। ফসলের পোকা নিয়ে টেনশনে থাকা দীপকের কৃষক বাবা যখন ফসলে কিটনাশক ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন আমরা আবিষ্কার করি আরেক পুষ্পাকে। যে জানায়, কিটনাশক বিষ। ফসলে কিটনাশক ব্যবহার করলে পোকা মরবে, তবে ফসলের মানও কমে যাবে। দীপকের বাবাকে পোকা তাড়ানোর একটা দারুণ অর্গানিক পদ্ধতিও শিখিয়ে দেয় সে দেয়।

পুষ্পাকে আমরা আরও দেখি। লুকিয়ে নিজের গয়না বিক্রি করে। সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে কী যেন করে।  

সিনেমার এক পর্যায়ে আমরা জানতে পারি, মেয়েটার নাম পুষ্পা না, জয়া। জয়ার বাবা কৃষক। নিজের জমি আছে। তবে, বিশ্বাস আর বিজ্ঞানের পার্থক্য করতে না পারায় জয়াদের জমি জয়ার বাবাকে সোনার ফসল দেয় না, বছর বছর ফসলের জন্য বিক্রি করতে হয় জয়ার মায়ের সোনার গয়না। জয়া এই সমস্যার সমাধান করার জন্য অর্গানিক ফার্মিং নিয়ে টুকটাক পড়ালেখা শুরু করে। অর্গানিক ফার্মিং নিয়ে কাজ করার স্বপ্নও দেখে। উচ্চশিক্ষার জন্য দেরাদুনের একটা ইন্সটিউটের ভর্তি পরীক্ষাও দেয়। সেখানে ৮০০ ছেলে ও ৮৬ মেয়ের মধ্যে সে প্রথম হয়। এই উপমহাদেশের আরও কোটি কোটি মেয়ের মত জয়ার স্বপ্ন ভাঙার হাঁতুড়ি নিয়ে হাজির হয় বিয়ে। জয়ার পরিবার জয়ার বিয়েতে যৌতুক দেয়ার জন্য জমি বিক্রি করে। জয়াকে সাফ সাফ জানিয়ে দেয়া হয়, তাকে বিয়েই করতে হবে। বিয়ের পর স্বামীকে রাজি করাতে পারলে পড়ালেখা হবে, না হলে হবে না।

db98db72-41dc-4902-9441-7e99825c0545

জয়ার স্বপ্নটা ভেঙে যায়। ভাগ্যকে মেনে নিয়ে বউ সেজে, বিশাল ঘোমটায় মুখ ডেকে স্বামীর সাথে শ্বশুরবাড়ি রওনা দেয় সে। কিন্তু মাঝরাতে মূর্তি রেলস্টেশনে ভুল করে ফুল মনে করে জয়াকেই ডেকে তুলে নিয়ে যায় দীপক। সবকিছু মেনে নেয়া জয়া জীবনের কাছে পাওয়া এই দ্বিতীয় সুযোগটা হাতছাড়া করতে চায় না। বুঝতে পেরেও দীপকের সাথে রওনা দেয় সে। রওনা দেয়ার পথেই হয়তো বুদ্ধিমান জয়া নিজের স্বপ্ন পূরনের নতুন এক পরিকল্পনা প্রস্তুত করে।

এরপর আমরা জয়ার আরেকটা জার্নি দেখি। তার ওপর দীপকের পরিবার, পুলিশ সবার নজর থাকা সত্ত্বেও জয়া গয়না বিক্রি করে দেরাদুনে তার বোনের কাছে টাকা পাঠায়। যাতে জয়ার বোন তার অ্যাডমিশন নিশ্চিত করতে পারে। ট্রেনের টিকেট কাটে। সাইবার ক্যাফে থেকে অ্যাডমিশন ফর্মও সে ডাউনলোড করে নেয়। জেনে রাখা ভালো, লাপাত্তা লেডিস সিনেমাটি বানানো হয়েছে ২০০১ সালে। আর জয়া এই টাকা পাঠানো, ট্রেনের টিকেট কাটা, অ্যাডমিশন ফর্ম ম্যানেজ সব করছিল, ভারতের এক গ্রামের বাজার থেকে।       

জয়ার লিডারশিপ স্কিল দেখতে পাই, ফুলকে খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে। ফুল কুমারীর জন্য দীপকের হাহাকার দেখে জয়া ঠিক করে ফুলকে খুঁজে বের করবে সে। তার কাছে দুটি রিসোর্স ছিল। দীপকের বাসায় থাকতে থাকতেই সে আবিষ্কার করে দীপকের ভাবী পুনম ভালো ক্যারিকেচার করতে পারে। আর দীপকের কাজিন গুঞ্জনের সাথে কথা বলে সে জানতে পারে, গুঞ্জন প্রিন্টিং এর কাজ করে। দুটি রিসোর্চকে কাজে লাগিয়ে জয়া ফুলকে খুঁজে পাওয়ার জন্য পোস্টার বানায়। যে পোস্টারের কারণেই ফুল কুমারী আবার দীপককে খুঁজে পায়।

আমরা দেখি, জয়া নামের প্রত্যন্ত গ্রামের এক মেয়ে ডিসিশন মেকিং, ওয়ার্ক আন্ডার প্রেশার, ওয়ার্ক উইথ টাইট ডেডলাইন, ক্রাইসিস ম্যানেজম্যান্ট, রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, ওয়ার্ক উইথ মিনিমাম রিসোর্স, লিডারশিপসহ কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডে ব্যবহৃত সব কীওয়ার্ডের ক্রাইটেরিয়া কীভাবে কীভাবে যেন পূরণ করে ফেলে।

সেদিন রাতে মূর্তি স্টেশনে দীপকের ওই হাত জয়াকে ডেকে না তুললে হয়তো জয়ার এই মেধা লাপাত্তাই থেকে যেত। জয়া থাকতো কোনো এক পুরুষের অধীনে। রান্না করত, ঘরধোর দেখাশোনা করত, বাচ্চা উৎপাদন করতে না পারলে অত্যাচারের শিকার হত, হয়তো মারাও যেত। ১০ বছর পর অর্গানিক ফার্মিং-এর জয়জয়কার হবে চারদিকে—২০০১ সালে বসে বুঝতে পারে জয়া ট্যালেন্ড লাপাতাই থেকে যেত।   

 

পুনম  

পুনমও জয়া-ফুলের মতই ভারতের এক গ্রামের মেয়ে। বাবলু নামে স্কুল পড়ুয়া একটি সন্তানও আছে তার। পুনমের বর থাকে শহরে। পুনম থাকে শ্বশুর-শাশুরির সাথে। সম্পর্কে দীপকের ভাই শ্রাবন কুমারের স্ত্রী পুনম। সবসময় চুপচাপ থাকে, কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে ইশারায় মাথা নাড়িয়ে হু হা করে উত্তরও দেয়। পাপ হবে বলে স্বামীর নাম মুখে নেয় না। প্রথম দেখায় মনে হতে পারে সে বাকপ্রতিবন্ধি। রান্নাবান্না থেকে ঘর গোছানো—এইই তার প্রতিদিনের কাজ।

পুনমের একটা অসাধারণ প্রতিভা চাপা ছিল বিছানার তোষকের নিচে। দীপকদের বাড়িতে আশ্রয় নেয়ার পর জয়ার জায়গাও হয় পুনমেরই রুমে। ঘটনাক্রমে একদিন জয়া পুনমের বিছানার তোষক উল্টালে আমরা পরিচিত হই অন্য আরেক পুনমের সাথে। আর্টিস্ট পুনম। স্বামী দূরে থাকে, স্বামীকে মাঝে মাঝে দেখতে মন চায়। কিন্তু স্বামীর একটা মাত্র ছবি যাও ছিল, সেটি রেশন কার্ডে ব্যবহার হয়ে গেছে। অগত্য কী আর করা! নিজেই এঁকে ফেলেন স্বামীর একটা ক্যারিকেচার। তোষকের নিচে রাখেন, স্বামীর কথা মনে পড়লে বের করে দেখেন।

888788df-c8be-421c-9e32-18b5498fbbe3

যদিও নিজের এই অসাধারণ প্রতিভাকে নিরর্থক কাজ বলেই মনে করেন পুনম। জয়া যখন তাকে জিজ্ঞেস করে, আর কোনো কিছু সে এঁকেছে কি না? পুনম জানায়, এইসব নিরর্থক কাজ করার সময় কই! জয়া পুনমকে বুঝাতে সক্ষম হয়, কী অসাধারণ এক প্রতিভার অধিকারি গ্রামের সহজ-সরল সংস্কারি বধু পুনম। পরেরদিন পুনম তার ছেলে বাবলুরও অসাধারণ একটি ক্যারিকেচার করে।

পুনমের এই প্রতিভা শেষ পর্যন্ত সিনেমাটিতে অনেকগুলো যোগসূত্র তৈরি করে দেয়। গুঞ্জনকে নিজের পছন্দের কথা জানাতে জয়া আশ্রয় নেয় পুনমের। পুনমকে দিয়ে গুঞ্জনের একটা ক্যারিকেচার আঁকিয়ে গুঞ্জনকে প্রপোজও করে জয়া। সিনেমার শেষে দীপকের ফুল্কুমারিকে খুঁজে পাওয়া দর্শক হিসেবে আমাদেরকে যে আনন্দঅশ্রু উপহার দেয়, যে ফিল গুড ভাইব দেয়—পুনম না থাকলে কি সেটি সম্ভব হতো! প্রিয় বন্ধু জয়ার বিদায়ের দিন পুনম জয়াকে একটা ক্যারিকেচার উপহার দেয়। যে ক্যারিকেচার বুকে স্বপ্নের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় জয়া।  

 

মাঞ্জু মাই

পাটিলা স্টেশনে একটা ছোট নাস্তার দোকান চালায় মাঞ্জু মাই। অনেক বছর ধরে একাই থাকেন। প্রথম দেখায়, চরিত্রটিকে নিষ্ঠুরই মনে হবে আপনার, পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজের প্রতি তীব্র বিদ্বেষও ফুটে উঠেছে এই চরিত্রটিতে। কিন্তু মাঞ্জু মাইয়ের অতীত সামনে আসতে আসতে আমরা সেই বিদ্বেষের কারণও জানতে পারি।

স্বামী-সন্তান সহই বসবাস করতেন মাঞ্জু মাই। কিন্তু মাঞ্জু মাইয়ের ইনকামের টাকায় চলত সবাই। সেই টাকা দিয়ে মদ খেত। মদ খেয়ে এসে মাঞ্জু মাইকে মারধর করতো। সেই মারধোরকে বৈধতা দিতে ব্যবহার করা হতো, হাজার বছরের পুরোনো অস্ত্র—সে ভালোবাসে, গায়ে হাত দেয়ার অধিকারও তার আছে। মাঞ্জুর বেশিদিন সহ্য হয়নি, একদিন নিজেও অধিকার দেখিয়ে দিলেন। এরপর থেকেই একা থাকেন তিনি।

ধীরে ধীরে আমরা পরিচিত হই আরেক মাঞ্জু মাইয়ের সাথে। ছুটু আর স্টেশনের ভিক্ষুকদের যিনি আশ্রয়স্থল। স্টেশনে হারিয়ে যাওয়া নববধু ফুলকুমারির আশ্রয়স্থলও হয়ে ওঠেন মাঞ্জু মাই। ফুলকুমারিকে নিজের দোকানে কাজ করার সুযোগ করে দেন। আর এই মাঞ্জু মাইয়ের হাত থেকেই আসে ফুলকুমারির জীবনে প্রথম আয়।

be11a333-623c-489b-a1b0-f3da65aa3fa2

মাঞ্জু মাই আমার কাছে একজন উদ্যোক্তা। পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজে নানান ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা যিনি প্রতিদিনই সফলতার গল্প লিখে যাচ্ছেন। কখনও ভরসার জায়গা হয়ে উঠছেন ফুল কুমারীদের।

সব জেনেও কেন জয়া ট্রেন থেকে দীপকের সাথে চলে নেমে গেছে? পুলিশ অফিসার জয়াকে এই প্রশ্ন করেছিল। জয়া জানিয়েছে, নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য জীবন ওকে একটা দ্বিতীয় সুযোগ দিচ্ছে, সে সুযোগ সে কীভাবে হাতছাড়া করে? এত বোকা তো সে নয়। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে জয়া শেষ পর্যন্ত কী করে দেখিয়েছে তা তো এই সিনেমার দর্শক মাত্রই জানেন।

লাপাত্তা লেডিস সিনেমার এই চরিত্রগুলো যেন আমাদেরই পাশের বাড়ির কোনো মেয়ে। কেউ জয়া, কেউ ফুল, কেউ পুনম কেউবা মাঞ্জু মাই। যাদের জীবন আটকে আছে একটা সুযোগের সমান দূরত্বে।  

৪৬০ পঠিত ... ১৭:৩৮, মে ০৫, ২০২৪

আরও eআরকি

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

কৌতুক

রম্য

সঙবাদ

স্যাটায়ার


Top