আরও একটি দিন, বাংলাদেশের আরও একটি সাফল্য। পৃথিবী অন্যান্য দেশে প্রতিদিন সূর্য ওঠে রোদ সাথে নিয়ে আর বাংলাদেশের সূর্য ওঠে সাফল্যকে সাথে নিয়ে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখ এমনই একটি দিন। এই দিন বাংলাদেশ শতক পেরোনো একটু সাফল্য অর্জন করেছে। সাংবাদিক সম্পত্তি সাগর-রুনির হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের তারিখ পিছিয়েছে ১০১ তম বার।
সাফল্যও যে ধারাবাহিক হতে পারে, সেটি প্রমাণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন।
নেদারল্যান্ডসে আমি যে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আমি পড়াই, এখানে কিছুদিন আগে ছাত্র-ছাত্রীদের একটা অধ্যায় পড়াচ্ছিলাম আমি। অধ্যায়ের নাম ছিলো, সাফল্যের ধারাবাহিকতা। আমি অবাক হয়ে দেখলাম, ইউরোপ-আমেরিকা সহ অনেক দেশেই এমন ধারাবাহিকতা সাফল্য নাই। আমি চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারি, র্যাব ১০২তম বারও তদন্ত প্রতিবেদন জমার ডেট পিছাতে সক্ষম হবে।
চেষ্টা, অধ্যবসায়, নিষ্ঠা, হার্ড ওয়ার্ক, ধৈর্য্য, লেগে থাকা ও দায়িত্বশীলতা কাকে বলে? র্যাব যেন সেটিই করে দেখিয়েছেন। র্যাবকে নিয়ে তো সমালোচনা কম হলো না। র্যাব তো পারতেন, এইসব সমালোচনা থেকে নিজেদের মুক্ত করতে কোনো রকম একটা প্রতিবেদন জমা দিতে! পারতেন নিরপরাধ কোনো মানুষকে আসামী করে চার্জশিট দাখিল করতে। কিন্তু তারা তা করেননি। দেশের মানুষের প্রতি দায়িত্বশীলতা, আইনের প্রতি সম্মান এবং একদিন সমাধান করতে পারবে—এমন বিশ্বাসই র্যাবকে দিনের পর দিন তদন্ত চালু রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ রেখেছে।
র্যাব আসলে কতদূর যাবে? সেটি এখনই বলে দেয়া যাচ্ছে না। তবে যেই সাফল্য তারা দেখিয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন আমার বিশ্বাস ১০০, ২০০, ৩০০ শেষ করে একদিন ডন ব্রাডম্যানের ৪০০কেও ছুঁয়ে ফেলবে বাংলাদেশ ও র্যাব। সেদিন বিশ্ব দরবারে জ্বলজ্বল করে জ্বলবে বাংলাদেশে নাম। আমি তাদেরকে শুভকামনা জানাই।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন