গতরাত ১২টায় ফেসবুকে ছিলেন? না থেকে ভালো করেছেন। ঘটনা রাত ১২টার দিকের। হুট করে জানা গেল, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনাতে অনেকগুলো সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্ক। ভেতরে আর্মি অফিসারদের সাথে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের বাকবিতণ্ডা চলছে। খুবই উত্তেজনাকর পরিবেশ। কেউ কেউ স্ট্যাটাস দিয়ে জানাচ্ছে, এক শিশু উপদেষ্টাকে সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা ধমক দিয়ে বসিয়ে দিয়েছেন। এদিকে কেউ কেউ জানায়, শেখ হাসিনাও নাকি ফিরে এসেছে। ইউনূস সরকারের পতন হয়ে যাচ্ছে। উপদেষ্টারা কে কীভাবে দেশ থেকে পালাবে তা নিয়ে চলছে পরিকল্পনা। মনে হচ্ছিল, সকাল থেকে হয়তো শেখ হাসিনাই আবার দেশ চালাবেন।
একটা পেজ থেকে জানানো হয়, ইউনূস সেনাপ্রধান পরিবর্তনের কথা ভাবছেন, সেটি জেনে গিয়েছে বর্তমান সেনাপ্রধান ওয়াকার। সেজন্যই দুজনের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব।
রাত সাড়ে ১১ টার কিছু পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ফেসবুকে বিভিন্ন পেজ ও ফেসবুক আইডি থেকে এই ধরনের স্ট্যাটাস দিতে দেখা যায়।
এমন গুজব নিয়ে কেউ ঘুমিয়েছেন। কেউ উত্তেজনায় সারারাত ঘুমাতে পারেননি। এদিকে কেউ কেউ আবার ঘুমাতে পারেননি খুশীতে।
ঘটনাটি নিয়ে ফেসবুকে অনেককে মজা করতেও দেখা গেছে। এমনই একজন লিখেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ও সেনাপ্রধানের মধ্যে রাতভর হাতাহাতি। হাতাহাতির এক পর্যায়ে একজন আরেকজনের মাথায় থুথু দিয়ে দৌড় দিয়েছেন।
চারদিকে এমন উত্তেজনার আগুনে প্রথম পানি ঢালতে আসেন আল জাজিরার আই ইউনিটের সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে জানান, ড.ইউনূস আজকে রাত ১১.১৫ এর মধ্যে ঘুমাইতে গেছেন। সেনাপ্রধান ঘুমাইছেন রাত ১১.০০টার একটু পরে। ওয়াকার সাহেব ইউনূস সাহেবকে যথেষ্ট সম্মান করেন এবং দুইজনের মধ্যে টিনএজারদের মতো জোটবদ্ধ হইয়া ঝগড়া লাগার মতো কোনো ঘটনাই ঘটে নাই। হুদাই কিছু ভোন্দা খাসী গুজব ছড়ায় ধ্যুৎ বেডা।
সকালে বর্তমান সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও একটা ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে বিষয়টিকে গুজব বলে জানান। ফেসবুকে রাতের এই ঘটনা নিয়ে আসিফ লেখেন, শুধু চেয়ারই না, প্রধান উপদেষ্টাসহ দেশ ছাড়লেন বাকি উপদেষ্টারাও। সোর্স: চালাইদেন।
সেনাপ্রধান ও ইউনূসের বিষয়টিকে গুজব বলে জানিয়েছেন ফ্যাক্ট চেকার প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানার।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন