অ প্রিয় নাহিদ,
শুরুতেই তোমাকে জানাই শত কোটি কাঁটা-মুকুটের ‘গুঁতো খাওয়া’ শুভেচ্ছা!
তোমার উপদেষ্টা পদে আসীন হওয়া আমাদের মনে বুনেছিল শত শত আশার কলি। মোবাইলের কলরেট, ইন্টারনেট সংযোগ, নানান প্যাকেজে স্পেশাল অফার পাবার যে দ্ব্যর্থহীন স্বপ্ন দেখেছিলাম, তা বাস্তবায়নের আগেই তুমি পদত্যাগ করলে। ধিক শত ধিক!
হে অধৈর্য যুবক,
দেশের কথিত রাজনৈতিক গদিতে বসার পর অন্তত দশ বছর নয়-ছয় করে কাটাতে হয়। এই সাধারণ ভদ্রতাটুকুও তোমার মধ্যে নেই! দেশের কোনো সন্তোষজনক পরিস্থিতি তোমার মতো অধৈর্য লোকের হাত ধরে আসতে পারবে না।
হে কৃপণ নেতা,
দেখলাম তোমার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক লেনদেন নেই। এটা কোনো কথা? একটা সিটিআর করার মতও লেনদেন করলে না? সুইস ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলেছ? মনে হয় না। একজন রাজনৈতিক নেতার কাছে এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু হতে পারে না!
তোমার অ্যাকাউন্টে মেইটেইনেন্স চার্জের পরিমাণের ডলারও ঢুকল না । আয়নাতে ঐ মুখ দেখবে যখন... লজ্জা করবে না?
হে ছিনিমিনি খেলোয়াড়,
তোমাকে নিয়ে আশা ছিল, ছিল ভরসা। কিন্তু আশা-ভরসাকে কিভাবে নিরাশায় পরিণত করতে হয়, তার জীবন্ত উদাহরণ তুমি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে তুমি কি ফেসবুকে ফলো করো না? তার কাছ থেকে আঁকড়ে ধরাটা তো শিখলেই না, বরং শিখলে হৃদয় ভেঙে দেওয়া! চেয়ার আঁকড়ে ধরবে, এমন বিশ্বাস তুমি রাখোনি। এমন ছিনিমিনি বকুলের সাথে হেনাও খেলেনি।
হে মায়াহীন পুরুষ,
জৌলুস আর দামি গাড়ির মায়া ছেড়ে রাজপথে থাকতে চাওয়া বোকা মানুষের মায়ায় আর যেই পড়ুক, আমরা পড়ব না, নাহিদ! এখন থেকে গাড়িতে চড়া বাকিদের মায়ায়ই পড়ব, আর পড়ব মাহফুজের স্ট্যাটাস! তোমাকে উদ্দেশ্য করে আমরা বলব—
ধনকে দেখলি না তুই, নাহিদ! কিন্তু মনকেও চিনলি না।
সোনাকে চিনলি না, বাহ্যিক জৌলুস চিনলি না, কিন্তু সরকারি ক্ষমতাও বুঝলি না!
পরিশেষে তোমায় বলব, নতুন জায়গায় যাচ্ছো, যাই ছাড়ো না কেন, দরখাস্ত লেখায় ভুলের অভ্যাস ভুলেও ছেড়ো না।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন