লেজুরবৃত্তিক রাজনীতি বাদ দিয়ে রমজানে খেজুরবৃত্তিক রাজনীতি করার আহ্বান

১৯ পঠিত ... ৭ ঘন্টা ৫৮ মিনিট আগে

14

বাংলাদেশের ছাত্র সংগঠনগুলোর রাজনীতিতে লেজুরবৃত্তির সংস্কৃতি দীর্ঘদিনের। বড় ভাইদের পিছু পিছু ঘোরা, তাদের নির্দেশ ছাড়া এক পাও না সরানো—এসবই যেন ক্যাম্পাসের অবধারিত চিত্র। তবে সাধারণ জনগণ এবার চাচ্ছে নতুন এক পরিবর্তন। এই রমজান মাসে তারা লেজুরবৃত্তিক রাজনীতি থেকে মুক্তি চাইছে এবং পরিবর্তে আহ্বান জানাচ্ছে খেজুরবৃত্তিক রাজনীতির! হ্যাঁ, এখনও এ ধরনের রাজনীতি আনুষ্ঠানিকভাবে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেনি, তবে এটা নিয়ে আসার জোর দাবি উঠেছে। কেউ আর সিনিয়রদের পিছু পিছু ঘুরতে চায় না, বরং চায় খেজুরের পিছু নিতে। কারণ লেজুর ধরে রাখার চেয়ে খেজুর ধরে রাখাই বেশি ফলদায়ক!

খেজুরবৃত্তিক রাজনীতির পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে এক কুবুদ্ধিজীবী বলেন, জনগণের যুক্তি একেবারে স্পষ্ট, লেজুরবৃত্তি করলে শুধু রাজনৈতিক বড় ভাইদের সুবিধা হয়, কিন্তু খেজুরবৃত্তি করলে আমাদের ইফতারে খেজুর আরও সহজলভ্য হবে। অন্যদিকে দেখেন লেজুরের কারণে গণতন্ত্র পিছিয়ে যায় কিন্তু খেজুরের এসব গ্যাঞ্জাম নাই, গণতন্ত্র গণতন্ত্রের জায়গায়, খেজুর খেজুরের জায়গায়।

এখন পর্যন্ত ছাত্র সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি। তবে সাধারণ ছাত্রদের দাবি জোরালো হচ্ছে। তারা বলছে, ক্যাম্পাসের রাজনীতি যদি জনগণের জন্য হয়, তাহলে লেজুর ধরে থাকার চেয়ে খেজুর ধরে থাকা ভালো! রাজনৈতিক বড় ভাই/চাচুদের একাংশ অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কিছুটা আপত্তি রয়েছে। তাদের বক্তব্য, বাঙালির হাজার বছরের সংস্কৃতি লেজুরবৃত্তি, এটি ছাড়া আমরা টিকে থাকবে কীভাবে? আপনারা খেজুরবৃত্তি করতে চান করেন, কিন্তু আমাদের পাকা ধানে মই দেওয়ার মতো ফ্যাসিস্ট আচরণ করলে আমরাও জানি কীভাবে oi mama na pls করতে হয়।

১৯ পঠিত ... ৭ ঘন্টা ৫৮ মিনিট আগে

Top