বাজারে এক বৃদ্ধের একটা ছোট কিন্তু খুব পুরানো দর্জির দোকান ছিল।
দোকানে ছিল একটি মাত্র মান্ধাতার আমলের সেলাই মেশিন আর বা'দিকে একটা টুলের উপর বসে একটা বিড়াল একটা পুরনো বাটিতে দুধ খাচ্ছিল !
এক স্বর্ণকার বৃদ্ধের দোকানের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল! বিড়ালের দুধের বাটিটির দিকে চেয়ে সে স্তম্ভিত হয়ে গেল! নিজে স্বর্ণকার, তাই সে বিড়ালের দুধের বাটিটির কদর সহজেই বুঝে গেল ! এই বাটিটি একটি মহামূল্যবান ধাতুতে নির্মিত, কলাশিল্পের হাটে বিক্রি করলে অনেক দাম পাওয়া যাবে।
স্বর্ণকার লোকটি চাইছিল, বৃদ্ধ যেন তার বিড়ালের দুধের বাটিটার প্রকৃত মূল্য না জানে।
সে বুদ্ধি করে বৃদ্ধের দোকানে গিয়ে বললো, 'চাচা, আপনার এই বিড়ালটি আমার খুব পছন্দ হয়েছে, আপনি কি ওটা আমাকে দিয়ে দেবেন? যদি চান তাহলে আমি এর মূল্য আপনাকে দিয়ে দেব!'
বৃদ্ধ প্রথমে রাজি হননি, কিন্তু স্বর্ণকার যখন বিড়ালের মূল্য দশ হাজার টাকা অফার করলো, তখন সে বিড়ালটি বিক্রি করতে রাজি হয়ে গেলেন।
দাম চুকিয়ে বিড়ালটি নিয়ে যেতে উদ্যত স্বর্ণকার সেই বৃদ্ধকে বলছে, 'বিড়াল তো আমি নিয়ে যাচ্ছি। তাহলে বিডালের দুধের বাটিটি দিয়ে আপনি করবেন ? এটাও আমাকে দিয়ে দিন! আমিও এটাতে বিড়ালকে দুধ খাওয়াবো, এর জন্য চাইলে আপনি ৫০/১০০ টাকা আরো রেখে দিন!'
বৃদ্ধ বললো, 'না ভাই, এই বাটিটি আমি কোন মূল্যেই বেচবো না। এই বাটিটার জন্যই তো আমি এখন পর্যন্ত ৫০টা বিড়াল বিক্রি করতে পেয়েছি।'
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন