সাত সকালে গর্ত থেকে বের হয়েই শিয়াল একবারে সিংহের মুখে পড়ে গেল। শিয়ালের পথ আগলে সিংহ বলল, 'ভালোই হল আজকের নাস্তাটা তোমাকে দিয়েই সারতে চাই।' শিয়াল কোনোমতে মুখে হাসি ধরে রেখে বলল, ‘আমাকে খেতে চান সে তো আমার সৌভাগ্য, কিন্তু শিয়ালনীর সাথে একটা ব্যাপার নিয়ে আমার তুমুল ঝগড়া হয়েছে। আপনি দয়া করে বিচারটা করে দেন, তারপর না হয় আমাদের দুজনকেই খাবেন। আপনার পেটে যাব সে তো আমাদের সৌভাগ্য। আফটার আল আপনি আমাদের রাজা।’
সিংহ ভাবল এ তো সুখবর। একসঙ্গে দুটোকে খাওয়া যাবে। সে বলল—
—তোমার শিয়ালনী কোথায়?
—ঐ তো ঐ গর্তটার ভিতরে। চলুন না মহারাজ।
সিংহ গেল। গর্তের কাছে গিয়ে শিয়াল উচ্চস্বরে ডাকাডাকি শুরু করে দিল। ‘কইগো বেরিয়ে এস মহারাজা নিজে এসেছেন আমাদের বিচার করবেন বলে তারপর খাবেন।’ দু-একবার ডাকাডাকি করার পরও শিয়ালনী বের হয় না দেখে শিয়াল বলল—
—মহারাজা মনে হয় ও ঘুমিয়ে পড়েছে আপনি দাঁড়ান আমি ডেকে নিয়ে আসি। আমাদের ছোট গর্তে তো আর আপনি ঢুকতে পারবেন না। বলে গর্তে ঢুকে গেল শিয়াল।
গর্ত থেকে শিয়াল আর বের হয় না দেখে সিংহ হুঙ্কার দিল, ‘কি হল বেরুচ্ছ না কেন?’ এ সময় গর্তের ভিতর থেকে আওয়াজ এল—
—মহারাজা আপনাকে আর বিচার করতে হবে না। আমাদের মধ্যে মিল মহব্বত হয়ে গেছে।
অলংকরণ: ম্যাকবেথ নীল
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন