লেখা: নয়ন বড়ুয়া
খাগড়াছড়ি যাচ্ছিলাম একটা কাজে। আমার পাশের সিটে এক চাকমা সুন্দরী কন্যা। পরনে সাদা জামা, ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক (কোন কালারের বুঝতে পারছি না) মনে হচ্ছে স্বর্গের কোন অপ্সরী। আমাকে নিয়ে স্বর্গে যাচ্ছে, তাদের স্বর্গরাজ্য দেখাতে।
আমিও মিটিমিটি হাসছি, সেইও মিটিমিটি হাসছে, এইভাবেই চলছিল।
ইশ এমন সুন্দরী চাকমা যদি আমার প্রেমিকা হতো!
একটু একটু হালকা ঠুকঠাক কথাও হচ্ছিলো। কথা হচ্ছিলো বলতে আমিই বলছিলাম সব। এই যেমন, খাগড়াছড়ি বাড়ি কিনা, কেন যাচ্ছেন, চট্টগ্রামে কী জব করেন!
কিন্তু দুঃখের বিষয় কন্যার কোনো উত্তর নাই। কন্যা চুপ। কিন্তু হাসিটা মুখ থেকে যাচ্ছে না। এমন মায়াবি হাসি... উফস, পাগল হয়ে যাবার মত হাসি।
সবে মানিকছড়ি পার হলাম... কন্যা দেখি ব্যাগ থেকে তেঁতুল আচার বের করলেন। সম্ভবত বমি টাইপ কিছু আসতেছে কিনা কে জানে!
একটু পরেই দেখি কন্যা আমার দিকে আচার এগিয়ে দিয়ে বলল, খাবি?
প্রথমে ভাবলাম, হয়তো ভুল শুনেছি, পরে শিওর হওয়ার জন্য বললাম, কী বললেন বুঝিনি!
বললাম, তুই কী আচার খাবি?
কন্যার এমন তুই তুকারি কথায় এইবার আমি চুপ, এইবার কন্যা শুরু করলো কথা...
খাগড়াছড়ি কেন যাচ্ছি, চট্টগ্রামে বাড়ি কোথায়, কীসের জব করি। কন্যার একটা প্রশ্নেরও উত্তর দিতে ইচ্ছে হয়নি, সব প্রশ্নই তুই তুকারি দিয়ে শুরু...
আমার সব প্রশ্নে কন্যা হাসলেও, কন্যার সব প্রশ্নে আমি বিরক্ত। খাগড়াছড়ি না আসা পর্যন্ত, কন্যার দিকে আর তাকাইনি। আমাকে যে তুই করে কথা বলেই যাচ্ছে, কীভাবে আমি তার দিকে তাকাই?
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন