লেখা: অন্তর মাশঊদ
জর্জ ওয়াশিংটন যখন আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট হলেন! তখন উনি খেয়াল করলেন, ওনার চেয়ে ওনার স্ত্রী মার্থা সেরকম দাপট, প্রতিপত্তি! কেউ সাহায্যের জন্য সরাসরি তার কাছে আর আসে না। সবাই মার্থার মাধ্যমে আসা শুরু করল।
আত্মীয় স্বজনহীন এতিম মার্থাকে দেশের যত মন্দ লোক রয়েছে। তারা সবাই Mother, Sister সম্বোধন করে আপনজন হওয়ার চেষ্টা করত। যাতে ফায়দা লুটা যায়।
মার্থাও তাদের Mother, Sister ডাকে গলে গিয়ে, আপনজন বানিয়ে হরিলুট করতে সুযোগ দেওয়া শুরু করল এবং তার চরিত্রও তাদের মতোই হয়ে গেল। বলা যায় সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে।
সেদিনই জর্জ ওয়াশিংটন বুঝেছিল, যদি কখনও আমেরিকায় নারী প্রেসিডেন্ট হয় তাহলে তাদের কপালে কী শনি আসতে পারে। সে তার স্ত্রীকে বলত, তুমি ভালো হয়ে যাও। দেশের এরকম ক্ষতি করো না।
এদিকে মার্থার সাথে জর্জের বনিবনা হচ্ছিল না। মার্থা চাচ্ছিল আমেরিকার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হতে। কারণ তার আরও ক্ষমতা দরকার। কিন্তু তখনও নারী ভোটাধিকার আমেরিকায় ছিল না। প্রেসিডেন্ট ক্যান্ডিডেট হওয়া তো দূরের কথা।
এদিকে মার্থা বিশাল এক স্ক্যামে জড়িয়ে পড়ল। বুঝতে পারল যে, আমার স্বামী বেঁচে থাকলে একদিন আমাকে আইনের হাতে তুলে দেবে। তাই মার্থা জর্জকে স্লো পয়জন দেওয়া শুরু করল।
ধীরে ধীরে সেই বিষক্রিয়ায় জর্জের গলায় ইনফেকশন দেখা দিল এবং অতঃপর জর্জ গলার অসুখে ১৭৯৯ সালে মারা যায়।
সেদিন হতে আজও জর্জ ওয়াশিংটনের প্রেতাত্মা প্রতিটি রিয়েল আমেরিকান পুরুষদেরকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে বলে যায়, নারীদেরকে সকল ধরনের অধিকার দিয়ে খুশি রাখ কিন্তু কখনও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বানাইও না।
সেই থেকে আজ পর্যন্ত আমেরিকায় কোনো নারী প্রেসিডেন্ট হয়নি।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন