তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। রাস্তা অবরোধ, ট্রেন থামানোসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের কথা শোনা গেলেও আন্দোলনের কার্যকারিতা নিয়ে জনমনে হাজারও প্রশ্ন জেগেছে। বিশেষ করে, পাথর ছোড়ার ক্ষেত্রে তাদের দুর্বলতার বিষয়টা সবাইকে ভাবাচ্ছে।
সম্প্রতি আন্দোলনকারীদের একাংশ জানিয়েছেন, তারা গত জুলাইয়ের আন্দোলনের সিলেবাস অনুসরণ করেই এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে, সমস্যা হয়েছে ট্রেনে পাথর ছোড়ার বিষয়টাতে। জুলাই আন্দোলনের সিলেবাসে এই বিষয়ে কোনো রেফারেন্স না থাকায়, পাথর সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছানোর বদলে সাধারণ মানুষের গায়ে গিয়ে পড়েছে, যা আন্দোলনকারীদের যোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
এই পরিস্থিতি বিবেচনায় তিতুমীর কলেজ প্রশাসন নতুন একটি বিভাগ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কলেজে শুরু হতে যাচ্ছে ‘স্টোন থ্রোয়িং স্টাডিজ’ নামে একটি ব্যতিক্রমী বিভাগ, যেখানে পাথর বাছাই থেকে সঠিক লক্ষ্যে পাথর নিক্ষেপ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
কলেজের এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে দক্ষতার অভাব আমাদের লজ্জায় ফেলে দিয়েছে। যারা সঠিকভাবে লক্ষ্যে পাথর ছুড়তে পারে না, তারা কীভাবে আন্দোলনের লক্ষ্য অর্জন করবে? এজন্যই আমরা ‘স্টোন থ্রোয়িং স্টাডিজ’ বিভাগ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি আরও জানান, বিভাগটির জন্য শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে ছোড়াছুড়িতে ওস্তাদ ব্যক্তিদের। উদাহরণস্বরূপ, আদালত প্রাঙ্গণে ডিম ছোড়া নেতারা, জর্জ বুশের দিকে জুতা ছোড়া ব্যক্তি প্রভৃতি স্কিলড ব্যক্তিদের প্রশিক্ষক হিসেবে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। তাদের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতের আন্দোলনে দক্ষতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে।
তিতুমীর কলেজের এ উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মানোন্নয়ন ঘটিয়ে তাদের লক্ষ্য অর্জনের পথ সুগম করবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।