একজীবনে মেয়েদের খুব বেশি চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। মানুসিক, স্যরি, মানসিক শান্তি দেওয়ার জন্য একজন লয়্যাল প্রেমিক, একগুচ্ছ কদম আর কাঁচের চুড়িই যথেষ্ট। তারা যেখানেই মানসিক শান্তি বা সাপোর্ট পাবে, সেখানেই তারা একটি কুঁড়েঘর বানানোর চেষ্টা করে। কুঁড়েঘরে চাল-চুলো আছে কী নেই তার ধারও মেয়েরা ধারে না।
'কেমন প্রেমিক চাই?' এ প্রশ্নটির কোনো অ্যাবসলুট প্যারামিটার নেই। রোমিও, ইউসুফ, মজনু, ফরহাদদের চাওয়ার যুগ আমরা পার হয়ে এসেছি আরও আগেই। বর্তমানের আইডিয়াল লাভারের বেঞ্চমার্ক সেট করতে পারে নোয়াহ ক্যালহাউন (The Notebook), অগাস্টাস ওয়াটার্স ( Fault in Our Stars) কিংবা হাঙ্গার গেমসের পিটা ম্যালার্করা। সেখানে থাকতে পারে অহংকারী, গাম্ভীর্যপূর্ণ তবুও কঠিন প্রেমিক হিথক্লিফ কিংবা মি. ডার্সি। কেউ কেউ রিলেশনশিপকে এক্সট্রা স্পাইসি করতে চেয়ে আশা করতেই পারেন ক্রিস্টিয়ান গ্রে, কবীর সিং কিংবা ডন মাসিমোকে। তবে মেয়েরা যেখানে আটকায়, শুধু মেয়েরা নয়, মূলত মানুষ যেখানে আটকায়—তা হলো লয়্যালটি।
মানুষটি নিজে লয়্যাল হোক বা না হোক, তিনি চান তার সম্পর্কের বিপরীতে অবস্থানরত মানুষটি হবেন অত্যন্ত লয়্যাল। সুখে-দুঃখে, শীত-গ্রীষ্মে তিনি আঁকড়ে ধরে রাখবেন আশ্রয় হয়ে। বর্তমানের মেয়েরা যা চায় তা হলো জেনজি শরীরে মধ্যযুগীয় মন, সেখানে প্রি ইন্টারনেট যুগের মতো চিঠি থাকবে আবার আধুনিক যুগের লেট নাইট পার্টিও থাকবে। তারমধ্যে গাম্ভীর্য থাকবে, প্রাণখোলা হাসি থাকবে, ফিয়ার্সনেস থাকবে, আবার মমতাও থাকবে। সে হবে পারফেক্ট স্বাদের ঝালমুড়ি কিংবা ভেলপুরীর মতো। সে হবে Nice, আবার Attractive ও!
এমন মানুষ পাওয়া কি ভীষণ কঠিন?
মেয়েরা কিন্তু তাই মনে করে।
অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের আগে যখন বাসা থেকে জানতে চাওয়া হয় 'কেমন ছেলে পছন্দ?' অনেকেই দ্বিধায় পড়ে যান। সত্যিই তো, কেমন মানুষ চাই? অনন্ত জলিলের মতো নিঃস্বার্থ প্রেমিক? জে গেটসবির মতো ক্যারিয়ার অরিয়েন্টেড ওয়ার্কোহলিক? নাকি হাওয়ার্ড মার্শালের মতো বার্ধ্যক্যের শীর্ষে থাকা কোনো ধনকুবের?
সেক্ষেত্রে একজন আইডিয়ালিস্টিক মানুষ হতে পারেন আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। সম্প্রতি গত হওয়া সরকারের কাছে চুপ্পুর আনুগত্য ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে খোদাই করা থাকবে। তিনি ভালুক দেখে বন্ধুকে ফেলে গাছে উঠে যাননি, বরং বন্ধুই তাকে ফেলে গাছে উঠে গেছে। তিনি এখনও লড়াই করে চলছেন সর্বস্বদিয়ে।
সময়ের সাথে সাথে হারিয়ে গেছে তার মুখের হাসি, উচ্ছলতা এবং কর্মস্পৃহাও। অনলাইনে দেখা যায় না তার চমৎকার সব কমেন্ট। বিপত্নীক হওয়া মানুষের শোকও ধীরে ধীরে কেটে যায়, কিন্তু চুপ্পু সাহেবের শোক এখনও কাটেনি। তিনি এমন একজন মানুষ, যিনি একইসাথে দর্শনধারী এবং গুণী ব্যক্তি। হতে পারি আমরা পৃথিবীর বুকে ছোট্টো একটি দেশ, ছোট্টো দেশটির পুকি রাষ্ট্রপ্রধান তিনি— কিন্তু তার ব্যক্তিত্ব এবং আনুগত্য হিমালয় সমান।
তাই মেয়েরা, বি ওয়াইজ।
প্রেম কিংবা বিয়ের জন্য চুপ্পুর মতো ছেলে খুঁজে নিও। ভুল করো না।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন