বিশ্বখ্যাত গোয়েন্দা শার্লক হোমসের ব্যাপারে আপনি যে ১০টি তথ্য নাও জানতে পারেন

৫৫৪২ পঠিত ... ১৮:৩৬, জানুয়ারি ০৬, ২০২০

শার্লক হোমস বিশ্বসাহিত্যের সবচেয়ে বিখ্যাত ফিকশান হিরোদের একজন। এই ফিকশনাল ডিডিকটিভকে নিয়ে আছে অদ্ভুত সব ফ্যাক্ট, এনেকডোটস ট্রিভিয়া এবং নানা জল্পনা কল্পনা। জেনে নিন বাছাই ১০টি শার্লক হোমস ফ্যাক্ট। 

 

১#
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ডিটেকটিভের নাম শার্লক না হয়ে শেরিনফোর্ড ও হতে পারতো। স্যার আর্থার কোনান ডয়েল ক্রিকেটের মহাভক্ত ছিলেন। তিনি ১৮৯৯ থেকে ১৯০৭ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের বিখ্যাত  মেরিলীবোন ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে দশটি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ ও খেলেছিলেন। এহেন ক্রিকেটভক্তের গল্পের চরিত্রের নাম একজন ক্রিকেটার এর নামে হতেই পারে। পরে অবশ্য তিনি মত পরিবর্তন করে শেরিনফোর্ডের পরিবর্তে শার্লক নাম রাখাটাই মনস্থ করেন।  

২#
যদিও শার্লক হোমস একটি কাল্পনিক চরিত্র, এই কাল্পনিক চরিত্র ও কিন্তু একজনের ছায়া অবলম্বনে রচিত। তিনি ছিলেন স্যার আর্থারের প্রাক্তন শিক্ষক, ডঃ জোসেফ বেল। স্যার আর্থার যখন এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটিতে পড়তেন তখন তিনি ডঃ জোসেফের দেখা পান। রোগীকে চেম্বার প্রবেশ করতে দেখা মাত্রই তিনি রোগ নির্ধারণ করতে পারতেন। 

৩#
শার্লক হোমস কখনোই Elementery! My dear watson কথাটি বলেনি।  

৪#
শার্লকের দ্বিতীয় উপন্যাস, দ্যা সাইন অফ ফোর লেখা হয়েছিল অস্কার ওয়াইল্ডের সাথে এক ডিনার পার্টির পরে।

৫#
উইলিয়াম জিলেট নামের একজন মেথড এক্টর শার্লকের অভিনয় করতে গিয়ে এক মজার কাণ্ড  করে বসেন। মিউজিয়াম অফ লন্ডনের তথ্যমতে ১৯০০ সালে স্টেইজে লাইভ পারর্ফর্মের সময় এই নিবেদিত অভিনেতা হাতে কোকেনই ইঞ্জেক্ট করে বসেন। 

৬#
মাত্র দুই বছরের মাথায় শার্লক হোমস কে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন স্যার আর্থার কোনান ডয়েল। তার অভিযোগ ছিল “এটা (শার্লক) আমাকে অন্যান্য বিষয়ে মনোযোগ দিতে দিচ্ছে না’। 

৭#
অনেকেই অনুমান করেছেন শার্লক এর সাথে মরিয়ার্টির যে দা-কুমড়া সম্পর্ক এর  পেছনে কোনো ‘কাহিনী’ আছে। এ বিষয়ে নানান থিওরি বা অনুমান রয়েছে। সবচেয়ে মজার দুটি থিওরির একটি হচ্ছে  শার্লকের ছোটবেলায় তার ম্যাথ টিউটর ছিলেন মরিয়ার্টি। আরেকটি হচ্ছে শার্লকের মায়ের সাথে মরিয়ার্টির সম্পর্ক ছিল। 

৮#
শার্লক হোমস  পাঠকদের মোটামুটি সবাই জানেন যে ডক্টর ওয়াটসন এর ডাক নাম জন। তবে ‘দ্যা ম্যান উইথ দ্য টুইস্টেড লিপ্স’-এ  কেন ওয়াটসনের ওয়াইফ তাকে জন না বলে জেমস বলে ডাকলেন সে রহস্য উদঘাটন করতে মনে হয় শার্লককেই ডাকতে হবে।   

৯#
শার্লকের প্রথম বইয়ের নাম প্রথমে ছিল (A Tangled Skein)। প্রায় এক মাস লেখা পরে এই বইটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘এ স্টাডি ইন স্কারলেট। বইটির কপিরাইটের জন্য কোনান পেয়েছিলেন মাত্র ২৫ পাউন্ড। আর এর ভিতরে যে ছয়টি কলমে আকা চিত্র আছে সেগুলো একেছিলেন তার বাবা চার্লস ডয়েল। চার্লস ডয়েলকে তার পরিবারের লোকেরাই একটি মানসিক আশ্রয়কেন্দ্রে আটকে রেখেছিলেন  মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান আর মৃগীরোগের জন্য। প্রথম এবং একমাত্র সংস্করণটি এখনো লন্ডনের জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।      

১০#
শার্লক ১০০টির ও বেশি কেইস এর সমাধান করেছেন। একটি কেসের কারণে তো তিনি ব্রিটেনের রানীর সাথেই দেখা করার সুযোগ পেয়ে যান। ‘দ্য ব্রুস-পার্টিংটন প্ল্যান্স’ রহস্যটি সমাধান করার পরে গল্পের শেষে উইন্ডসর প্রাসাদে রানী ভিক্টোরিয়ার সাথে শার্লকের একটি বৈঠক হয়। রানী তাকে পান্নার তৈরি একটি সুদৃশ্য টাইপিন উপহার দেন।    

৫৫৪২ পঠিত ... ১৮:৩৬, জানুয়ারি ০৬, ২০২০

আরও eআরকি

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

কৌতুক

রম্য

সঙবাদ

স্যাটায়ার


Top