রমনা পার্ক নিয়ে আমার দীর্ঘদিনের একটা পরিকল্পনা আছে। ঢাকা শহরের বুকের উপর কত সুন্দর একটা জায়গা। গাছ, ফুল, পাখি, ঘাস, লতা, পাতা, ছায়া, কায়া কত কী! আপনার যদি কাপল রেটিং করার মত নির্দোষ জাজমেন্টাল হবি থাকে তাহলে একদিন সময় করে রমনা যাবেন। সুন্দর-সুন্দর কপোত-কপোতিরা প্রেম করছে। আহা! কী সুন্দর দৃশ্য। যারা নিয়মিত রমনা পার্কে যায় তারা মোটামুটি ঢাকার ঋতু পরিবর্তনটা দেখতে পারে। বুঝতে পারে। রমনা নিয়ে বলতে গেলে শেষ হবে না, তবু একটা লাইন বলে শেষ করে দেই। রমনায় গেলে আপনার চোখও জুড়াবে, মনও জুড়াবে, শরীরটাও জুড়াবে।
তো, এই রমনার উন্নয়ন নিয়ে আমি সম্প্রতি একটা প্ল্যান সাজিয়েছি। এত সুন্দর একটা জায়গা উন্নয়ন ছাড়া পড়ে আছে, দেখতে ভালো দেখায় না।
আমি মেজরমেন্ট করে দেখেছি, এখানে মোটামুটি ২০-২৫ টা রিসোর্ট বানানো যাবে। কিছু থাকবে টাউন ভিউ। শহরের দিকে ফিরানো। কিছু থাকবে লেক ভিউ। উদ্যান ভিউ। সোনারগাঁ ভিউ। মিন্টু রোড ভিউ। কাকরাইল মসজিদ ভিউ। প্রতিটি রিসোর্টই হবে এয়ার কন্ডিশন। বড় গাছগুলোতে করা হবে আকর্ষণীয় ট্রি হাউজ।
অ্যামিউজিং পার্ক থাকবে কয়েকটা। বসুন্ধরা সিটির টোগো ফান ওয়ার্ল্ড, বাবু ল্যান্ডের মত আধুনিক ডিজাইনের। মূলত শিশুদের কথা মাথায় রেখেই অ্যামিউজিং পার্কের ভাবনা।
কিছু সুইমিংপুলের প্ল্যানও ভেবেছি। পাবলিক সুইমিংপুল করা যাবে বড় বড় বেশ কয়েকটা। কিছু সুইমিংপুল করা যাবে প্রাইভেট। বেশি টাকা দিলে প্রিয়জনকে নিয়ে সেখানে একান্তে সাঁতার কাটা যাবে।
পার্কের ৪ কোনায় চারটা অত্যাধুনিক ফুডকোর্ট থাকবে। রিসোর্টগুলোর ছাদে করা হবে রুফটপ। হেলিকপ্টার ল্যান্ড করার জন্য থাকবে কয়েকটা হেলিপ্যাড।
লেকগুলোতে বিলাসবহুল ক্রুজের ব্যবস্থা থাকবে। যে কেউ চাইলে প্রিয় মানুষকে নিয়ে এই ক্রুজে কাটাতে পারবে কিছু কোয়ালিটি টাইম। রোমান্টিক মোমেন্ট। রমনা পার্ক লেকে সমুদ্রের ছোঁয়া।
একটা পার্টি সেন্টার করা হবে। রমনার শীতল পরিবেশে ও শতভাগ প্রাকৃতিক পরিবেশে, প্রকৃতির স্পর্শে যারা বিয়ে, জন্মদিন, অ্যানিভার্সারি, সুন্নতে খতনার অনুষ্ঠান করতে চায়—এটা তাদের জন্য।
এছাড়া রমনা উন্নয়ন প্রকল্পে আর কী কী রাখা যেতে পারে? এনি সাজেশন? এত সুন্দর একটা জায়গা উন্নয়ন ছাড়া পড়ে আছে, জিনিসটা দেখতে ভালো দেখায় না।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন