এক বন্ধুর সাথে দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু মাথাটা একটু ঘুরানোর কারণে যাওয়া হয় নাই। ও কল দিছে। বললাম দোস্ত, ‘আজকে দেখা করতে পারব না।‘
জিজ্ঞেস করল, ‘কেন?’
বললাম, ‘দোস্ত, মাথাটা একটু ঘুরাচ্ছে।‘
সাথে সাথেই আমাকে কোনো কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ননস্টপ বলতে শুরু করল—মাথা ঘুরাচ্ছে? এই সময়ে এটা স্বাভাবিক। টেস্ট করে নে। বমি হইতে পারে, খেয়াল রাখিস। আচার খাইতে ইচ্ছে করবে। বেশি খাইস না। ঘনঘন বমি হলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। বেশি বেশি খাওয়া দাওয়া করবি। মনে রাখবি, এখন তোকে দুজনের খাবার খেতে হবে। খেতে ইচ্ছে করবে না। তাও খেতে হবে। এই সময়ে গ্যাসের অনেক সমস্যা হবে। সেজন্য ভাজা-পোড়া এড়িয়ে চলা ভালো। ভারি কোনো কিছু উঠাবি না। ভারি কোনো কাজ করবি না। ঠিকমত ঘুমাবি। পুষ্টিকর খাবার বেশি খাবি। সবসময় সাথে কাউকে রাখবি। একা একা হাঁটাচলা করবি না। কিছু ব্যায়াম আছে, আমি লিখে দিচ্ছি, রেগুলার এই ব্যয়ামগুলো করবি। কনগ্রাচুলেশনস, মনে রাখবি, তোর জীবনের নতুন এক অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে। তোর মাতৃসত্ত্বার বিকাশ ঘটতে যাচ্ছে। প্রতি তিনমাস পরপর ডাক্তার দেখাবি। শেষের দিকে আরও ঘন ঘন দেখাতে হবে। সম্ভব হলে সপ্তাহে একবার।
ওকে থামিয়ে বললাম, ‘দোস্ত, আমি তোর বন্ধু করিম। লিঙ্গ পুরুষ। তুই যে গাইনোকোলজিস্ট এইটা তোকে কল দেয়ার আগে আমার মনে রাখার দরকার ছিল। সরি।‘
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন