এক রাজ্যে ছিলো এক নায়ক। রোজ সে একটা প্লটের জন্য জঙ্গলে গিয়ে বসে বসে রিল বানাতো। নায়কটি ছিলো গরিব। প্লট কেনার মতো টাকাও তার ছিলো না। এক টাকার একটা কয়েন পকেটে নিয়ে তাই সে একটা হৃদের পাশের গাছের নিচে বসে থাকতো। কান্নাকাটি করতো। রিল বানাতো।
একদিন কাঁদো কাঁদো ভঙ্গীর রিল বানাতে গিয়ে নায়কটির এক টাকার কয়েন হৃদে পড়ে গেলো। প্লটও নাই টাকাও নাই—এমন একটা পরিস্থিতিতে নায়কের মন আরও দুঃখ ভারাক্রান্ত হলো। তিনি আরও কাঁদতে লাগলেন।
কিছুক্ষণ কান্না করার পর হৃদ থেকে উঠে আসলো এক পরী। হাতে নিয়ে একটি সোনার কয়েন। পরী নায়ককে বলে, ‘এটা কি তোমার কয়েন?’ নায়ক বলে ‘না।‘ পরী আবার ডুব দেয়, নিয়ে আসে একটি রূপার কয়েন। নায়ক বলে, ‘না, এটাও আমায় কয়েন না।‘ এবার পরী নিয়ে আসে নায়কের সেই এক টাকার কয়েন। এবার নায়ক বলে, ‘হ্যাঁ। এটাই আমার কয়েন।‘
রেগে যায় জলপরী। ধমক দিয়ে বলে, ‘হারামজাদা, এক টাকার জন্য তুই এখানে বসে কাঁদতেছিস কেন? ব্লাডি গরিব।‘
নায়ক দুঃখের কথা সুধায়। জানায়, ‘এক টাকা নিয়ে একটা গল্পের প্লট খুঁজছে সে। যে প্লট পেলে ঘুঁচে যাবে অভাব। নিজের একটা বাড়ি হবে, গাড়ি হবে।‘
জলপরী নায়কের দুঃখ বুঝতে পেরে নায়ক সান্ত্বনা দিয়ে আবারও ডুব দিলো। হাতে করে নিয়ে আসলো একটি বায়োগ্রাফি।
বললো, ‘এই কি তোর সেই প্লট?’
নায়ক বললো, ‘না, পরী, এই প্লট আমি চাই না।‘
জলপরী: হারামজাদা, এটাই তুই চাস। আমি কি প্রতিবার তিনবার করে ডুব দিবো? আমার আর কাজ নাই? তিন নাম্বারটাই নিয়ে আসছি। এটাই তুই চাস।‘
নায়ক ভালো করে তাকিয়ে দেখলো, হ্যাঁ, এটাই সে চায়।
নায়কের জীবন ঘুরে গেলো। প্লট হলো, প্লট হলো, সম্মান হলো, রাজদরবারে জায়গা হলো।
নায়কের এমন উন্নতি দেখে এক নায়িকা নায়কের কাছে পুরো বিষয়টি জানতে চাইলো। নায়ক সব খুলে বললো।
নায়িকা এবার ১ টাকার একশোটা কয়েন নিয়ে চলে গেলো সেই হৃদের কাছে গাছের তলায়।
ফেলে দিলো হৃদে।
জলপরী উঠে আসলো।
নায়িকাকে বললো, ‘এত ঝামেলা করতে পারবো না। বলুন মা, আপনি কী চান?’
নায়িকা বললো, ‘আমি একটা প্লট চাই।‘
জলপরী বললো ধমক দিয়ে বললো, ‘তুমি তো ১ টা প্লট চাও না, ১০০টা প্লট চাও। যাও, তোমার জন্য ওনার প্লটই দিচ্ছি।‘
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন