এক শীতের সকালে দাদা তার নাতিকে নিয়ে সুপার শপে গেছেন বাজার করতে। বাচ্চাটি যখনই যে জিনিসের সারিতে যায় সেটাই নেয়ার জন্য চিৎকার করতে করতে শুরু করে। তার হাতে একমুঠো চকলেট থাকা সত্ত্বেও যথারীতি সে চকলেটের সারির সামনে গিয়ে জোরে জোরে চিৎকার করতে শুরু করলো।
বাচ্চাটির চিৎকার-চেঁচামেচির এই বিরক্তি সহ্য করে দাদা খুব ঠাণ্ডা মাথায় বলছিলেন, ‘শান্ত হও, অ্যালবার্ট, শান্ত হও। আমরা এখানে আর বেশিক্ষণ থাকব না।’ তবু নাতি সাহেবের থামবার নাম নেই, একবার চকোলেটের সারির সামনে গিয়ে চিৎকার করে তো আরেকবার বিস্কুটের সারির সামনে!
বাচ্চাটির কাণ্ড কারখানা শুরু থেকেই একজন মহিলা দূর থেকে খেয়াল করছিলেন। এত বিরক্ত করা সত্ত্বেও দাদা যে মাথা ঠাণ্ডা রেখে বাচ্চাটিকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন, তা দেখে রীতিমতো অবাক হচ্ছিলেন তিনি।
দাদা তার নাতিকে নিয়ে আরেক সারিতে ফল কিনতে গেলে নাতি চারপাশের জিনিস ছোড়াছুড়ি করতে লাগল। বাচ্চাটির এহেন ‘উচ্চমার্গীয়’ কাণ্ড দেখেও বাচ্চাটির দাদা শান্ত ভঙ্গিতে বললেন, ‘শান্ত হও অ্যালবার্ট, হতাশ হয়ো না। আমরা পাঁচ মিনিটের মধ্যে বাসায় ফিরব।’
এমন ভয়ঙ্কর মুহূর্তেও বৃদ্ধ দাদার এমন ঠাণ্ডা মেজাজ দেখে মহিলা এবার সত্যিই অনেক অবাক হলেন। এরপর দাদা যখন নাতিকে গাড়িতে বসিয়ে রেখে বাজার সদাই গাড়িতে ঢুকাচ্ছিলেন; তখন সেই মহিলাটি এগিয়ে এসে দাদাকে বললেন, ‘যদিও এটা আপনাদের নিজেদের ব্যাপার। তবুও, আমি জানি না আপনি কীভাবে সারাটা সময় মাথা ঠাণ্ডা রেখে বাচ্চাটি সামলিয়ে গেলেন। ও বারবার বিরক্ত করছিল, তবু আপনি বারবার ওকে ঠাণ্ডা মাথায় বুঝিয়ে যাচ্ছিলেন। অ্যালবার্ট সত্যিই ভাগ্যবান যে সে আপনার মতো একজন দাদা পেয়েছে।’
‘ধন্যবাদ’ উত্তর দিলেন দাদা, ‘কিন্তু অ্যালবার্ট হচ্ছে আমার নাম। আর গাড়িতে যে আমার যে বানর টাইপ নাতি বসে আছে তার নাম স্টুয়ার্ট। ওকে নয় আমি নিজেই নিজেকে বুঝাচ্ছিলাম। ওকে বোঝানোর মতো ধৈর্য বা ক্ষমতা, কিছুই আমার নেই।’
(ইংরেজি কৌতুক থেকে অনুদিত)
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন