ময়নাতদন্তের রিপোর্টসহ সাক্ষী হিসেবে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছেন একজন ডাক্তার। আসামিপক্ষের উকিল তাকে জেরা করার অনুমতি চাইলেন। বিচারকের অনুমতি পেয়ে তাদের মাঝে নিম্নোক্ত কথা হল—
: আপনি কি নিজে একাই এ ময়নাতদন্তটি করেছেন?
: জি।
: যখন আপনি তার গায়ে প্রথম ছুরিটি চালান আর কেউ আপনার সঙ্গে ছিল সেই রুমের ভেতর?
: কেউ ছিল না।
: তাহলে আমি যদি বলি সেই লোকটিকে আমার মক্কেল হত্যা করেনি, আপনি হত্যা করেছেন! আপনি ময়নাতদন্ত শরু করার আগ মুহূর্ত পর্যন্তও তার দেহে প্রাণ ছিল। কী বলেন?
আমি কি এ কথা বলতে পারি না?
: জি না পারেন না...
: কেন? ময়নাতদন্ত শুরু করার আগে আপনি কি তার পালস পরীক্ষা করেছিলেন?
: না....
: হার্টবিট চেক করেছিলেন? বা প্রেসার?
: জি না।
: আপনি কি এটাও দেখেননি যে তার শ্বাসপ্রশ্বাস চালু আছে কিনা?
: জি না। আমি ওসব কিছুই দেখিনি বা চেক করিনি।
: আহা! তাহলে আপনি কীভাবে এত নিশ্চিত হয়ে বলছেন যে আপনি যখন ময়নাতদন্ত শুরু করেছেন তখন সে মৃত?
: কারণ তখন তার আস্ত ব্রেইনটি বের করে আমার টেবিলের ওপর একটি বিশেষ পরীক্ষার জন্য বয়ামে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছিল!
এবার উকিল সামান্য অপ্রস্তুত হয়ে ফের জিজ্ঞেস করল—
: কেন? ব্রেইন ছাড়া কি মানুষ কোনোভাবেই বেঁচে থাকতে পারে না?
: পারে... ওকালতি করে বেঁচে থাকতে পারে।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন