একদিন খোশ মেজাজেই দরবারীদের সঙ্গে গল্প করছিলেন সম্রাট। হঠাৎ প্রশ্ন করে বসলেন, ‘আচ্ছা, তোমরা মনে মনে এখন কে কি ভাবছ এটা কি কেউ আমাকে বলতে পারবে? যদি পারো তাহলে তাকে আমি বিশেষভাবে পুরষ্কৃত করবো।’
সবাই নিশ্চুপ। কেউ তো আর জ্যোতিষী নয় যে বলতে পারবে।
বীরবল বললেন, ‘জাঁহাপনা, আমি কি একজন একজনকরে প্রত্যেকের মনের কথা আলাদা করে বলব, না সবারটা একত্রে বলব?’
বীরবলের কথা শুনে সভাসদরা তো সব ভীষণ আঁতকে উঠলেন। সর্বনাশ! আলাদা আলাদা বলে, না জানি কাকে ফাঁদে ফেলেন বীরবল। বীরবলের কথার প্রতিবাদ করেও ফায়দা হবে না। এইসব ভাবতে ভাবতে বীরবলের প্রতি ঈর্ষাকাতর দরবারীর আত্না পানি হয়ে গেল।
কিন্তু সম্রাট বললেন, ‘বড় অদ্ভুত কথা শোনালে হে। সবার চিন্তা কি এক হয় যে, একত্রে বলে দেবে?’
বীরবল বললেন, ‘বেশ। তাহলে শুনুন, হুজুর। এই মুহুর্তে সবাই মনে মনে ভাবছেন, -সম্রাটের উন্নতি হোক, তিনি দীর্ঘায়ু হোন। রাজ্যের সবাই সুখে শান্তিতে বেঁচে থাকুক। বিশ্বাস না হয় আপনি সবাইকে জিজ্ঞেস করে দেখুন।’
সম্রাটের আর জিজ্ঞেস করতে হলো না। দরবারীরা সবাই একত্রে বলে উঠলেন, ‘আজ্ঞে জাঁহাপনা, বীরবল যথার্থই বলেছেন। আমরা তো আসলে এই চিন্তার বাইরে আর অন্য কিছুই ভাবতে পারি না।’
সেদিনও চমৎকার উপস্থিত বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে বীরবল পুরুস্কার ছিনিয়ে নিলেন।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন