১#
ভ্যালেন্টাইন’স ডে’তে এক প্রেমিক গেছে রেস্টুরেন্টে খেতে। তার উদ্দেশ্য ঐ রেস্টুরেন্টের সুন্দরী ওয়েট্রেসকে প্রেম নিবেদন করা। সুন্দরী ওয়েট্রেস এগিয়ে এলো।
: কী দেব?
: একটা কাটলেট আর কফি আর...
: আর?
: আর তোমার মুখ থেকে দাও ভালোবাসার কোনো বাণী- যা শোনার জন্যে আমি যুগ যুগ ধরে অপেক্ষা করছি।
সুন্দরী ওয়েট্রেস অর্ডার নিয়ে চলে গেল। কিছুক্ষণ পর কাটলেট আর কফি তার টেবিলে নামিয়ে রাখল। উদগ্রীব প্রেমিক গলা বাড়িয়ে দিলো।
: ভা-ভালোবাসার বানী?
মাথা নামিয়ে আনলো সুন্দরী ওয়েট্রেস। তারপর ফিসফিস করে প্রেমিকের কানে কানে বললো, কাটলেটটা দুদিন আগের। খেও না।
২#
মেয়ে: আজ ভ্যালেন্টাইন ডে। চল আমরা অন্যরকম একটা কিছু করি।
ছেলে: কী সেটা?
মেয়ে: ব্যাপারটা ‘চ’ দিয়ে।
ছেলে: (খুশি) বেশ!
তারপর তারা ফুলপ্লেট চটপটি খেয়ে বাড়ি ফিরলো।
৩#
প্রেমিক-প্রেমিকা ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে পার্কে বসে।
মেয়েটি বললো, জানো, তুমি ছাড়া অন্য কোন ছেলে আমাকে আজ পর্যন্ত চুমু খাই নি।
ছেলেটা গদগদ কন্ঠে বললো, সেজন্য আমি তোমার কাছে কৃতজ্ঞ। দাঁড়াও, তোমার জন্য চটপটি নিয়ে আসি।
প্রেমিক উঠে যেতেই পাশের ঝোপ থেকে আরেক ছেলে মাথা বাড়িয়ে বললো, ‘একটু আগে যা বললেন সেটা আপনার অহঙ্কার হলে আমার বলার কিছু নাই। আর অভিযোগ হলে এপাশটায় চলে আসুন, এখনই চান্স।’
৪#
: আমার প্রেমে পড়ার আগে আর কারও সঙ্গে প্রেম হয়েছিলো।
: কথা বলছো না যে? রাগ করলে?
: রাগ করিনি, গুনছি...
৫#
ভ্যালেন্টাইন ডে-তে এক তরুণী গেলো আর্চি শপে।
: আমাকে একটা ভালো কার্ড দেখান তো।
: নিশ্চয়ই বয়ফ্রেন্ডের জন্যে?
: ঠিক ধরেছেন।
: এটা দেখুন তো।
তরুণীটি কার্ডটি হাতে নিয়ে দেখলো। কার্ডটি তার পছন্দ হলো।
: হ্যাঁ, এটাই দিন।
দোকানদার একটা কার্ড সুন্দর করে প্যাকেট করে বাড়িয়ে দিল তরুণীটির দিকে। এবার তরুণীটি বিরক্ত হয়ে বললো, ‘একটা না, এক ডজন কার্ড দিন।’
৬#
প্রেমিকার বাবা: তুমি কোন সাহসে আমার মেয়েকে আলিঙ্গন করলে শুনি?
প্রেমিক: প্রথম কারণ আজ ভ্যালেন্টাইনস ডে, দ্বিতীয় কারণ একজন বিখ্যাত ব্যক্তি...
প্রেমিকার বাবা: বিখ্যাত ব্যক্তি মানে?
প্রেমিক: একজন বিখ্যাত ব্যক্তির বাণী অনুসরণ করেছি মাত্র।
প্রেমিকার বাবা: বিখ্যাত ব্যক্তিটি কে? বাণীটাই বা কী?
প্রেমিক: থমাস কার্লাইল। তিনি বলেছেন- এ জগতে যা কিছু মহৎ সুন্দর, তাকেই আলিঙ্গন কর।
৭#
ভ্যালেন্টাইন ডে-তে খুব রোমান্টিক আচরণের পর প্রেমিক-প্রেমিকা।
প্রেমিকা: এই, তুমি অমন করে চুমু খাওয়া শিখলে কোথায়?
প্রেমিক: বাহ আগে আমি বিজিবি-তে থাকার সময় বিউগল বাজাতাম না!
৮#
স্ত্রীর ভালোবাসার বিশ্বস্ততা পরীক্ষা করার জন্য স্বামী ভ্যালেন্টাইন ডে’র রাতটাকেই বেছে নিল। সে তার বিছানার নিচে এক গামলা দুধ রাখল আর একটা ভারী জিনিস দড়ি দিয়ে বেঁধে ডুবিয়ে দিল ঐ গামলায়। দড়িটা বাধা থাকলো বিছানার সঙ্গে। তারপর দুদিনের জন্যে সে গায়েব হয়ে গেল। দুদিন পর ফিরে এসে দেখলো- সেই দুধের পুরোটাই ঘুটনি খেয়ে মাখন হয়ে গেছে।
৯#
প্রেমিক: আমি আপনার মেয়েকে ভালোবাসি।
প্রেমিকার বাবা: তা তোমার বাবা কী করেন?
প্রেমিক: আমার বাবাও আমার মাকে ভালোবাসেন।
১০#
: আপনার স্বামী নাকি বিদেশে?
: হ্যাঁ।
: কবে গেলেন।
: ঐ যে ভ্যালেন্টাইন ডে’র পরদিন থেকে তো তিনি বিদেশে।
: কেন?
: সামান্য হাঁটুর কারণে।
: মানে?
: আমি ঐ ভ্যালেন্টাইন ডে’তে ওর অফিসে গিয়েছিলাম সারপ্রাইজ দিতে। গিয়ে দেখি তার দুই হাঁটুর উপরে সেক্রেটারিকে বসিয়ে রেখেছে। তারপর আর কী? এখন দুই হাঁটুর চাক্কি জোড়া লাগাতে ব্যাংককে।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন