এক চাইনিজ ডাক্তার বাংলাদেশে এসে কোনো হাসপাতালে চাকরি না পেয়ে একটা ক্লিনিক খুলে বসলো। সেখানে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিলো: ‘মাত্র ৫০ টাকায় চিকিৎসা করান। বিফলে বুঝে নিন ৫০০ টাকা।‘
এক লোক ভাবলো, রোগী সেজে ৫০০ টাকা কামানোর ভালো সুযোগ।
রোগী: আমার মুখে কোনো স্বাদ নাই। যা-ই খাই সব সমান।
ডাক্তার: নার্স, ২২ নম্বর শিশি থেকে ৩ ফোঁটা ওষুধ এই রোগীকে খাইয়ে দাও।
রোগী: ওয়াক থু! এতো কেরোসিন...
ডাক্তার: ওয়াও! কেরোসিন চিনতে পেরেছেন! এই তো আপনার মুখে স্বাদ ফিরে এসেছে। ৫০ টাকা দিন।
রোগী বিরক্ত হয়ে চলে গেলো। কিন্তু ৫০ টাকা উদ্ধার করতে কিছদিন পরে সে আবার এলো।
রোগী: আমি স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছি। কিছু মনে করতে পারি না।
ডাক্তার: নার্স, ২২ নাম্বার শিশি থেকে ৩ ফোঁটা ওষুধ একে খাইয়ে দাও।
রোগী: এটা তো কেরোসিন। আগের বার মুখের স্বাদ ফিরিয়ে আনতে এটা দিয়েছিলেন।
ডাক্তার: বাহ! মনে পড়েছে দেখছি। আপনি আপনার স্মৃতিশক্তি ফিরে পেয়েছেন। ৫০ টাকা দিন।
রোগী হতাশ হয়ে চলে গেলো। কিন্ত সে দমার পাত্র নয়। ১০০ টাকা তাকে তুলতেই হবে। কিছুদিন পরে সে আবার এলো ডাক্তারের কাছে।
রোগী: আমার চোখের দৃষ্টি খুব খারাপ। কিছুই দেখতে পাই না।
ডাক্তার: আপনার চোখের চিকিৎসা করার কোন ওষুধ আমাদের কাছে নাই। এই নিন ২০০ টাকা।
রোগী: কিন্তু এটা তো ৫০ টাকার নোট! ৫০০ টাকার না।
ডাক্তার: অভিনন্দন। আপনি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছেন। ৫০ টাকা দিন।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন