পৃথিবীর সবচেয়ে বড় উৎসব কোনটি? তর্ক ছাড়াই যদি কোনো ব্যাপারে একমত হওয়া যায়, তাহলে সেটা অবশ্যই বিশ্বকাপ ফুটবল! ফুটবলের এই বিশ্বকাপ এসে আবার চলেও যাওয়ার পথে। বিদায় নিয়েছে অনেক দল, হাসিখুশির ফাঁকে উঁকি দিয়েছে কয়েক ফালি কান্নাও। তবু বৈশ্বিক আনন্দের এই উৎসব হাসিরই উপলক্ষ্য হতেই পারে। বিশ্বকাপের মৌসুমে তাই ফুটবল নিয়ে এই ২৫টি কৌতুক পড়ুন আর হেসে উঠুন, আপন দুর্বলতায়!
১#
২#
পটলা আর বিল্টুর মধ্যে কথা হচ্ছে—
পটলা: জানিস, এবার আমরা দেশের মধ্যে সেরা ফুটবল দল হিসেবে বিবেচিত হব!
বিল্টু: দেশে এত দল থাকতে তুই কী করে বুঝলি যে তোদের দলই সেরা হবে?
পটলা: কারণ, আমরাই একমাত্র দল, যার বিপক্ষে এখন পর্যন্ত কোনো গোল হওয়ার রেকর্ড নেই।
বিল্টু: তা এ পর্যন্ত কতটা ম্যাচ খেলেছিস তোরা?
পটলা: এই তো দল গঠিত হয়েছে। আসছে শনিবারই আমরা প্রথম ম্যাচ খেলব।
৩#
স্থানীয় দলের খেলোয়াড় রঞ্জু ডাক্তারের কাছ থেকে এসে বাইরে এসে মুখ গোমড়া করে বসে আছে। এটা দেখে এক বন্ধু তাকে জিজ্ঞেস করল—
বন্ধু: কী রে, কী হয়েছে? মুখ গোমড়া করে বসে আছিস কেন?
রঞ্জু: আর বলিস না! ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম।
বন্ধু: তো হয়েছেটা কী, শুনি?
রঞ্জু: ডাক্তার বলল, আমি নাকি আর ফুটবল খেলতে পারব না।
বন্ধু: ডাক্তার ঠিকই তো বলেছে। আমার মনে হয় কি জানিস, ডাক্তার মনে হয় তোর খেলা দেখেই এ পরামর্শ দিয়েছেন।
৪#
৫#
স্কুলের ফুটবল খেলোয়াড়দের জার্সি বারবার চুরি হয়ে যাচ্ছে দেখে মহা চিন্তায় পড়ে গেলেন দলের কোচ। অনেক চিন্তাভাবনা করে চুরি রোধ করতে জার্সির পেছনে এবার লেখা হলো ‘মডেল স্কুলের জার্সি’। কিন্তু তারপরও জার্সি চুরি থামলো না।
কোচ আবারও চিন্তাভাবনা করে নতুন জার্সি তৈরি করলেন। জার্সির পেছনে লিখলেন, ‘মডেল স্কুল থেকে চুরি করা জার্সি।’ এবার চুরি বন্ধ হয়ে গেল।
৬#
খেলা দেখতে দেখতে এক দর্শক সরাসরি রেফারিকে উদ্দেশ করে অপমানজনক মন্তব্য করে বসলো। পাশ থেকে রেফারি তা শুনতে পেয়ে একটু দূরে সরে দাঁড়ালেন। কিন্তু সেই দর্শক নাছোড়বান্দা। রেফারির দূরে সরে যাওয়া দেখে এবার বেশ চিৎকার করে রেফারিকে নিয়ে কটূক্তি করতে থাকল সেই দর্শক। রেফারি রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে সেই দর্শকের কাছে এসে বললেন, ‘আরে ভাই, আপনি খেলা দেখতে এসেছেন, না মানুষকে বিরক্ত করতে এসেছেন, শুনি? আমি তো বিশ মিনিট ধরে দেখছি আপনি খেলা না দেখে বরং খেলায় গন্ডগোল ঘটাচ্ছেন।’
‘কেন! আমিও তো দেখছি আপনি খেলায় দায়িত্ব পালন না করে বিশ মিনিট ধরে আমার দিকেই তাকিয়ে আছেন। আপনাকে তো রেফারি পদ থেকে বহিষ্কার করা উচিত।’ দর্শকের সোজা জবাব।
৭#
৮#
এক আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলোয়াড় এক পার্টিতে গিয়ে তাঁর বন্ধুর সঙ্গে কথাবার্তা বলছেন—
খেলোয়াড়: ভাবছি, একটা আত্মজীবনী লিখব।
বন্ধু: বাহ্, ভালো তো! কবে এটা প্রকাশ করবে তুমি?
খেলোয়াড়: আমি আমার মৃত্যুর আগে এটা প্রকাশ করতে চাই না।
বন্ধু: তাহলে অনেক দেরি হয়ে যেতে পারে। তোমার ভক্তরা তো এটা পড়তে চাইবে।
খেলোয়াড়: কিন্তু আমার সিদ্ধান্তে আমি অনড়।
বন্ধু: ঠিক আছে, সমস্যা নেই। আমি তো নিজেও তোমার ভক্ত। তাই এই বইটি তাড়াতাড়ি প্রকাশে আমি তোমাকে সাহায্য করতে পারি...
৯#
একটি সহজ গোল আটকাতে না পেরে দলের ম্যানেজারের সঙ্গে গোলরক্ষকের কথা হচ্ছে—
গোলরক্ষক: আমি খুব লজ্জিত। ইচ্ছে হচ্ছে নিজেই নিজেকে লাথি মারি।
ম্যানেজার: আমি নিশ্চিত, তুমি সেটাও মিস করবে।
১০#
১১#
ফুটবল খেলায় হাঙ্গামা বাধানোর দায়ে মস্ত এক মুশকো জোয়ান ফুটবল-ভক্তকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। পুলিশ বিচারকের কাছে সাক্ষ্য দিচ্ছে, ‘হুজুর, এই ব্যক্তি খেলা শেষে চরম একটা অপরাধ করেছেন।’ এবার বিচারক ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি কী করেছেন যে আপনাকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হলো?’
মুখ কাঁচুমাচু করে সেই ভক্ত জবাব দিলেন, ‘জনাব, আমি শুধু পাশের খালের পানিতে একটি পাথর ছুড়ে দিয়েছি, আর তাতেই পুলিশ আমাকে ধরে এনেছে।’ বিচারক
বিস্মিত হয়ে বললেন, ‘তাহলে এটা তো তেমন কোনো দোষের কিছু নয়।’ এ কথা শুনে পুলিশ চিৎকার করে উঠল, ‘হুজুর, এই বিশালদেহী অপরাধী যাকে পাথর মনে করে ছুড়ে মেরেছে, সেই পাথরটি ছিল আসলে রেফারি।’
১২#
১৩#
বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখতে এসে স্টেডিয়ামের দরজায় থাকা একটা বড় পিয়ানো নিয়ে বিটলু ও রাজুর মধ্যে কথা হচ্ছে—
বিটলু: জানিস, এই মুহূর্তে স্টেডিয়ামের ওই পিয়ানোটা কিনতে খুব ইচ্ছে করছে।
রাজু: তা, হুট করে খেলা দেখতে এসে সংগীতসাধনার ভূতে ধরল কেন তোকে?
বিটলু: আরে বোকা, সংগীতসাধনার জন্য নয়, আমার খেলা দেখার টিকিটই তো ওই পিয়ানোর ভেতরে ঢুকে গেছে।
১৪#
নিজেদের দল হেরে যাওয়ায় তিন ফুটবল ভক্ত বেশ হা-পিত্যেশ করছে।
প্রথম ভক্ত: এই অবস্থার জন্য দলের ম্যানেজারই দায়ী। যদি তিনি দলে নতুন খেলোয়াড় নিয়ে আসতেন, তাহলে জয় আমাদের নিশ্চিত ছিল।
দ্বিতীয় ভক্ত: না না, এর জন্য খেলোয়াড়েরাই দায়ী। তারা যদি আরেকটু ভালো খেলে একটা গোল দিতে পারত, তাহলে বিরোধী দলকে কুপোকাত করা যেত।
তৃতীয় ভক্ত: আরে ধুর! তোরা যা বলিস না! এর জন্য আসলে আমাদের বাবা-মা দায়ী। বাবা-মা যদি অন্য কোথাও থাকতেন, তাহলে আমাদের অন্য কোথাও জন্ম হতো। তখন আমরা অনেক ভালো একটা ফুটবল দলকে সমর্থন করতাম। তাহলে আর এমন পরাজয় দেখে কাতরাতে হতো না, বুঝলি?
১৫#
১৬#
মনোবিজ্ঞানের ক্লাস চলছে। শিক্ষক বললেন, ‘ধরো, একটা লোক কিছুক্ষণ চুপচাপ চেয়ারে বসে থাকেন। হঠাৎ লাফিয়ে উঠে চিৎকার-চেঁচামেচি করেন, লাফালাফি করেন, হাত-পা ছোড়াছুড়ি করেন। কিছুক্ষণ পর আবার বসে পড়েন। এই ব্যক্তি সম্পর্কে তোমাদের মন্তব্য কী?’
পেছন থেকে এক ছাত্র বলল, ‘তিনি নিশ্চয়ই একজন ফুটবল কোচ।’
১৭#
১৮#
রাশিয়ার ফুটবলের সঙ্গে দেখা হলো রাশিয়ার শিক্ষাব্যবস্থার। পরস্পরের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল তারা, তারপর একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলল হু হু করে।
১৯#
২০#
ছোট্ট আরিয়ান গেছে বন্ধু সোহানের বাড়ি।
সোহানের মা: কী চাই?
আরিয়ান: আন্টি, সোহান কি বাইরে এসে আমাদের সঙ্গে ফুটবল খেলতে পারে?
সোহানের মা: না! বাইরে ভীষণ গরম!
আরিয়ান: ঠিক আছে, আন্টি। সোহান না-হয় না-ই এল। সোহানের ফুটবলটা কি বাইরে এসে আমাদের সঙ্গে খেলতে পারে?
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন