রমজানে ঠিকঠাক টাকা পাচার করতে পারছেন না

রমজান মাস সাধারণত রহমতের মাস হলেও কেউ কেউ এই মাসে পড়েছেন সমস্যায়। বিশেষ করে ঘুষখোর সরকারি কর্মকর্তা ও দেশের টাকা পাচারকারী নেতারা নানামুখী সমস্যায় পড়েছেন। রমজান মাসে দিনের বেলা টাকা পাচার করতে বিবেকে বাঁধছে তাদের। ব্যাংক বন্ধ থাকায় রাতের বেলাও করতে পারছেন না কাজ।

সমস্যাটি এতটাই জোরালো যে, কোথাও যাওয়ার জায়গাও পাচ্ছেন না এই পাচারকারীরা। এমনই এক পাচারকারী বলেন, ‘রোজা রেখে দিনে টাকা পাচার করতে খারাপও লাগে এদিকে রাতে ব্যাংক বন্ধ থাকে। আমরা এখন কোথায় যাবো?’

রমজানে দিনের বেলা টাকা পাচার করতে কী সমস্যা? আমাদের এমন প্রশ্নে একজন বলেন, ‘রোজা ভাইঙ্গা যাইবো না মিয়া! তাছাড়া, রোজা, তেলাওয়াত, অন্যান্য নামাজের পাশাপাশি নফল নামাজ পড়ার পর তো টাকা পাচার করার আর টাইমই পাই না।‘

এদিকে টাকা পাচারে কিছুটা ভাটা পড়ায় আন্তর্জাতিক চাপেও আছেন তারা। সুইস ব্যাংক কর্তৃপক্ষ, কানাডা সরকার, মালয়েশিয়া সরকারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এই চাপ অব্যাহত আছে বলে জানান অন্য এক কর্মকর্তা। একটি ফেক আইডি থেকে তিনি বলেন, ‘টাকা পাচার করতে পারছি না দেখে ওইসব জায়গায় আসলে নানান সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা টাকা দিলেই তো পরে ওদের সিস্টেম রান করে। এখন আমরা টাকা পাঠাতে না পারায় ওদের দেশে অভাবও শুরু হয়েছে।‘

এছাড়া দেশের ভাবমূর্তির একটা ব্যাপার আছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘গত কয়েকবছর আমরা টাকা পাচারের ওইসব দেশে প্রথম সারিতে ছিলাম। কিন্তু রোজা আসলে একটু সমস্যা হয়। একটু পিছিয়ে যাই। ফলে দেশের ভাবমূর্তি সংকটে পড়ে।‘

দেশ, দশ ও বিশ্ববাসীর কথা চিন্তা করে রমজানে রাতের বেলায় ব্যাংক খোলা রাখার অনুরোধও করেছেন তারা।