খবর: রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় দুটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ ছাত্র আহত হয়েছে। বুধবার ঢাকা কলেজ ও ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। একই বিষয় নিয়ে মঙ্গলবারও তাদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। এ ঘটনায় ১১ ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ঢাকা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়া কয়েক ছাত্রের সঙ্গে আইডিয়াল কলেজের কয়েক ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে শোনা যায়। এ নিয়ে আইডিয়াল কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্ররা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। বিরোধের জের ধরে প্রথমে মঙ্গলবার তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এরপর বুধবার সকাল ৯টার দিকে প্রথম দফা এবং দুপুর ২টার দিকে দ্বিতীয় দফায় বিচ্ছিন্ন নিউমার্কেট ও ধানমণ্ডি এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় দুই কলেজের ছাত্ররা। এ সময় তারা দুটি বাস ভাংচুর করে। লাঠিসোটার আঘাতে ১০-১২ জন আহত হয়। তাদের কারও কারও মাথা ফেটে যায়। আহতদের মধ্যে মেহেদী ও আল-আমিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। (দৈনিক সমকাল, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭)
স্পার্টা কলেজের সবচেয়ে সুন্দরী তরুণী হেলেন যখন ক্লাস ফাঁকি দিয়ে নিউমার্কেটে ঘুরতো; পাশের ট্রয় কলেজের ছাত্রদের হার্টবিট বেড়ে যেতো।
হেলেনকে নিয়ে স্পার্টা কলেজেই যথেষ্ট প্রতিযোগিতা রয়েছে। মেনেলাউস তার প্রতিযোগী থিসেয়াসকে রীতিমত পাঞ্জা লড়ে, কুস্তি করে, বাইক রেসে জিতে অনেক কষ্টে হেলেনকে ইমপ্রেস করে।
কিন্তু নিউমার্কেটে ট্রয় কলেজের প্যারিসের সঙ্গে দেখা হয়ে যাওয়ায়; হেলেন মেনেলাউসকে আর পাত্তা দিতে চায় না। ফেসবুকে রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস পালটে লিখে, ইন আ রিলেশানশিপ উইদ প্যারিস।
মেনেলাউস ক্ষিপ্ত হয়ে জিজ্ঞেস করে, কী ব্যাপার এতো ঘন ঘন নিউমার্কেটে যাওয়া কেন! কয়টা কলম-পেন্সিল-প্র্যাক্টিক্যাল খাতা লাগবে বলো, আমি আইনা দিমু। তোমার আর নিউমার্কেটে যাওয়ার কোন দরকার নাই। আর এই প্যারিসটা কেঠঠা!
হেলেন শুনেও না শোনার ভান করে। ফেসবুকের মেসেঞ্জারে প্যারিসের সঙ্গে চ্যাটিং করে। সমস্যার কথা জানায়।
: আর মনে হয় না নিউমার্কেটে আসতে পারবো প্যারিস। স্পার্টা কলেজের ছেলেরা চায় না যে এ কলেজের কোন মেয়ে ট্রয় কলেজের কোন ছেলের সঙ্গে মিশুক।
প্যারিস আক্ষেপ করে, ইচ্ছা করে তোমাকে স্পার্টা কলেজ থেকে এনে ট্রয় কলেজে ভর্তি করি। কিন্তু এখানে তো কো-এডুকেশান নেই!
হেলেন অবাক হয়, কেন ফেসবুকে অনেক মেয়ের প্রোফাইলে যে দেখি, ট্রয় কলেজের ছাত্রী।
: আরে নাহ; ঐগুলি ফেইক আইডি।
: এখন কী করবো প্যারিস!
কোন উত্তর না পেয়ে হেলেন মেসেঞ্জারে কান্নার ইমোটিকন দিয়ে চলে যায়।
ফেইক আইডির আইডিয়া হেলেনের খুব পছন্দ হয়। ফেসবুকে একটা ফেইক আইডি খুলে ফেলে, 'হেলেন অফ ট্রয়' নামে। সেখানে অনেক ভক্ত এসে ইনবক্সে হাই-হ্যালো করে। অনেকেই রাতে জিজ্ঞেস করে, হেলেন কী ঘুমাও নাকি জেগে! হেলেন দেখেও না দেখার ভান করে। অবশ্য খুশী হয়। প্যারিসকে জানায়, তোমাকে ভালোবেসে 'হেলেন অফ ট্রয়' আইডি খুলেছি। স্পার্টা কলেজের আর কেউ জানতে পারবে না আমাদের প্রেমের কথা। মেনেলাউস খুবই সন্দেহ করে। সে আমার অরিজিন্যাল আইডির পাসওয়ার্ড চায়। তোমার কোন পোস্টে লাইক দিলে বকে।
কিন্তু হেলেনকে ঘিরে নিউমার্কেট এলাকায় ট্রয় কলেজের ছাত্রদের সঙ্গে স্পার্টা কলেজের ছাত্রদের টান টান উত্তেজনা বিরাজ করে। দুটি কলেজের ছেলেদের মধ্যে মোটর বাইক রেস হয়। রেসের নাম 'যে জিতবে সেই-ই সিকান্দার'। এই সিকান্দার হতে গিয়ে আশকোণা অব্দি বাইক চালিয়ে প্যারিস ও মেনেলাউস দুজনেই রাস্তায় পড়ে গিয়ে আহত হয়। কেউ-ই সিকান্দার না হতে পারায় মেনেলাউস বলে, তোরে নিউমার্কেটে দেইখা নিমু।
নিউমার্কেটে ও ধানমন্ডিতে ট্রয় কলেজের ছাত্রদের সঙ্গে স্পার্টা কলেজের খন্ড খন্ড সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় নিয়মিত রাজনৈতিক সংস্কৃতির সঙ্গে মিল রেখে দুটি বাস ভাঙ্গে ছাত্ররা। নিউমার্কেটের সংঘর্ষে আহত হয়ে প্যারিস হাসপাতালে যায়। হেলেন সঙ্গে সঙ্গে তার ফেইক আইডি 'হেলেন অফ ট্রয়' ডিএক্টিভ করে দেয়। আর মেইন আইডি থেকে প্যারিসকে ব্লক করে। ফেসবুকে রিলেশনশিপ আপডেট করে আবার----ব্যাক টু দ্য রিলেশানশিপ উইদ মেনেলাউস।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন