ইশ, খাদিজা যদি ছাত্রলীগ করতো!

১৭৪ পঠিত ... ১৭:১১, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২৩

Khadija-chatrolig

সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে গতকাল ১ সেপ্টেম্বর ছাত্রসমাবেশের আয়োজন করেছে ছাত্রলীগ। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমাবেশে ছাত্রসমাজকে নিয়ে শপথ করেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। ভূপৃষ্ঠ থেকে মহাকাশ পর্যন্ত দাপিয়ে বেড়ানোর শপথ নেন সংগঠনটির সমর্থক ও নেতাকর্মীরা।  

আধুনিক সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আরও আধুনিক হবে সংগঠনটি। গতকাল সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের সমাবেশে ছাত্রলীগের সভাপতি মহাকাশ দাপিয়ে বেড়ানোর শপথ করেছেন, স্বপ্ন দেখেছেন। চেষ্টা ও অধ্যাবসায় থাকলে সেটাও অসম্ভব না। একদিন হয়তো ছাত্রলীগের কেউ সত্যি সত্যি মহাকাশ বিজ্ঞানী হবে, নভোচারী হবে। চাঁদের পৃষ্ঠে আমরা যেবার নভোযান পাঠাবো, সেই নভোযানের নভোচারী হয়তো ছাত্রলীগ থেকেই বের হয়ে আসবে। প্রশাসক তো তারা হতেই পারেন, ভবিষ্যতে হয়তো দেশের মহাকাশ প্রকল্পের বিজ্ঞানীও তারাই হবেন।

গবেষণায়ও কিছু পিছিয়ে নেই ছাত্রলীগের ছাত্ররা। বাংলাদেশের অর্থনীতির অসাধারণ (!) সাফল্য নিয়ে ‘হাসিনোমিক্স’ নামে গবেষণাপত্রও প্রকাশ করছে সংগঠনটির কর্মীরা। সে গবেষণাপত্র নিয়ে করা বিশাল আয়োজনে অতিথি হিসেবে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বক্তব্যও দিয়েছেন, দিয়েছেন দিক-নির্দেশনাও।

ছাত্রলীগ এগিয়ে যাচ্ছে। জ্ঞানে, বিজ্ঞানে, নেতৃত্বে। ছাত্রলীগের ছাত্ররা স্বপ্ন দেখছেন মহাকাশে যাওয়ার, দেশে-বিদেশে গবেষণা করার। 

স্বপ্ন দেখেছেন খাদিজাতুল কুবরাও। মেয়েটা লীগ ছিলো কি না জানি না, তবে ছাত্র ছিলো। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে পড়তো খাদিজা। ছাত্রলীগের মহাকাশ স্বপ্নের মতো ওরও স্বপ্ন ছিলো। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পড়ার সুবাধে দেশ, রাজনীতি, রাষ্ট্রব্যবস্থা ইত্যাদি নিয়ে পডকাস্ট করতো সে। তার স্বপ্নও হয়তো অনেক বড়ই ছিলো।

ছাত্রলীগের যে ছেলেটা কয়েক বছর মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করে দেশ-বিদেশে তাক লাগিয়ে দেবে; তাকে হয়তো খাদিজা পডকাস্ট শোতে আনতে পারতো। মহাকাশে যাওয়ার আগে, ছাত্রলীগের স্বপ্নবাজ নভোচারীটিকেও খাদিজা হয়তো নিয়ে আসতে পারতো নিজের পডকাস্টে। খাদিজা হয়তো ছাত্রলীগের মতোই স্বপ্ন দেখতো, একদিন তার পডকাস্টে গেস্ট হয়ে আসবে নাসার মহাকাশ প্রজেক্টের কোনো প্রশাসক।   

 খাদিজার স্বপ্ন পূরণ হয়নি। খাদিজার পডকাস্ট শোতে এক বক্তার সরকারের সমালোচনা করে বক্তব্যের দায়ে এক বছর আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়ে দেয়া যায়। খাদিজা এখনও জেলে। একাধিকবার জামিন চেয়েও জামিন হয়নি তার। শুরু হয়নি বিচারকার্যও। খাদিজার স্বপ্নগুলো আটকে গেছে। পডকাস্টের মাইকটা পড়ে আছে অনাদরে। কম্পিউটারের অ্যাপগুলা খোলা হয়নি আর পরের বছর। খাদিজারা স্বপ্ন দেখতে পারে, কিন্তু ছাত্রলীগ না হলে সেই স্বপ্ন স্পর্শ করতে পারে না হয়তো। ইশ, খাদিজা যদি ছাত্রলীগ করতো!

১৭৪ পঠিত ... ১৭:১১, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২৩

আরও eআরকি

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

কৌতুক

রম্য

সঙবাদ

স্যাটায়ার


Top