‘নায়ক ফারুকের পাঁচ হাজার পাঁচশ কোটি ঋণ’ এটা ছেপেছিলো যারা তাদের মধ্যে বন্ধু পত্রিকাও ছিলো। প্রতিদিন চেতনার সওদাকারি হাইব্রিড ভাইরাও ছিলেন এই খবরের পেছনে।
১. এখন বলা হচ্ছে কথা সত্য না। পাঁচ হাজার পাঁচশ কোটি না এই সংখ্যা। তাহলে বলেন প্রকৃত সংখ্যা কতো? তার কি দেনা আছে নাকি নাই? থাকলে সেটা কি নিয়মিত শোধ হচ্ছে?
২. তিনি বাড়ি বেচে দিয়ে নিজের চিকিৎসা করিয়েছেন সিঙ্গাপুরে। ব্যাংকে বাড়ি মর্টগেজ থাকলে পারার কথা না। যাই হোক ; অন্তত তিনি ঋণের দায়ে সর্বস্বান্ত হন নাই। অসুখ তাকে যা করার করেছে।
যে দেশে সরকারি খরচে পরিবার-পরিজন বুয়াসহ সিঙ্গাপুরে প্রমোদ চিকিৎসা হয় চোখের ব্যারামের জন্য, সেই দেশে আপনাদের এত প্রাণের চেয়ে প্রিয় ফারুকের চিকিৎসা বাড়ি বেচে করতে হয় কেন? আপনারা তার পাশে দাঁড়ালেন না কেন? বাড়ি নাকি পনের কোটি মাত্র দাম। এই সামান্য টাকা তাকে দেয়া গেলো না?
৩. আপনাদের এত মায়া-মমতা সব ব্যাক্তি মরার পরে কেন? আপনাদের চির অনুগত লয়াল সারভেন্টদের জীবদ্দশায় আপনারা কি করেছেন? এই আপনাদের ব্যবহার?
৪. এখন নয়া নয়া বচন নিয়ে হাজির হচ্ছেন। এখন ফারুক আপনাদের মিয়াভাই। আচ্ছা মিয়ারা; বলেন তো ফারুকের এই রোগের চিকিৎসা ব্যাংকক সিঙ্গাপুরের ডাক্তাররা ২০১২ সাল থেকে করছে। ওই দেশের ডাক্তাররা এগারো বছরে তাকে সুস্থ করতে পারলো না? আপনাদের গরীব গরীব মহান লোকেরা প্রায় সবাই কেন সিঙ্গাপুর ব্যাংককে মরেন? পঞ্চাশ বছরে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার কি করলেন যে এখনও নিজেরা এই দেশে মরার সাহস পান না?
৫. দেশ স্বাধীন হয়েছিলো কি সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে যাওয়ার জন্য? নাকি দেশেই উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য?
৬. এবার বলেন ফারুক সাহেবের ব্যাংক ঋণ আছে নাকি নাই? থাকলে সেটা কত টাকা? এতে করে পুরো প্যাঁচালটাই থেমে যাবে। সেটা না করে উনি ‘বাড়ি বেচেছেন, গাড়ি বেচেছেন’ এসব বলে কী লাভ? ঋণগ্রস্ত হলে এসব বেচতে হতেই পারে। ঋণের অংকটা বলেন।
৭. যুদ্ধ কি এজন্য হয়েছিলো যে দেশের লোকের টাকা লুট করে পিকে হালদাররা সত্তরটা বান্ধবী পালবে আর কোলকাতায় সম্পত্তি কিনবে? যুদ্ধ কি কানাডায় বাচ্চু কাচ্চুদের বেগমপাড়া বানানোর জন্য হয়েছিলো? যুদ্ধ কি এজন্য হয়েছিলো যে আপনাদের পেয়ারা ব্যবসায়ী সিঙ্গাপুরে বাড়ী হোটেল কিনবে আর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক ভাই বাড়ী বেচে সিঙ্গাপুরে মরবে?
ফারুক সাহেবরা মরে গেলে আপনাদের সহমতেল খনিতে তেলোত্তলন বেড়ে যায়; বেঁচে থাকতে কী করেন?
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন