তীব্র গরমে সবার অবস্থা বিপন্ন। ফ্যান, এসি, ছাতা, সানস্ক্রিন, ওয়াটার বোটল—কোনোকিছুতেই যেন প্রতিহত করা যাচ্ছে না একে। শেষমেষ বাধ্য হয়ে আমরা খুঁজতে লাগলাম অন্যকিছু। চলুন জেনে নেওয়া যাক যে ৫টি সিনেমা দেখলে আপনার গরম লাগবে না...
১. গেম অব থ্রোনস:
গেম অব থ্রোনসের পুরো সিরিজজুড়েই রয়েছে বিভিন্ন প্রতিকূল আবহাওয়া। সিরিজের প্রথম সিজনের প্রথম এপিসোডের নাম উইন্টার ইজ কামিং, মানে শীত আসছে। সময়ের চাকা ঘুরতে ঘুরতে শীত আসে। প্রচণ্ড শীতে কাঁপতে থাকে সবাই। এই দৃশ্য দেখার সময় আপনি মনের অজান্তেই কাঁপুনি অনুভব করবেন। দেখবেন একসময় আর গরম লাগছে না।
২. টাইটানিক:
অস্কারপ্রাপ্ত সিনেমা টাইটানিক কম বেশি সবাই দেখেছে। বিখ্যাত আইসবার্গ দৃশ্যের কথা মনে আছে? এই গরমে পুরো সিনেমা না দেখলেও টেনে টেনে দেখতে পারেন নয়নাভিরাম টাইটানিকের শেষ পরিণতির দৃশ্যটি। হিম বরফ পানিতে জাহাজের খণ্ডাংশ ধরে ভেসে আছে রোজ, অর্ধনিমগ্ন জ্যাক ঠান্ডায় কাবু হতে হতে এক সময় চলে গভীর পানির নিচে। ঠান্ডায় নীল হতে হতে রোজ ভাঙা ভাঙা গলায় বলে, 'জ্যাক, কাম ব্যাক...!’ গবেষণা বলছে, এই দৃশ্য প্রতিদিন অন্তত একবার দেখলে গরম অনুভব করার সম্ভাবনা কমে যায় ৫৬ শতাংশ।
৩. দ্য রেভন্যান্ট:
অস্কারপ্রাপ্ত সিনেমা দ্য রেভন্যান্টও ভরপুর বৈরী আবহাওয়ায়। পুরো সিনেমাতেই দেখানো হয় হিউ গ্লাস নামের এক পশম শিকারীর বেঁচে থাকার প্রতিদিনকার লড়াইকে। বুনো অঞ্চলের হিম শীতল জলের স্রোতের শব্দ, আর বরফের সমুদ্র এই গরমে আপনাকে দেবে শীতের ছোঁয়া। দেরি না করে দেখতে পারেন দ্য রেভনেন্টও!
৪. মিসারি:
১৯৯০ সালের সিনেমা মিসারির প্রথম দিকে এক অদ্ভুত সুন্দর স্নোফল দেখানো হয়। এই স্নোফল দেখার ২৭ দিন পর্যন্ত কোনো গরম লাগবে না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
৫. অ্যাকুয়াম্যান:
এই গরমে খালি গোসল করতে ইচ্ছে হয়? আবার ঠান্ডা লেগে যাবার ভয়ও আছে? আপনার জন্য পারফেক্ট সিনেমা হলো অ্যাকুয়াম্যান। যতবার ইচ্ছা ততবার গোসল করতে না পারলেও যতবার ইচ্ছা ততবার দেখতে তো পারবেন!
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন