এ দেশে উর্দু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি দাঁড়িয়ে যাওয়ার পর ঢাকাতেও বাংলা চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু হয়। ঢাকায় নির্মিত প্রথম বাংলা সবাক চলচ্চিত্র আবদুল জব্বার খানের 'মুখ ও মুখোশ'। চলচ্চিত্রের নায়িকা ছিলেন পূর্ণিমা। 'মুখ ও মুখোশ' প্রদর্শিত হয় রূপমহল সিনেমা হলে। প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র মুক্তি পাওয়ার পর তা দেখার জন্য দর্শকদের মধ্যে বিপুল প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়। সিনেমার টিকিট কাটার লাইন সদরঘাটের চৌমাথা পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়।
প্রথম চলচ্চিত্র হিসেবে ‘মুখ ও মুখোশ’ তেমন উন্নতমানের না হলেও ঢাকায় বাংলা চলচ্চিত্র নির্মাণের সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেয়। এরপর এখানে একটার পর একটা বাংলা চলচ্চিত্র নির্মিত হতে থাকে। পরিচালক হিসেবে এগিয়ে আসেন সালাহউদ্দিন 'সূর্যস্নান’ এবং তার সাথে আরও অনেকে।
সফল চিত্রপরিচালক হিসেবে এহতেশাম, সুভাষ দত্ত ও জহির রায়হান বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেন। এহতেশাম একাধিক বাংলা চলচ্চিত্রের পাশাপাশি উর্দু চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তার চলচ্চিত্রে শবনম ও শাবানা আসেন নায়িকা হিসেবে।
সুভাষ দত্ত আবিষ্কার করেন কবরীকে। সুতরাং তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র এবং এখানে নিজেই নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন।
জহির রায়হানের চলচ্চিত্রে আসেন সুচন্দা ও রাজ্জাক প্রথম নায়ক-নায়িকা হিসেবে। তার পরিচালিত 'বেহুলা' জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এ দেশের চলচ্চিত্রে জহির রায়হান, এহতেশাম ও সুভাষ দত্তের বিশেষ অবদান বিদ্যমান। রায়হানই প্রথম এ দেশের টেকনিকালার ও পঁচাত্তর মিলিমিটারের চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।
হারুন ও রোজী অভিনীত 'সংগম' এ দেশের প্রথম রঙিন চলচ্চিত্র। ঢাকার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করেন সুমিতা, সুলতানা জামান, রওশন আরা, নাসিমা খান, রোজী, সুচন্দা, শবনম, শাবানা, রাজ্জাক, রহমান, এনাম আহমেদ, খান আতাউর রহমান, ববিতাসহ আরও অনেকে।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন