মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন দেখলাম। কাহিনীতে প্রচুর ফাঁকফোকর থাকলেও পরিচালনা ও অভিনয়ের জোরে লোকজন এগুলো উপেক্ষা করবে। এটাই পরিচালক ও অভিনেতা অভিনেত্রীর মুন্সিয়ানা।
১. শৈশবে বেচে দেয়া জোড়ুয়া ভাই যার সাথে তেমন ঘনিষ্ঠতা নাই সে কখনোই ফোন পেলে দৌড়াতে দৌড়াতে রাতের বেলা পরিত্যাক্ত পাহাড়ের পোড়োবাড়ীতে যাবে? বাড়ীটা পড়ে থাকা কিন্তু পাহাড়ে ওঠার রাস্তাটা একদম সহজ। এরকম পাহাড়ের রাস্তা তো ঝোপ-জঙ্গলে ঢেকে যাবার কথা।
২. গ্রামে বড় হওয়া বর্ডারে চোরাচালান সর্দার ভেসপা চালাতে পারে না? তাহলে ঢাকায় সে এটা শিখলো কোথায়? চীন মৈত্রীর পেছনে বাণিজ্য মেলার পরিত্যক্ত মাঠে?
৩. জমজের আঙুলের ছাপ এক হয় না। এনআইডির যুগে ফোনের সিম তুলতে গেলেই তো সে ধরা খাবে। পাসপোর্ট দিয়ে বর্ডার ক্রস করতে পারবে না।
৪. তাকে সকলেই খুঁজে পেয়ে যায়। পুলিশ ও মাদক কর্তৃপক্ষ বাদে।
কাহিনী যাই হোক...
পরিচালনার গুণে ও অভিনয়ের সৌকর্যে সব ঢেকে গেছে।
শিহাব শাহীন একজন সেরা গল্প বলিয়ে।
নাসিরুদ্দিন ও মিথিলা। অভিনয়ে টানটান ধরে রেখেছে দর্শক
সুরমা চোখে সুমন আনোয়ারও ভালো।
এই নাটকে অপরাধ জগত আছে। জগতটার কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা নাই। অথচ এই জগতটার নিজস্ব অ্যালগরিদম আছে। আরও সিজন আনার ইচ্ছায় এখন অনেক কিছু রেখে দেয়া হয়। সিজন থ্রি-ফোর-ফাইভের জন্য।
এই নাটকে সবার মধ্যে একটু একটু ভালো মন্দ আছে। আছে হৃদয় দিয়ে দেখার চেষ্টা।
কারণ শিহাবের ভেতরে আছে এক হৃদয়বান মানুষ। সে এই নাটকে কিছু দৃশ্য এমনভাবে এনেছে যে পাথরেরও আবেগ সঞ্চারিত হবে।
নাটকটার বাকি সবকিছু ভালো।
শুধু শটগানের মতো দেখতে বস্তুটা বাদে। ওটা হয় নাই।
শিহাবকে অনেক ধন্যবাদ। ক্রমশ অনুজ্জ্বল হতে থাকা পর্দায় এখনও দর্শককে আটকে রাখতে জানে সে।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন