মহানগর দেখলাম। এটাকে নাটক না বলে ডকুড্রামা বলা যেতে পারে। মহাযন্ত্রের একটি ছোট্ট পিনিয়ন হারুন বিগড়ে গেলেই মহাযন্ত্র তথা সিস্টেমের গিয়ার ফেঁসে যায়। আমাদের পরিচিত লোকজন ভিন্ন ভিন্ন চরিত্র আর নাম হয়ে এই নাটকে আসে যায়।
আইয়ামে চুরালিয়াতের অসংখ্য ধামাধরা লোকজন তথা দালালিয়াত ক্লাবের মেম্বাররা সক্রিয় হয়। আমরা মুগ্ধ হয়ে দেখতে থাকি চৌর্যযুগের সচিত্র ধারাবিবরণী।
মাত্যুশকা পুতুলের মতো পুতুলের ভেতর পুতুল কিংবা ফ্যাবারজের ডিমের মতো একসাথে সাতচল্লিশটা জন্ম হয়ে সহমতেল সংঘের দালালরাও আছে সেখানে। তারা গ্রুপের ভেতর গ্রুপ। কেউ আফনানের আর কেউ রাজনীতির লোকের পেটোয়া ঘেঁটুপুত্র।
নাটকের বা সিনেমার নির্মাণশৈলীর যান্ত্রিক দিকের চাইতে অর্থাৎ লাইট সাউন্ড সেট এর চাইতে গল্প বলা বা স্টোরি টেলিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ। নিপুণ সেটা পারে।
দর্শক গল্প শুনতে ও দেখতে বসে। তারা পিএইচডি এর থিসিস রিভিউ করতে বসে না। নিপুণ এই বিষয়টা উপলব্ধি করেছে বলেই সে বলতে পেরেছে।
শিল্পের দায় আছে মানুষের কাছে। শিল্প গণতান্ত্রিক। শিল্প সাহসী।
বাতাবী লেবুর ফলন যতোই ভালো হোক, মানুষ খরায় ফেটে যাওয়া মাটির হাহাকার এর গল্প শুনবেই।
মোশাররফ; ফজলুর রহমান বাবু; মিমি; শ্যামল, বৃন্দাবন, তানজিকা সবাই ভালো। আরিয়ানার অভিনয়ও ভালো। ট্যাটু আপু যে সাধারণ জীবনের এক উচ্চাভিলাষী মেয়ে হঠাৎ বিপদে পড়া; সেটা মহানগর দুইতে চমৎকার ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আর দিব্যজ্যোতি ও জয়রাজ। প্রশংসা সবার প্রাপ্য।
চেনা এক ক্রাইম রিপোর্টারকেই দেখছি বলে মনে হলো। শ্বাসমূলরা খেপবেই।
ওদের জন্ম জলাভূমিতে। দিনশেষে ওরা পঁচে যায়। এটাই নিয়তি।
নিপুণ। দেখা হলে আমাকে জড়িয়ে ধরতে ভুলে যেও না। পাছে আমি যদি ভুলে যাই তাই।
আর নিজের পিঠে নিজেই চাপড় দাও। সাব্বাশ!
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন