যুদ্ধ মানেই অজস্র মানুষের কান্না, রণোন্মাদ মানুষের নারকীয় বীভৎসতা, অবর্ণনীয় ক্ষয়ক্ষতি। তারপরও যুগে যুগে যুদ্ধ হয়ে এসেছে, সভ্যতা দেখিয়ে গেছে তার কেমন গা ঘিনঘিনে চেহারা হতে পারে। গত শতাব্দীতেই ঘটেছে বিশ্বযুদ্ধের মতো দু'টি ঘটনা। তারই কিছু অম্ল-মধুর ঘটনা তুলে আনা আপনাদের জন্য। না জানলেও হয়তো হয়, তারপরও...
১.
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রেশন নিয়ে ব্রিটিশ সৈন্য আর মার্কিন সৈন্যদের মধ্যে বজায় ছিলো এক অদ্ভুত বৈষম্য। মার্কিন সৈন্যরা রেশনে জনপ্রতি ২২টি টয়লেট পেপার পেলেও ব্রিটিশ সৈন্যরা পেতেন মাত্র ৩টি।
২.
ঘরের শত্রু বিভীষণ প্রবাদটিকে বাস্তব রূপ দিয়েছিলেন অ্যাডলফ হিটলারের ভাতিজা উইলিয়াম হিটলারের। চাচার গড়া নাৎসি বাহিনী ফেলে তিনি যুদ্ধ করেছিলেন মিত্রপক্ষের হয়ে মার্কিন নৌবাহিনীতে।
৩.
জার্মান ভাষা এড়িয়ে চলার জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকানরা 'হ্যামবার্গার' এর নাম দিয়েছিলো 'লিবার্টি স্টেক'। তবে ‘এক স্টেক খেলেই লিবার্টি নিশ্চিত’ কিনা তা নিয়ে তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
৪.
জার্মানির বার্লিন শহরে মিত্রপক্ষের ফেলা প্রথম বোমার আঘাতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিলো কেবল বার্লিন চিড়িয়াখানায়। কোন মানুষ নিহত না হলেও মারা গিয়েছিলো চিড়িয়াখানায় থাকা একমাত্র হাতিটি।
৫.
স্বস্তিকা চিহ্নটি নাজি বাহিনীর ট্রেডমার্ক হয়ে গেলেও হিটলারের আগে আমেরিকান সৈন্যরা তাদের ইউনিফর্মে স্বস্তিকা চিহ্ন ব্যবহার করতো। তাদের কাছে এই চিহ্ন ছিলো সৌভাগ্যের প্রতীক।
৬.
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে রাণী এলিজাবেথ তখনো রাণী হয়ে ওঠেননি। অক্সিলারি টেরিটোরিয়াল সার্ভিসে গাড়ির ড্রাইভার এবং মেকানিক হিসেবে কাজ করে তিনি যুদ্ধে অবদান রেখেছিলেন। ১৮ বছরে পা দেওয়ার পর তাঁর বাবা তাকে যুদ্ধের ময়দান থেকে সরিয়ে প্রাসাদে নিয়ে আসেন।
৭.
অ্যাডলফ হিটলারের একটি ব্যক্তিগত ট্রেন ছিলো, যা তার ভ্রাম্যমান অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হতো। যুদ্ধের সময় প্রায় দুই বছর ধরে এই ট্রেনটিকে ডাকা হতো ‘আমেরিকা’ নামে। পরবর্তীতে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘ব্র্যান্ডেনবার্গ।‘
৮.
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইউরোপিয়ান সৈন্যদের রেশন হিসেবে দেওয়া হতো কোকা-কোলা!
৯.
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত ট্যাংকগুলো দুইটি লিঙ্গে বিভক্ত ছিলো। পুরুষ ট্যাংকগুলোর সাথে কামান সংযুক্ত করা হতো, আর নারী ট্যাংকগুলোর সাথে লাগানো থাকতো মেশিনগান।
১০.
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানদের পরাস্ত করার জন্য ফ্রান্সে মাইন বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিলো। এই বিস্ফোরণ এতটাই বিকট ছিলো যে লন্ডনে বসেও এর আওয়াজ শোনা গিয়েছিলো।
১১.
বিশ্বের সর্বপ্রথম ব্লাড ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ময়দানে। শুধু তাই নয়, প্লাস্টিক সার্জারি প্রচলনও হয়েছিলো এই যুদ্ধেই।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন