লেখা: মোহাম্মদ তাওহিদ
একটা আস্ত শহরের সব মানুষ খুক খুক করে কেশে বেড়াচ্ছে, তাও কারোর কোনো চ্যাতব্যাত নাই। এটা নাকি 'সিজন চেঞ্জ' হলে একটু-আধটু সবারই হয়!
জি না, হয় না। খুক খুক কাশির সাথে ঋতু পরিবর্তনের সম্পর্ক নাই। সম্পর্ক আছে বায়ুদূষণের। সারা দুনিয়াতে সবখানেই ঋতু পরিবর্তিত হয়, সবাই ঢাকাবাসির মতো খুক খুক করে কেশে বেড়ায় না। সমস্যা এই শহরের বাতাসে, ঋতুতে না।
রুটিন মিথ বাস্টিং
১। বায়ুদূষণের কারণ গাড়ি
ঢাকার (ক্ষুত্রকণা থেকে ছড়ানো) বায়ুদূষণের মাত্র ২০ ভাগেরও কম আসে গাড়ি থেকে। ঢাকায় কি নিউ ইয়র্কের চেয়ে বেশি গাড়ি? যদি না হয়, তাহলে ঢাকার বাতাস নিউ ইয়র্কের চেয়ে খারাপ কেন? কারণ বায়ু দূষণের বেশিরভাগটা আসে অনিয়ন্ত্রিত অপরিকল্পিত নির্মাণ শিল্পর সাথে জড়িত কর্মকাণ্ড ও কল কারকাখানা থেকে।
২। কী করা যাবে? বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না।
বেইজিঙের দূষণের খবরের কথা মনে পড়ে? সমস্ত শহর ধূসর ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে স্বাভাবিক সকল কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল? বেইজিঙের এখন কী অবস্থা? আর শোনা যায় দূষণের কথা? ২০১৩ এর তুলনায় ২০২১ এ বেইজিঙের বায়ুদূষণ অর্ধেকে কমিয়ে আনা হয়েছে। তার মানে প্রবল দূষণ থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব। চীন তা করে দেখিয়েছে। এবার চিন্তা করে দেখুন কীভাবে কমল চীনের রাজধানীর মতো বিশাল এবং জটিল শহরের বায়ুদূষণ?
খোঁজ নেন। শিখুন। কাজে লাগান। গবেষণা করুন। খুঁজে বের করুন। ঠিক করুন। তা না হলে একটা আস্ত জেনারেশন সারাজীবন অ্যাজমা আর খুক খুকানি কাশি নিয়ে বেঁচে থাকবে।
নতুন এক স্টাডি বলছে, বায়ুদূষণ মানুষের বুদ্ধি কমিয়ে দেয়। টের পান ঢাকার দিকে তাকালে?
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন