সম্প্রতি চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এক অদ্ভুত ও অভূতপূর্ব রোগের সন্ধান পেয়েছে—হার্টে ফ্যাসিজমের ব্লক। যেটি বিশ্বের নানান অঞ্চলে মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়লেও বাংলাদেশে এর প্রভাব সম্প্রতি অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। কার্ডিওলজিস্টদের মতে, এটি এক ধরনের মানসিক-রাজনৈতিক ব্যাধি, যা ধীরে ধীরে শারীরিক জটিলতায় রূপ নিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রোগে আক্রান্তদের বেশিরভাগই আওয়ামী সমর্থক, সফট লীগার কিংবা আওয়ামী ঘরানার বুদ্ধিজীবী।
রোগের লক্ষণ:
*চোখে অন্ধবিশ্বাস: নেত্রীকে ভুল বলা তো দূরের কথা, কোনো সমালোচনা শুনলেই চোখে ঝাপসা দেখা দেয়।
*মাথাব্যথা ও প্রেশার বেড়ে যাওয়া: বইমেলায় হাসিনার ছবি ডাস্টবিনে পড়লে বা কেউ সরকারবিরোধী কথা বললেই রক্তচাপ হঠাৎ ঊর্ধ্বমুখী হয়।
*বুদ্ধিবৃত্তিক পক্ষাঘাত: লজিকাল আলোচনা কিংবা গণতান্ত্রিক বিতর্কের সময় কোনো যুক্তি না পেয়ে মুখ দিয়ে শুধু ‘তুই রাজাকার!’ জাতীয় শব্দ বের হয়।
*হৃদকম্পন: যখনই কেউ হাসিনাকে ফ্যাসিবাদী কিংবা গণহত্যাকারী হিসেবে উল্লেখ করে তখন হৃদস্পন্দন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়।
*আচরণগত পরিবর্তন: আওয়ামীলীগ বিরোধী পোস্ট দেখলেই গোপনে রিপোর্ট করা, রাগে কাঁপতে থাকা এবং ঘন ঘন ‘গণতন্ত্র ধ্বংস হোক’ বলে চিৎকার করতে থাকা। পাশাপাশি উনিশ থেকে বিশ হলেই ‘আগেই তো ভালো ছিলাম’ টাইপ আজেবাজে বকা।
রোগের কারণ:
*দীর্ঘদিন ফ্যাসিবাদের সংস্পর্শে থাকা: গণতন্ত্রহীন পরিবেশে বাস করতে করতে হৃদযন্ত্র ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে পড়ে।
*স্বাধীন চিন্তার অভাব: যেকোনো ভিন্নমত দেখলেই মস্তিষ্কের নিউরনে শর্ট সার্কিট হয়, যার ফলে হার্টে চাপ পড়ে।
*চামচামির এবং তেলের ওভারডোজ: অতিরিক্ত তোষামোদি এবং ‘হুজুর! আপনি ছাড়া দেশ অচল!’ টাইপ অতিরিক্ত তেলতেলে বক্তব্যের ফলে ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধে।
*বিরোধী মতকে শত্রু মনে করা: ‘আমিই দেশ, আমিই সরকার। আমরা ছাড়া বিকল্প নেই।‘ টাইপ মানসিকতা রাখলেও ফ্যাসিবাদী ব্লক তৈরি হয়।
প্রতিকার ও প্রতিরোধ:
*নিয়মিত গণতন্ত্রচর্চা করুন: মতপ্রকাশের স্বাধীনতা মেনে নিন, এই রিয়েলিটি আপনাকে মাইনে নিতেই হবে। প্রতিদিন অন্তত ফেসবুকে দুটো ভিন্নমতের লেখা পড়ুন।
*ব্লকের পরিমাণ কমানোর জন্য বিরোধী দলের লোকজনের সঙ্গে চা খান: কেবল নিজের দলের কথা শুনলে ব্লক আরও জমাট বাঁধবে।
*সোশ্যাল মিডিয়ায় রিপোর্ট করার বদলে যুক্তি দিয়ে বিতর্ক করুন: এতে মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকবে।
*সাংবাদিকদের গালি দেওয়া বন্ধ করুন: সত্য মেনে নিলে হৃদপিণ্ডে চাপ কমবে।
*সরকারি তহবিল থেকে সুবিধা নেওয়া বন্ধ করুন: অতিরিক্ত সুবিধা পেলে হৃদপিণ্ডে চর্বি জমে যায়।
বিশেষ পরামর্শ:
যদি মনে হয় ফ্যাসিবাদী ব্লকের সমস্যা গুরুতর, তবে দ্রুত গণতন্ত্র স্পেশালিস্টের পরামর্শ নিন। সময় থাকতে চিকিৎসা না নিলে, একসময় চিন্তার স্বাধীনতা পুরোপুরি হারিয়ে যেতে পারে! বাঁচতে হলে গণতন্ত্রকে হৃদয়ে জায়গা দিন।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন