শীতের আগমনের সাথে সাথে বাংলাদেশে এসেছেন এক নেপালি পর্যটক। পঞ্চগড়ে পা রেখেই জানিয়েছেন তিনি শুধুমাত্র কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করত এসেছেন। জুমলুং শেরপা নামের সেই পর্যটক eআরকির প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, নেপাল থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখে দেখে আমি এতটাই বিরক্ত হয়ে গেছি যে এখন আর তেমন কোনো অনুভূতি হয় না। শুনেছিলাম, বাংলাদেশ থেকে এই পর্বতশৃঙ্গ অনেক সুন্দর লাগে। সেই অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্যই বাংলাদেশে চলে এসেছি।
জুমলুং শেরপার আগমনে পঞ্চগড়ের মানুষজন বেশ আনন্দিত। স্থানীয়দের একাংশ ভাবছেন, পঞ্চগড় থেকে যেন সারা বছর কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়, সে বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যায় কিনা। কেউ কেউ মজার ছলে বলছেন, যদি কোনোভাবে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে নেপাল থেকে বাংলাদেশে এনে ফেলা যেত, তাহলে আর বাইনোকুলার নিয়ে কষ্ট করে দেখতে হতো না!
পঞ্চগড়ের হোটেল মালিক সমিতি ইতিমধ্যে পর্যটকদের জন্য ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা ভিউ’ কিছু রিসোর্ট স্থাপনের পরিকল্পনা করছে। আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন প্যাকেজ ঘোষণা করা হচ্ছে। এমনকি কুষ্টিয়া থেকে বিশেষ খাবারও আনা হয়েছে, যা খেলে পর্যটকদের মনে হবে যেন তারা কাঞ্চনজঙ্ঘার কাছাকাছি বসে আছেন।
এদিকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দারুণ উৎসাহী হয়ে উঠেছেন। কাঞ্চনজঙ্ঘা ভিউ রিসোর্টের পাশেই 'নেপালি ডাম্পলিং এবং মোমো হাউজ' নামে একটি রেস্টুরেন্ট খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রেস্টুরেন্টের এক কর্ণধার বলছেন, আমরা চেষ্টা করছি এমন এক পরিবেশ বানানোর, যাতে পর্যটকরা মনে করবেন, তারা নেপালের কোনো গ্রামে বসে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখছেন।
আজ নেপাল থেকে পর্যটক এসেছে, কাল ইউরোপ থেকে আসবে, আর পরশু আমেরিকা থেকে আসবে—এই চিন্তা থেকেই স্থানীয়রা বৈশ্বিক সংস্কৃতির সাথে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অনেকেই নেপালি ভাষা শেখার পাশাপাশি রাশিয়ান, চাইনিজ, জাপানিজসহ বিভিন্ন ভাষা শেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।