৩০টি রাজনৈতিক কৌতুক : পড়ে দেখুন তো না হেসে পারেন কিনা

১৩৭৬৩ পঠিত ... ০২:২৬, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৮

১#
এক ভদ্রলোক তার বিপরীত প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ভোটে দাঁড়ালেন। ভদ্রলোকটি ভোটে হারার পর তাঁকে প্রশ্ন করা হলো, ‘আচ্ছা দাদা, আপনি কত ভোট পেয়েছেন? লোকটি উত্তর দিল, ‘তিনশ এক।’
‘তা আপনি তো জানতেন যে কিছুতেই ওনার বিপরীতে জিততে পারবেন না, তাহলে দাঁড়ালেন কেন?’
লোকটি শান্ত গলায় উত্তর দিলেন, ‘আমি ভোটে জিতবার জন্য তো দাঁড়াইনি, আমি শুধু দেখতে চেয়েছিলাম এই শহরে কত বোকা লোক আছে!’

২#
রাজনৈতিক নেতা পার্টির সভায় যোগ দিতে এসেই টেবিলের ওপর একটা চিরকুট পেলেন, তাতে লেখা—গাধা!
সভার বক্তৃতা দেবার সময় তিনি কথাটা ঘুরিয়ে বললেন, ‘এমন অনেক উদাহরণ আছে—মানুষ চিঠি লিখে তার তলায় নিজের নাম সই করতে ভুলে যায়। কিন্তু আজ আমি একটা নতুন জিনিস দেখলাম। এখানে এসে আমি একটা চিঠি পেলাম, তাতে লেখক নিজের নাম স্বাক্ষর করেছেন কিন্তু আসল চিঠিটাই লিখতে ভুলে গেছেন।

৩#
‘বিশ্বাসঘাতক কাকে বলে স্যার?’
‘জান না? আমাদের দল ছেড়ে যারা অন্য দলে যোগ দেয়, তারা বিশ্বাসঘাতক।
‘আর যারা অন্য দল ছেড়ে দিয়ে আমাদের দলে যোগ দেয়?’
‘তারা দেশপ্রেমিক।’

৪#
এক সন্ত্রাসী নেতা হঠাৎ করে রাজনীতিতে ঢুকে গেল। সে মিটিং ডাকল এক জায়গায়। অল্প কিছু লোকজন হলো। ধরা যাক ১০০ জন শ্রোতা।

বক্তৃতার একপর্যায়ে হঠাৎ একটা বোমা ফাটলো! ভয়ে ৫০ জনই ভেগে গেল। সন্ত্রাসী নেতা চিৎকার করে উঠল-
‘বোমা ফাটিয়ে অস্ত্র দেখিয়ে আমাকে ভয় পাওয়ানো যাবে না। অস্ত্র আমার কাছেও আছে!’ বলে পকেট থেকে পিস্তল বের করে দু রাউন্ড গুলি করল। এবার বাকি ৫০ জনও ভেগে গেল!

৫#
স্থানীয় এক রাজনীতিবিদ বক্তৃতা করছেন—
‘নেপাল জাগছে... ভুটান জাগছে... ভারত তো জাইগগাই রইছে... বাংলাদেশ জাগবে কবে? ... ...বাঁশ দিলে?’
সভায় ছি ছি পড়ে গেল। এ কি ভাষা! নেতার এম. এ. পাস সেক্রেটারি উঠে গিয়ে নেতার কানে কানে বলল, ‘স্যার শব্দটা আপনি উইথড্র করুন পাবলিক ছি ছি করছে।’
তখন নেতা বললেন, ‘মুই কোনডা উইথড্র করমু, ... ... না বাঁশডা?’

৬#
একলোক প্রতিদিন বারে যায় মদ খেতে। তবে খাওয়া শুরু করার আগে দেশের কুখ্যাত এক রাজনীতিবিদের ছবি সামনে রেখে পেগের পর পেগ খেতে থাকে।
তো একদিন বারের ওয়েটার কৌতূহলী হয়ে জানতে চাইল, ‘স্যার প্রতিদিন ঐ লোকটার ছবি সামনে রেখে পান করেন কেন?’
‘যখন ঐ বাজে লোকটাকে ফেরেস্তা মনে হতে থাকে তখনই বুঝে যাই আমার নেশা হয়েছে আর খাওয়া ঠিক না?’

৭#
হরতালের দিন দেখা গেল হরতাল ডাকা এক ছোটখাটো নেতা ঘরে দিবানিদ্রা দিচ্ছে। তার দাদা এ দৃশ্য দেখে ছি ছি করে উঠলেন।
‘এই তোদের রাজনীতির ছিরি? হরতাল ডেকে ঘরে ঘুমাচ্ছিস? রাজনীতি করতাম আমরা... সেই সময় জীবনটা তো জেলে জেলেই কাটিয়ে দিলাম...’
‘জেলে বসে কী করতে তখন?’
‘কী আর করব, ঘুমাতাম।’
‘আমিও তো ঘুমাচ্ছি’... বলে ফের শুয়ে নাক ডাকতে লাগল।

৮#
দুজন ছাত্র কথা বলছিল—
‘হিটলার কেন আত্মহত্যা করেছিল জানিস?’
‘জানি আইখম্যানের কারণে'
‘কেন? আইখম্যান কী করেছিল?’
‘গ্যাস চেম্বারের বিল দাখিল করেছিল হিটলারের কাছে... তাতেই...’

৯#
এক পরামর্শ কেন্দ্রে এক তরুণ এসে হাজির হলো।
‘কী চাই?’
‘আমি সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী।’
‘সেক্ষেত্রে আমরা কী করতে পারি?’
‘মানে... আমি সমাজতান্ত্রিক রাজনীতি করতে চাই, কার সাথে কথা বলব?’
‘কেন, সাইকিয়াট্রিস্টের সঙ্গে।’

১০#
দুই গবেষক কথা বলছে—
‘আচ্ছা সমাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা মার্কস, এঙ্গেলস আর লেনিনকে কি আমরা বিজ্ঞানী বলতে পারি?’
‘কখনোই না।’
‘কেন?’
‘কারণ বিজ্ঞানীরা তাদের ধারণা প্রথম প্রয়োগ করেন গিনিপিগের উপর। মানুষের উপর নয়।’

১১#
‘আচ্ছা কোনো দৈনিক পত্রিকা দিয়ে কি একটা আস্ত হাতি মোড়ানো সম্ভব?’
‘অবশ্যই, যদি সেই দৈনিকে ছাপা হয় কোনো দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদের বক্তৃতা।’

১২#
পিতা-পুত্র কথা বলছে—
‘তুমি প্রতিদিন মিথ্যা কথা বলো, মিথ্যা বলার পরিণাম জানো?’
‘না।’
‘সারাজীবন হয় রাজনীতিবিদ না হয় উকিল হয়ে থাকবে।’

১৩#
এক বয়স্ক লোক আর তরুণ কথা বলছে—
‘কী করছ আজকাল?’
‘জি, সৎ রাজনীতি করার চেষ্টা করছি।’
‘ভালো। তুমি শাইন করবে।’
‘কিভাবে বুঝলেন?’
‘কারণ এ লাইনে সম্ভবত তোমার কোনো প্রতিযোগী নেই!’

১৪#
উপরের জোকসের সেই তরুণের সঙ্গে সেই বয়স্ক লোকের বছর দুয়েক পর আবার দেখা।
‘কী তোমার সৎ রাজনীতি কেমন চলছে?’
‘জি না, সুবিধার না।’
‘ঠিক আছে তুমি আমার সঙ্গে আসো।’ বলে ভদ্রলোক তরুণকে নিয়ে দশতলা এক বিল্ডিংয়ের ছাদে উঠে গেলেন।
‘এবার লাফ দাও।’
‘কী বলছেন, এখান থেকে লাফ দিলে তো মারা যাব।’
‘তুমি কি সৎ রাজনীতি করে উন্নতি করতে চাও?’
‘জি।’
‘তাহলে লাফ দাও।’ তরুণ লাফ দিল।
যথারীতি হাত-পা ভেঙে মাটিতে আছড়ে পড়ল তরুণ। কিন্তু মরল না। ভদ্রলোক লিফটে করে দ্রুত নেমে এলেন। তার পাশে গিয়ে বললেন, ‘নিজে সৎ থাকবে, কিন্তু অন্য রাজনীতিবিদদের বিশ্বাস করবে না...এটাই তোমার প্রথম এবং শেষ শিক্ষা।’

১৫#
নেতা : ভাইসব, আমাকে একবার ভোট দিয়ে দেখুন উন্নয়নের জোয়ারে ডুবিয়ে দেব।
জনগণ : কিন্তু এখন যে বন্যার পানিতে গলা পর্যন্ত ডুবে আছি, তার কী হবে?

১৬#
দুই গবেষক কথা বলছেন—
‘আপনার কি ধারণা? এই পৃথিবীতে বিশ্বজুড়ে কখনো দুর্ভিক্ষ হতে পারে?’
‘অবশ্যই।’
‘সেটা কবে?’
‘যেদিন চীনারা কাঠি ছেড়ে কাটাচামচ দিয়ে খেতে শুরু করবে।’

১৭#
‘কী ব্যাপার, আগের সরকারের আমলে তো খুব কলমবাজি করলে! এখন চুপচাপ বিষয় কী? নাকি ডিগবাজি দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছ?’
‘ডিগবাজি আমরা দেব না আফটার অল আমরা বুদ্ধিজীবী... ডিগবাজি দেবে আমাদের কলম!’

১৮#
দুই বন্ধু কথা বলছে—
‘খেয়াল করে দেখেছিস যারাই, রাজনীতি করে তাদের সবার মাথার চুল কম।’
‘এর কারণ আছে।’
‘কী কারণ?’
‘দুদিন পরপরই ডিগবাজি দিয়ে দল বদল করতে হয় তো...’

১৯#
দুই রাজনীতি সচেতন ব্যক্তি কথা বলছেন—
‘রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে নিরাপদ কোন দেশ?’
‘যে দেশের কোনো বিশ্বস্ত বন্ধু নেই, যেমন ইসরায়েল... চারপাশ দিয়ে শত্রু পরিবেষ্টিত।’

২০#
‘একজন রাজনীতিবিদকে সমুদ্রে ডুবিয়ে হত্যা করলে কী শাস্তি হতে পারে?’
‘সেক্ষেত্রে সমুদ্র আইনে শাস্তি হতে পারে।’
‘কী রকম?’
‘সমুদ্রের পানি দূষিত করে পরিবেশ দূষণের দায়ে বড় অঙ্কের জরিমানা দিতে হতে পারে!’

২১#
একটি রাশিয়ান জোক, অবশ্যই পলিটিক্যাল—
‘পুঁটি মাছ কী?’
‘কমিউনিজম পর্যন্ত সাঁতরে আসা তিমি মাছ।’

২২#
নেতা : আমাকে ভোট দিয়ে দেখেন প্রত্যেকের মুখে হাসি ফুটাব।
জনতা : কিভাবে, সবাইকে একটা করে জোকসের বই দিবেন?

২৩#
রাজনীতি করে এমন এক পাত্রের বিয়ের আলাপ-আলোচনা চলছে।
মেয়ের বাবা : যৌতুক নিবেন না বলছেন অথচ আবার ৫ লাখ ক্যাশ চাচ্ছেন! বিষয় কী?
ছেলের বাবা : আসলে আমার ছেলে শুধু আপনার মেয়ের পাণিপ্রার্থীই নয়, সামনের নির্বাচনেও প্রার্থী কি না!

২৪#
এক নেতা জনসভায় তার দীর্ঘ ভাষণের এক পর্যায়ে বলতে লাগল ‘...অনেক সময় মূর্খরাও বুদ্ধিমানের মতো কথা বলে...’
এক দর্শক-শ্রোতা পাশ থেকে বলে উঠল, ‘সে তো আমরাও শুনছি এক ঘণ্টা ধরে...কই কোনো প্রমাণ তো এখনো পাচ্ছি না...’

২৫#
‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তিন মাসে তো দেখি কোনো উন্নতি হয় নাই... খুনখারাবি হয়েছে সমানে।’
‘ঐ তিন মাসে আপনি কই ছিলেন?’
‘জেলে।’

২৬#
দুই বন্ধু গল্প করছে—
‘আচ্ছা তোমাদের এলাকার এমপি লোকটা নাকি খুব জনপ্রিয়?’
‘হ্যাঁ খুব।’
‘কী রকম?’
‘এতই জনপ্রিয় যে ওর ছায়াটা পর্যন্ত ওকে অনুসরণ করে না।

২৭#
দেশের স্বৈরাচারকে নিয়ে জোকস বানানোর জন্য গ্রেফতার করা হলো একজনকে। তাকে যখন সেই স্বৈরাচারের সামনে নিয়ে দাঁড় করানো হলো তখন সে চারদিকে চেয়ে দেখে— দামি দামি সব আসবাবপত্র। সে মুগ্ধ হয়ে বলে ফেলে,
‘বাহ! কী সুন্দর সব জিনিস!’
‘একদিন এ দেশের সবার ঘরে ঘরে এসব থাকবে।’ গম্ভীর হয়ে বললেন স্বৈরাচারী শাসক। তখন জোকস বানানোর জন্য গ্রেফতার হওয়া লোকটি বলে উঠল, ‘সেকি জোকস তো বলব আমি, আপনি কেন?’

২৮#
এক দেশের প্রধানমন্ত্রী অশিক্ষিত। তো বিরোধী দল সেই প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে মিছিলে শ্লোগান দিচ্ছিল-
শাব্বাস! ভাই শাব্বাস!
প্রধানমন্ত্রী এইট পাস।
কিন্তু দেখা গেল এই শ্লোগান শুনেও সরকারি দল মোটেই অখুশি নয়। এর কারণ কী?
কারণ অনুসন্ধান করে জানা গেল প্রধানমন্ত্রী আসলে সিক্স পাস। দুই ক্লাস বাড়িয়ে বলাতে তারা খুশি।

২৯#
এক ব্যবসায়ী তাঁর দাঁত তোলার জন্য গেলেন চীনে। ডেন্টিস্ট জানাল, প্রতি দাঁত তোলার খরচ পাঁচশ টাকা।
ব্যবসায়ী বললেন, ‘এত কেন, আমাদের দেশে তো দশ টাকা দিলেই দাঁত তুলে দেয়।’
ডেন্টিস্ট বললেন, ‘আমাদের দেশে দাঁত তোলা অনেক কঠিন কাজ। দাঁত আমরা কান দিয়ে তুলি।’
‘কান দিয়ে কেন?’
‘আমাদের দেশে মুখ খোলা নিষেধ। বেআইনি।’

৩০#
নির্বাচনের পোস্টারের জন্য ছবি তুলতে গেছে এক রাজনৈতিক নেতা। নেতা বলল, ‘আচ্ছা আমি যদি এক হাত উপরে তুলে বক্তৃতার মতো ভঙ্গিতে ছবিটা তুলি তাহলে ছবিটা বাস্তবধর্মী হতো, কী বলেন?’
‘দু’ হাত উপরে তোলা অবস্থায় হাতকড়া পরা হলে আরো বেশি বাস্তববাদী হয়...’

১৩৭৬৩ পঠিত ... ০২:২৬, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৮

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

রম্য

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি

স্যাটায়ার


Top