সম্প্রতি বাংলাদেশ ঘুরে গেলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট, রথ দেখা কলা বেচার মতো এখানে এসে তিনি নৌকায় ঘুরেছেন, শিঙারা খেয়েছেন আবার বাংলাদেশের কাছে প্লেনও বিক্রি করে দিয়ে গিয়েছেন। সবকিছু নিয়ে খুশি থাকলেও একটা ব্যাপার নিয়ে একটু হতাশ মাখোঁ ভাই, শিঙারার পাশাপাশি ছা-ছপ পেলে তার বাংলাদেশ সফর পূর্ণতা পেতো বলে জানিয়েছেন তিনি।
eআরকি: মাখোঁ ভাই আপনি তো দেখলাম সেই ফুর্তি করে গেলেন আমাদের দেশে।
মাখোঁ: জীবনটাই তো ফুর্তির, আমার খুব ভালো লেগেছে আপনাদের দেশে এসে। আসার আগে ভয়ে ভয়ে ছিলাম লোকজন না আমাকে আবার বয়কটের নামে মারধোর দিয়ে বসে, কিন্তু এসে দেখি এখানে পরিবেশটা খুব সুন্দর।
eআরকি: আপনাকে দেখলাম খুব আয়েশ করে শিঙারা খাচ্ছেন, কেমন লাগলো আমাদের দেশের শিঙারা?
মাখোঁ: কুব ট্যাশ, এমন দারুণ খাবার আগে কখনোই খাইনি, তবে এর সাথে ঢাবির সা-সপ খেতে পারলে বেশ হতো। শুনেছি সেখানকার ছা-ছপ-শিঙারা নাকি জগৎবিখ্যাত।
eআরকি: চিন্তা করবেন না ভাই, আপনার জন্য ছা-ছপ ফ্রান্সে পাঠানোর ব্যবস্থা করবো আমরা।
মাখোঁ: থ্যাংকস ব্রো, খুব উপকার হইলো।
eআরকি: আপনাদের দেশে নির্বাচন কবে? কী ভাবছেন এবারের নির্বাচন নিয়ে?
মাখোঁ: এগুলা গুপন কথা এইভাবে সব বলা ঠিক হবে না। তবে প্ল্যান আছে আপনাদের দেশ থেকে রাতের ভোটার ইম্পোর্ট করব। প্লেনের বিনিময়ে ভোটার হে হে, খুব একটা খারাপ ডিল না কী বলেন? ও হ্যাঁ, পাশাপাশি কিছু সহমত ভাইও আমদানি করার ইচ্ছা আছে। ফ্রান্সের লোকজন খুব বেয়াদপ হয়ে যাচ্ছে। ওদের টাইট দেওয়ার জন্য একদম হেলমেট হকিস্টিকে সুসজ্জিত কিছু সহমত ভাইকে স্যাম্পল হিসেবে সঙ্গে করেই নিয়ে যাচ্ছি।
eআরকি: বাংলাদেশ থেকে কী বাংলা কিছু শিখতে পেরেছেন?
মাখোঁ: হ্যাঁ অবশ্যই! এখানে আসার পর সবাই দেখি আমাকে পিও ভাই, পিও অভিভাবক বলে ডাকছেন। পরে জানতে পারলাম এভাবে নাকি এখানে নেতাদের সম্মান জানাতে হয়। দেশে ফিরে এবার আমার মন্ত্রীগুলোকে এই শব্দগুলো শেখানোর ইচ্ছা আছে।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন