ফুটবল ১১ জনের খেলা হলেও দলটা যখন আর্জেন্টিনা তখন দলের সব ভার যেন একজনের কাঁধেই যেয়ে পড়ে। অথচ বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে অদ্ভুত রকমের নিস্প্রভ ছিলেন সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র হওয়া প্রথম ম্যাচে মেসিকে দেখে মনে হয়েছিল যেন তিনি নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনা পুরো দলের সাথে সাথে মেসিও যেন ছিলেন চূড়ান্ত নিস্প্রভ।
অথচ বাঁচা মরার তৃতীয় ম্যাচে মেসি যেন নিজেকে অনেকটা স্বরূপে ফিরিয়ে আনলেন। ম্যাচের ১৪ মিনিটেই বানেগার বাড়ানো বল অসাধারণ দক্ষতায় রিসিভ করে ডান পা দিয়ে বল পাঠিয়ে দেন নির্ধারিত ঠিকানায়। শুধু যে মেসি একাই ভালো খেলেছিলেন তাই না, পুরো দলকে যেন উজ্জীবিত করছিলেন প্রতি মুহূর্তে। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামার আগে দেখা যায় মেসি দলের বাকি খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করছেন। এমনকি নাইজেরিয়া যখন ম্যাচ সমতায় নিয়ে যায় তখনো মেসি এবং তার দল একেবারেই ভেঙে পড়েনি। বরং ম্যাচের শেষ দিকে রোহো আরেকটি গোল করে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করেন।
পুরো ম্যাচে মেসির সত্যিকারের রূপে আবির্ভূত হওয়ার পিছনে নানান রকম কারণ থাকলেও একেবারে অন্যরকম একটি বিষয় বেশ সাড়া ফেলেছে। নাইজেরিয়া ম্যাচ শেষে মাঠ থেকে বের হওয়ার সময় এক সাংবাদিক মেসিকে হুট করে জিজ্ঞেস করে বসেন ‘আমি আপনাকে প্রথম ম্যাচের আমার মায়ের দেয়া যে অ্যামুলেট দিয়েছিলাম সেটা কি রেখেছেন নাকি ফেলে দিয়েছেন?’ মেসি স্রেফ বাঁ পা তুলে মোজা নামিয়ে দেখিয়ে দেন পায়ে পরে থাকা অ্যামুলেটটি।
বিশ্বাস করা হয়, অ্যামুলেট এমন একটা কিছু যা একজন মানুষকে ব্ল্যাক ম্যাজিক কিংবা অভিশাপ থেকে রক্ষা করে। অথবা অ্যামুলেট পরে থাকা ব্যক্তিটি খুব অসাধারণ কিছু করে ফেলতে পারবে। অনেকটা আমাদের দেশে প্রচলিত তাবিজের মতই। প্রথম দুই ম্যাচে জয় না পাওয়া আর্জেন্টিনা কি তবে এই আমুলেট তথা মেসির পায়ের উপর ভর করে বিশ্বকাপে আরও অনেক দূর চলে যায় কি না, তা দেখার অপেক্ষায় নিশ্চয়ই থাকবেন সবাই!
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন