জামাল বললেন, আমিও বাড়ি খুঁজতে যাই। ওদুদ বললেন, জামালের সঙ্গে আমিও যাই।
খোকা বললেন, চলো, তিনজন বের হই। আমি এক রাস্তায় হাঁটি। তোমরা দুজন আরেক রাস্তায় হাঁটো।
একটা রাত ভুতুড়ে বাড়িতে কেটেছে। সবাই মেঝেতে শুয়ে কোনোরকমে রাতটা কাটিয়েছে। বিছানা-বালিশের তো ঠিকঠিকানা নাইই, মশারির তো প্রশ্নই আসে না। বাচ্চাদেরও খাওয়া হয়নি। রাসেলের জন্য হলেও খাবার কিনতে সকাল সকাল বেরিয়েছিলেন খোকা আর ওদুদ। কারফিউ প্রত্যাহার করার সঙ্গে সঙ্গে তারা বেরিয়ে গেছেন খাবারের সন্ধানে। এ ধরনের পরিস্থিতি সামলানোতে রেনুর জুড়ি নেই। তিনি এরই মধ্যে চাল-ডাল বসিয়ে খিচুড়ি বেঁধে ডিম ভেজে তুলে দিলেন সবার হাতে হাতে। কেউবা খেল সসপ্যানে, কেউবা হাঁড়ি থেকে তুলে নিয়েই সরাসরি চালান করতে লাগল মুখে। রেহানা বললেন, মা, খিচুড়িটা খুব টেস্টি হয়েছে।
খুঁজতে বেরিয়ে বাড়ি পেলেন মুমিনুল হক খোকাই। ঘর্মাক্ত কলেবরে পলির শ্বশুরবাড়িতে এসে বললেন, ভাবি। বাড়ি পাওয়া গেছে? রেনু এগিয়ে এলেন। রেহানাও কাছে দাঁড়ালেন। রেহানা বললেন, কোথায় পেলেন, কাকু?
এই তো চৌধুরীপাড়াতেই। গোলচত্বরের কাছে। ফ্ল্যাটবাড়ি। বাড়িওয়ালি তো আমার আগের পরিচিত। কমলাপুর জাহাজবাড়ির মালিক। ওদের বাড়িতে আগে তো আমি ভাড়া থাকতাম।
বাসা ভালো? রেনু বললেন।
হ্যাঁ। ভালো। চলেন দেখে আসি।
তুই দেখেছিস। তোর পছন্দ হয়েছে। আর দেখতে হবে না নে। ভাড়া কত?
পাঁচ শ টাকা।
এত টাকা কই পাব?
ভাবি। আমি তো আছি, ভাবি। মিয়া ভাই আমাকে বলে গেছেন, আপনাদের দায়িত্ব আমার।
অগ্রিম দিতে হবে?
না। এক মাসের ভাড়া দিয়ে এসেছি।
চল, তাহলে উঠে যাই।
পলির শাশুড়ি দিলেন চাদর। কিছু হাঁড়িকুঁড়িও দিয়ে দিলেন। খোকার গাড়ি করে রেনু, জামাল, রেহানা, রাসেল উঠলেন নতুন বাসায়। বাসাটা বড়সড়। বেশ পছন্দই হলো রেনুর। খোকার বাড়িতে ফরিদ নামের একজন গৃহপরিচারক ছিলেন, দেখতে একেবারে চীনাদের মতো, সবাই তাকে ডাকত টুংফুং বলে, তাকে বলাই হয়েছিল, বাসা পেলে চলে এসো। সে চলে এল। সঙ্গে এল কাজের ছেলে আবদুলও। চুপচাপ তারা নতুন বাড়িতে উঠলেন। যেন কেউ টের না পায় কোন ভাড়াটে এসে উঠেছে এখানে। আবদুল গেল কলাবাগান। রেহানাদের ফুফুর বাড়িতে। রেনুই পাঠিয়েছেন তাকে। যা তো খবর নিয়ে আয় ডলি, রোজী, ওরা কেমন আছে। লিলি কেমন আছে।
কলাবাগানে বঙ্গবন্ধুর বোন লিলির বাড়ি এসে আবদুলের চোখ ছানাবড়া। আবদুর রহমান রমা, বঙ্গবন্ধুর বাড়ির কাজের লোক, যাকে কিনা ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তারের সময়ে মিলিটারিরা ধরে নিয়ে যায়, সে এই বাড়িতে! লিলি যখন শুনলেন, রেনু ভাবি বাড়ি পেয়ে গেছেন, তখন তার দুই মেয়ে ডলি আর রোজীকে পাঠিয়ে দিলেন সেই বাড়িতে। কারণ, ৩২ নম্বরের খুব কাছের এই বাড়িটি যে শেখ সাহেবের বোনের, সেটা সবারই জানা। এই বাড়িতে দুই তরুণীকে রাখা মোটেও নিরাপদ নয়।
৩২ নম্বরের আরেক পরিচারক, ২৫ মার্চ রাতে মিলিটারির হাতে ধরা পড়া রমা এল চৌধুরীপাড়ার বাড়িতে। সবাই তাকে ঘিরে ধরলেন।রমা, কী খবর? আব্বা কোথায়? রেহানা জিজ্ঞেস করলেন।
সাহেবকে তো আমাদের সাথে একটা স্কুলে রাখছিল।
তোমরা আব্বাকে দেখলা কীভাবে?
সাহেব বাথরুমে যাচ্ছিল। তখন বুড়ি চিৎকার করে ওঠে তাকে দেখে। আমরাও দেখি। স্যার তখন ইংরেজিতে অনেক গালি দিল। আমাকে এনেছ, এনেছ, এদেরকে কেন এনেছ। তখন আমাদেরকে ছেড়ে দেয়।
কত তারিখে ছাড়ে?
তিন রাইত আছিলাম তো ওইখানে।কেমনে ছাড়ল?
আমাদেরকে ট্রাকে তুলে আইয়ুব গেটের কাছে নামায় দিয়ে গাড়ি চইলা যায়!
আব্বা এখন কোথায় জানো?
না তো জানি না।
আব্বা বেঁচে আছে, মা, আব্বা বেঁচে আছে। কাঁদতে কাঁদতে রেহানা জড়িয়ে ধরলেন মাকে। রেনু চোখ মুছতে লাগলেন আঁচল দিয়ে। বললেন, আজিজ কই?
আজিজ মিয়া যে কই গেল, জানি না। রমা বলল।
আম্বিয়ার মা কোথায়?
অর মাইয়াদের লগে কলাবাগানে গিয়া উঠছে।
টুংফুং (ফরিদ, বয়স ১৭) একটা আস্ত হাঁস নিয়ে এসেছে। তাকে পাঠানো হয়েছিল চাল-ডাল কিনতে। এরই মধ্যে রব উঠল মিলিটারি আসছে। বারান্দায় দাঁড়িয়ে রেনু দেখতে পেলেন, লোকজন ছুটে গ্রামের দিকে যাচ্ছে। খিলগাঁও, মালিবাগ, চৌধুরীপাড়া এলাকাটা আধা শহর, আধা গ্রাম। তারপরও মানুষ আরও গ্রামের দিকে ছুটছে।
রেনু ভয় পেয়ে গেলেন। ফরিদ বাইরে। না জানি কী হয়।
খানিক পরে ফরিদ এল। খোকার শাশুড়ি মাওইমা তো বলেই দিয়েছিলেন, ও চটপটে। ওকে নিয়ে যাও। আসলেই ছেলে চটপটে। চাল ডাল তো কিনে এনেছে। আবার লোকেরা যখন পালাচ্ছিল, একজনের হাতে ছিল হাঁস। সে দুই টাকা দিয়ে সেই হাঁস কিনে এনেছে।
রাসেল বলল, মা, হাঁস পুষব।
রেনু বললেন, বাবা! হাঁস পুষতে তো পানি লাগবে। আমাদের ৩২ নম্বরের বাসায় কত হাঁস ছিল! আবদুল তো হাঁস-মুরগিগুলোর খাঁচা খুলে দিছিল। গরুগুলোর দড়ি খুলে দিছিল। জানি না, সেগুলো বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে।
রাসেল বলল, বাথরুমে বালতিতে পানি ভরব। তার মধ্যে হাঁসটাকে রাখব!
রেনু বললেন, এত বড় হাঁস, বালতির পানিতে থাকবে কী করে?
এই বাড়িতে এখন মমিনুল হক খোকার বউ মমতাজও এসে গেছেন। তাঁর সঙ্গে ছোট্ট বাচ্চা, পুতুল। আর আছে ছোট্ট দুই খোকা টিটো আর সাব্বির। লিলির মেয়ে ডলি আর রোজী আছে। হাসিনা আর ওয়াজেদের ওখান থেকে চলে এসেছে জেলিও।
রেনু দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। হাসুর এখন শরীরের দিকে যত্ন নেওয়া দরকার। বিশ্রাম দরকার। মন ভালো রাখা দরকার। অথচ একা একা মেয়েটা মানুষের বাসায় আশ্রিতের মতো না জানি কত কষ্ট করেই আছে। যাক, তবু তো বেঁচে আছে। কিন্তু কামালের যে কোনো খবর নেই। কামাল ভালো আছে তো!
হাসুর আব্বাই-বা কোথায় আছেন? রমার কাছ থেকে জানা গেল, বেঁচে ছিলেন। ক্যান্টনমেন্টে রেখেছে।
এই বাসায় কবে যে মিলিটারি হামলা করে ঠিক নেই। সারা রাত রেনু আর মমতাজ জেগে থাকেন। বারান্দায় উঁকি দিয়ে দেখেন। মিলিটারি এল কি না। জামাল আর খোকা বাড়ির পেছনের বারান্দা পরখ করে রেখেছে। একটা গাছ আছে। পানির পাইপ আছে। দিব্যি পাইপ বেয়ে নামা যাবে। মিলিটারি এলে ওরা দুজন পাইপ বেয়ে নেমে পালিয়ে যাবে।
চারদিক থেকে শুধু খারাপ খবর আসে। মানুষ মেরে ওরা রাস্তার ধারে ফেলে রেখেছে। বাসভর্তি মানুষকে বাস থেকে নামিয়ে লাইন ধরে গুলি করে মেরেছে। তবে আকাশবাণী থেকে, বিবিসি থেকে ভালো সংবাদও আসে। চট্টগ্রাম এখনো মুক্ত। কুষ্টিয়া মুক্ত। বগুড়া মুক্ত। ওখানকার মুক্তিবাহিনী। ভালো লড়াই করছে।
বিকেলবেলা রেহানা দাঁড়িয়ে আছেন বারান্দায়। মা তখনো রান্নাঘরে। এতগুলো মানুষের খাওয়া কেবল শেষ হলো। সবকিছু গোছগাছ করতে তিনি সাহায্য করছেন আবদুলদের। বাসার সামনে একটা আমগাছ। গাছটা দোতলা পর্যন্ত উঠে এসেছে। আমের ছোট ছোট গুটি এসেছে গাছে। যা সুন্দর লাগছে। দেখতে। দুই দিন আগের বৃষ্টিতে পাতাগুলো ধোয়া হয়ে গেছে। পাতাগুলো সবুজ আর বেশ পুষ্ট দেখাচ্ছে।
বাড়ির সামনে একটা মোটরসাইকেল এসে দাঁড়াল। দুজন আরোহী তাতে। তরুণ বয়সী বলেই মনে হয়। একজন তাঁদের বাড়ির সামনেই থাকলেন। আরেকজন মোটরবাইকটা নিয়ে রাস্তার উল্টো পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন।
রেহানার গভীর সন্দেহ হচ্ছে। এই দুজন কারা? কেন তারা এই বাড়ির সামনেই এসে দাঁড়াল?
একটু পরে রঙিন জামা পরা, মাথার মধ্যখানে সিঁথি, দাড়িগোঁফবিহীন। ছেলেটা এসে ঢুকে পড়ল বাসায়। তারপর সোজা চলে গেল রেনুর কাছে। মা বলে জড়িয়ে ধরল তাঁকে।
মা ডুকরে কেঁদে উঠলেন, কামাল, কই ছিলি বাবা এত দিন?
কামাল আস্তে আস্তে মুখ খুললেন। একটা সুইডিশ ফ্যামিলির সাথে ছিলাম। গোঁফ তো আগেই কেটেছি। হেয়ারস্টাইলও বদলে ফেলেছি। দেখছ না কেমন লাল ফুলওয়ালা জামা পরেছি। যাতে কেউ চিনতে না পারে।
রেহানা বললেন, আমিই তো চিনতে পারি নাই। কামাল ভাই, মোটরসাইকেল চালাচ্ছে কে?
তারেক।
রেনু বললেন, তারেককে ওপরে ডেকে নিয়ে আয়।
তারেক এলেন। দেখা করে বিদায় নিয়ে চলে গেলেন। মা ছেলের জন্য ভাত বাড়লেন। কামাল আস্তে আস্তে ভাত খাচ্ছেন। রেহানাও পাশে দাঁড়িয়ে আছেন।
কামাল খোকা কাকুর গাড়ি নিয়ে বের হলেন। সবাই খুব উদ্বিগ্ন। রেনু বারবার করে বলতে লাগলেন, ভাইডি, কাজটা কি তুই ঠিক করলি? অরে গাড়ির চাবি দিলি ক্যান?
ও চাইলে আমি না করি কী করে?
এখন সেই যে গেল। আসতেছি বলে গেল। আসে না তো। রাস্তায় মিলিটারি চেকপোস্ট। চেক করলেই তো ওকে ধরে ফেলবে।
সবার চোখেমুখে উদ্বেগের ছায়া এসে ভর করল। রেহানা বারান্দায় কামাল ভাইয়ের পথ চেয়ে তাকিয়ে রইলেন। কোনো গাড়ি যদি এদিকটায় আসে, তাহলে তো চোখে পড়বেই। জামালও উদ্বিগ্ন। কামাল ভাই যে কী করে না? গাড়ি নিয়ে যাওয়ার দরকার কী! জামাল বললেন।
সন্ধ্যার দিকে কামাল ফিরলেন। বললেন, আমি চলে যাব মা।
কই যাবি?
আপাতত টুঙ্গিপাড়া যাব। ঢাকায় থাকা একদম নিরাপদ নয়।
মা বললেন, আচ্ছা যা।
কামাল বললেন, রেহানা, ওই ব্যাগটা আন। খোল। দ্যাখ ভিতরে একটা টু ইন ওয়ান আছে। আমার হোস্ট ফ্যামিলি আমাকে গিফট করেছে। এটা তুই রাখ। দেশ-বিদেশের খবর শুনতে পারবি। গানও শুনতে পারবি। আর শোন, পাকিস্তানি মিলিটারি যদি আসে, খবরদার ধরা দিবি না। হয় পালিয়ে যাবি, না হলে মারা যাবি।
রেনু বললেন, এগুলো কী ধরনের কথা?
কামাল বললেন, যা রিয়েল, তাই বললাম। পাকিস্তানি সৈন্যরা তো মানুষ না, পশু।
কামাল বেরিয়ে পড়লেন। লঞ্চ ধরতে হবে। সদরঘাট যেতে হবে। নিচে তারেক দাঁড়িয়ে আছেন মোটরসাইকেলসমেত।রেহানার ইচ্ছা হলো, নিচে গিয়ে ভাইকে বিদায় দিয়ে আসেন। কিন্তু সম্ভব নয়। তারা এখানে আছেন নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে। পাড়া প্রতিবেশীকে তাঁরা জানাতে চান না নিজেদের পরিচয়।
সবাই বারান্দায় এসে দাঁড়ালেন। হেডলাইট জ্বালিয়ে ভটভট শব্দ তুলে কামালকে পেছনে তুলে নিয়ে তারেকের মোটরবাইক অদৃশ্য হয়ে গেল।
রেনু বারান্দায় দাঁড়িয়ে রইলেন কিছুক্ষণ।
পরের দিন বাড়িতে এলেন কয়েকজন মহিলা। তাঁরা বললেন, আমরা এসেছি আশপাশের বাসা থেকে।
তাঁরা রেনুকে বললেন, আপনারা নাকি শেখ সাহেবের আত্মীয়।
সবাই চুপ করে আছেন। কী বলবেন এই প্রশ্নের উত্তরে।
কালকে নাকি শেখ সাহেবের ছেলে কামাল এই বাড়িতে এসেছিল? আপনারা আপা প্লিজ এই বাড়ি ছেড়ে চলে যান। জানেনই তো ৩২ নম্বরের বাড়িতে মিলিটারিরা হামলা চালিয়েছে। শেখ সাহেব চলে যাওয়ার পরও মিলিটারি গিয়ে পুরা বাড়িতে গুলি করেছে। জিনিসপত্র তছনছ করেছে। আপনারা এই বাড়িতে আছেন জানলে এই বাড়িতেও কামান দাগাবে। আপনারা চলে যান প্লিজ।
রেনু বললেন, আচ্ছা, একটা দিন সময় অন্তত দেন।
এরই মধ্যে রেহানার ছোট ফুফু খবর পাঠালেন, তিনি গ্রামের বাড়ি চলে যাবেন। রেনু বললেন, তাহলে জেলি,রোজী, ডলি এদেরকেও নিয়ে যা। ঘরে মেয়েদের রাখা বড়ই বিপদের কথা।
খোকাকে বললেন, ভাইডি, ওদের একটু সদরঘাট পৌঁছায়ে দাও না।
ভাবির কথা খোকার জন্যে অলঙ্ঘনীয় হুকুম। কী সর্বনাশের কথা! সদরঘাটের রাস্তায় গাড়ি নিয়ে গেলে রক্ষা আছে? তবু আল্লাহর নাম নিয়ে খোকা বের হলেন জেলি, রোজী, ডলি, তাদের মাকে নিয়ে সদরঘাটের দিকে।
আরেকটা বাড়ি খুঁজে বের করতে হবে। একটা সমাধান আপনাপনিই পাওয়া গেল। বদরুন্নেসা আর নূরুদ্দিন ভারত চলে গেছেন। তাঁদের মগবাজারের বাড়ির চাবি রেখে গেছেন। খবর দিয়েছেন, মুজিব ভাই নেই, এই দুঃসময়ে বাসা ভাড়া করে থাকার দরকার কী। আমাদের মগবাজারের বাড়িতে থাকুন।
এত দিন ওই বাড়ির কথা রেনু ভাবতে চাননি, বাড়িটা একেবারে বড় রাস্তার ওপরে। ১ নম্বর সার্কুলার রোড। এখন আর উপায় কী?
তারা গিয়ে মগবাজারের বাড়িতেই উঠলেন।
ব্যাঙ্গমা বলে, এই ছিল তাগো বরাতে।
ব্যাঙ্গমি বলে, ২৫ মার্চ রাত থাইকা তারা কয়টা বাড়িতে গেলেন? ১. ডা. সামাদের বাড়ি. ২. মোরশেদের বাড়ি. ৩. ক্যাপ্টেন রহমানের বাড়ি ৪. মগবাজারের ইঞ্জিনিয়ার আলী সাহেবের বাড়ি। ৫. বলধা গার্ডেনে খোকার শ্বশুরবাড়ি ৬. খিলগাঁও পলির শ্বশুরবাড়ি ৭. চৌধুরীপাড়ার ভাড়া বাড়ি ৮. মগবাজারের ১ নম্বর সার্কুলার রোডের বাড়ি।
ব্যাঙ্গমা বলে, এইটাই শেষ নয়।
ব্যাঙ্গমি বলে, হ। এইটাই শেষ নয়। সেই গল্পে আমরা পরে আসতাছি…
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন