আলাল-দুলাল পাদুকা বিতানে বিক্রয় প্রতিনিধি
সুখের কর্মজীবনে সহসা বিরূপ হইল বিধি।
ব্যবসা মন্দ, দোকান বন্ধ, চাকুরিটা বুঝি যায়!
মালিক ডাকিয়া কহিল, 'বাছারা শোনো মোর অভিপ্রায়
দূর দেশে যাও, নূতন বাজার আনিও তালাশ করি
নচেৎ নদীতে ডুবিয়া মরিতে খুঁজিও কলসি-দড়ি।'
আলাল দুলাল স্যুটেড-বুটেড হ'য়ে পরিপাটি বেশে
সপ্তাহখানেক ঘুরিয়া ঘুরিয়া পৌঁছিল দূর দেশে।
আজব দেশটি দেখিয়া দুজনা পড়িল আকাশ হইতে
এ-রূপ দেশের তথ্য তাহারা পড়ে নাই কোনো বইতে।
হাজারে বিজারে মানুষ হাজির হাটে মাঠে পথে ঘাটে
পাদুকা-বিহীন ধূসর ধুলিতে নাঙ্গা পায়ে সবে হাঁটে।
মালিক সকাশে বিরস বদনে আলাল লিখিল পত্র
'আজব দেশে আসিয়া হেথায় ভ্রমিয়া যত্র-তত্র
দেখিনু জুতার নাহি প্রচলন ক্রেতার সংখ্যা শূন্য
হেথায় বৃথাই দোকান খুলিয়া ব্যবসা হইবে ক্ষুন্ন।'
অন্যদিকে দুলাল লিখিল, 'বিপুল সম্ভাবনা!
একটিও নাই পাদুকা বিপণি, ক্রেতাও লক্ষজনা।
অতি সত্বর জাহাজ ভরিয়া পাদুকা পাঠানো হোক
হৃষ্টচিত্তে পরিয়া ঘুরিবে আজব দেশের লোক।'
আনন্দিত মালিক পাঠাল লক্ষ জোড়ায় জুতো,
দুলাল পাইল পদোন্নতি, আলাল চাকরিচ্যুত!
মোরাল অব দ্য গল্প যথাপি বুঝিলাম নির্ভুল
আশা-নিরাশা এপিঠ-ওপিঠ, দৃষ্টিভঙ্গিই মূল।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন