সুইজারল্যান্ড প্রবাসী সমিতির সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি ও কারচুপির অভিযোগ ঘিরে উত্তাল নেটিজেন মহল। বিপুল ভোটে এগিয়ে থাকা জনপ্রিয় প্রার্থী ডাবল কামরুজ্জামানকে বাদ দিয়ে সবচেয়ে কম ভোট পাওয়া প্রার্থী জাকারিয়া এম চৌধুরিকে সভাপতি ঘোষণা করায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।
একটি ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার ছেলে সজীব ওয়াজেদের সঙ্গে ফোনালাপে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শোনা যায়। তিনি বলেন, আমি হাসিনা খেলি বা না খেলি, সব সময় মাঠে থাকি। আমার অবর্তমানে এমন কারচুপি কীভাবে হলো? ওদের কি ডর-ভয় নাই? সুষ্ঠু নির্বাচন করতে শিখতে চাইলে ওরা আমার কাছ থেকে শিখতে পারত। আমি নিশ্চিত, এখানে ইউসুফ সরকারের হাত আছে।
এই ঘটনায় নেটিজেনরা ক্ষোভ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। অনেকে মনে করছেন, ডাবল কামরুজ্জামানের ৮৪% ভোট পেয়েও হারানোই প্রমাণ করে যে নির্বাচনে চরম কারচুপি হয়েছে। এ ধরনের নির্বাচনকে প্রহসন বলে আখ্যায়িত করেছেন অনেকেই।
নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরপরই সমিতির নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অনলাইনে জনরোষ দেখা দেয়। কমিশনের সদস্যদের টাকা খেয়ে কারচুপি করার অভিযোগ উঠেছে। কেউ কেউ বলছেন, শেখ হাসিনা দেশে নাই তাই প্রহসনের নির্বাচন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।
ডাবল কামরুজ্জামানের সমর্থকরা এই নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন এবং সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন। এমন একটি ঘটনায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে হতাশা এবং ক্ষোভ দেখা দিয়েছে, যা সুইজারল্যান্ডের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে বিভাজন তৈরি করেছে।
নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তারা আমাদের জানিয়েছেন, নির্বাচনে যে সব সময় বেশি ভোট পাওয়া ব্যক্তিকে নির্বাচিত করতে হবে এমন কোনো কথা আছে? আমরা সুইজ্যারল্যান্ড প্রবাসী, আমরা আধুনিক নির্বাচন করি, আমরা সব সময় চাই নিপীড়িত ও নিগৃহীত মানুষরা সামনে এগিয়ে আসবে।