লজ্জাতে যাই মরি-- উপাচার্যের হাতে ছিলো লম্বা একটা দড়ি। দড়িটা খুব মোটাসোটা দড়িটা নয় সরু সেই দড়িতে বাঁধার কথা গরু। গরুর খোঁজে উপাচার্য গলদঘর্ম হয় ক্যাম্পাসে ভাই গরু পাওয়া এত্তো সহজ নয়! হেথায় খোঁজেন হোথায় খোঁজেন, যায় না গরু পাওয়া। স্যারের হাতে দড়ি দেখে গরুরা সব হাওয়া! গরুর খোঁজে টিএসসিতে এলেন মহাশয় হেথায় নাকি পোলাপানের যাত্রাপালা হয়। মুক্তবুদ্ধি মুক্তচিন্তা চর্চা করে ওরা প্রতিবাদে প্রতিরোধে সব নষ্টের গোড়া। মাইক্রোফোনে বক্তৃতা দেয় বিকট শব্দ দুষণ সেসব বন্ধ করার জন্যে এলেন কাব্যভূষণ। চারুকলায় হাবিজাবি মুখোশ-টুখোশ আঁকে ক্যারিকেচার করার জন্যে তক্কে তক্কে থাকে। পহেলা বৈশাখের র্যালি ওখান থেকেই হয় গদি এবং দধির জন্যে মোটেও শুভ নয়! বিশাল জনস্রোত বয়ে যায় নববর্ষের নামে এত্তো মানুষ! এত্তো মানুষ! ডাইনে এবং বামে! হাজার মানুষ লক্ষ মানুষ শহিদ মিনার ঘিরে হট্টগোলের বাজার বানায় এই ক্যাম্পাসটিরে। গোদের ওপর বিষফোঁড়াটা বাংলা একাডেমি সেইটা ঘিরেও জলসা করে বাংলাভাষাপ্রেমী! ফেব্রুয়ারির বইমেলাতে এত্তো মানুষ আসে! রীতিমতো মাছের বাজার পবিত্র ক্যাম্পাসে! এসব বন্ধ করতে হবে চাইলে নিরাপত্তা গরু খোঁজা করতে করতে উপাচার্য কত্তা-- সমাধানের মন্ত্র পেলেন, স্বপ্নে পেলেন, দৈবে-- ক্যাম্পাসে আসিতে হইলে পাস দেখাতে হইবে... গরুর খোঁজে উপাচার্যের হায় কী করুণ দশাই ক্যাম্পাসটাই বেঁধে ফেল্লেন উপাচার্য মশাই... (গোটাকয়েক গরু ছিলো উপাচার্যের কক্ষে! এইটুকু যা রক্ষে।)
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন