প্রতিবেশি হিসেবে শুধু পাশের বাড়িতে থাকলেই হয় না। রয়েছে প্রতিবেশি হিসেবে নানা শিষ্টাচার, নানাবিধ দায়িত্ব-কর্তব্য। কী সেইসব আচার-ব্যবহার-কর্তব্য? জানাচ্ছেন আমাদের প্রতিবেশী স্পেশালিস্ট জেবা তাহসিন।
পাশের বাসার আন্টি হিসেবে: আপনার কাছে অবশ্যই একটি নোটবুক থাকতে হবে। যেখানে আপনি নোট করবেন পাশের বাসার মেয়ের কোন ছেলের সাথে প্রেম, মেয়েটা ওড়না পরে বের হয়েছে কিনা, রাতে কয়টায় বাড়ি ফিরেছে। পাশের বাসার ছেলে জিপিএ ফাইভ পেল কিনা অথবা বিসিএস দিয়েছে কিনা। সবই থাকতে হবে আপনার নখদর্পনে।
পাশের বাসার রকস্টার ছেলে হিসেবে: নিজেকে রকস্টার প্রমাণ করতে বড় বড় সাউন্ড বক্স কিনে পাশের বাসার জানালার কাছে লাগান। এরপর রাত দিন হেভিমেটাল কিংবা মমতাজের 'বুকটা ফাইট্ট যায়' গান বাজাতে থাকুন।
ফ্লার্ট করা মেয়ে হিসেবে: যদি পাশের বাসায় সরকারি চাকুরে ছেলে থাকে, পৌষমাস এখন আপনার! ধুমিয়ে ফ্লার্ট করুন, পাইলে পাইতে পারেন সোনার ডিমপাড়া সরকারি চাকুরে ছেলে। এক্ষেত্রে ছেলের চেহারা-সুরত এতোটা বিবেচ্য নয়।
ব্যালকনি বা জানালা দিয়ে ময়লা ফেলে: কলা খেয়ে কলার খোসা ফেলতে ইচ্ছা না করলে চিন্তা নেই! জানালা দিয়ে দূর অজানায় ছুঁড়ে দিন, পাশের বাসার যেকোনো প্রতিবেশীর মাথায় গিয়ে পড়লে নিজের নিশানা সম্পর্কেও পরিষ্কার ধারণা পেয়ে যাবেন।
পাশের ছাদ থেকে আচার চুরি করে: আচারের মতো একটা লোভনীয় জিনিস কেউ যদি ছাদে শুকাতে দেয়, আপনার কিছু করার নেই। বরং, দায়িত্বশীল প্রতিবেশী হতে যখনই সুযোগ পাবেন আচারের অর্ধেক সাবাড় করে দেবেন।
ঘটকের ভূমিকা পালন করুন: পাশের বাসার উঠতি বয়সী তরুণী ভার্সিটিতে পদার্পণ করেছে? তাহলে আর দেরি না করে এখনই ঘটকের ভূমিকা পালন করুন। আপনার চেনা অচেনা দেশি-বিদেশি সব ছেলেদের প্রোফাইল নিয়ে হাজির হোন মেয়েটির বাড়িতে৷ কম বয়সে বিয়ের গুরুত্ব বোঝাতে মেয়েটির বাড়িতে একমাসের জন্য অবস্থানও নিতে পারেন।
কূটনামির শীর্ষে অবস্থান করুন: প্রতিবেশী হিসেবে আপনার দায়িত্ব হচ্ছে রহিম সাহেবের বাড়ির কথা করিম চৌধুরীর বাড়িতে লাগানো। এর ফলে আপনি ছোট পরিসরে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখছেন ভেবে গর্ববোধ করতে পারেন।