বাংলাদেশের ইসলামিক স্কলারদের মধ্যে প্রজ্ঞা, বুদ্ধিমত্তা, এবং আপসহীন নেতৃত্বের এক উজ্জ্বল প্রতীক হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিত্ব হলেন বিশিষ্ট আলেম মামুনুল হক। তার জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য ও নেতৃত্বে দেশের ইসলামিক সমাজে এসেছে নতুন মাত্রা, নতুন জোশ। অসাধারণ প্রজ্ঞা, তীক্ষ্ণ বিশ্লেষণী ক্ষমতা এবং আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গির মিশেলে তিনি বাংলাদেশকে বিপথগামী সংস্কৃতির হাত থেকে রক্ষা করার লক্ষ্যে অবিরাম কাজ করে চলেছেন।
সম্প্রতি এক বক্তৃতায় তিনি জানিয়েছেন, নারীরা কিছু জিতলেই নাকি তা নিয়ে মানুষ লাফালাফি করে। কিন্তু ছেলেরা অনেক বিশ্বকাপ জিতলেও তা নিয়ে তেমন লাফালাফি চোখে পড়ে না তার। এমন বক্তব্যের পর সম্প্রতি এই বিশিষ্ট ব্যক্তির বাসায় তল্লাশি চালানো হয়। এতে ক্ষিপ্ত হন সুশীলসমাজসহ ধর্মপ্রাণ মানুষেরা। কেউ কেউ বলছেন, কী এমন জিনিস থাকতে পারে এমন খোদাভীরু মানুষের বাসায়? তিনি কি মিডিয়ার লোক যে বাসাভর্তি মদ আর অবৈধ জিনিস থাকবে?
তল্লাশির কারণ জানতে চাইলে তল্লাশি টিমের এক সদস্য বলেন, বিসিবি, বাফুফের ট্রফির শেলফগুলো খালি পড়ে আছে। ওনার বাসা থেকে ছেলেদের জেতা বিশ্বকাপগুলো পেলে শেলফগুলো একটু পূর্ণতা পায়। তাছাড়া ছেলেদের মান-ইজ্জতের প্রশ্নও এর সাথে জড়িত। কাপগুলো পেয়ে গেলে দেশবাসীর মুখে ছুঁড়ে দেওয়া যাবে।
এ ব্যাপারে মামুনুল হক প্রথমে মুখ খুলতে রাজী না হলেও একসময় রাজি হন৷ তিনি বলেন, ছ্যারারা আসলে বিশ্বকাপ অর্জন করছে অনেক। কিন্তু তারা অহংকারী না হওয়ায় তারা শো অফ করতে পছন্দ করে না। এজন্য তারা আমার কাছে জমা রাখত। অনেকবার আমি বলেছি তোমরা নিয়ে যাও এসব, রেখ না আমার কাছে। তাদের কেউই কথা শুনেনি। কই, তাদেরকে নিয়ে তো বাংলাদেশের মানুষের এত লাফঝাঁপ দেখি না... সত্যি কথা হইল ছেরি দেখলেই মানুষ লাফায়। তাও আবার হাফ প্যান্ট পরা ছেরি। জিতা হারা তো উছিলা মাত্র।
তল্লাশি শেষে ছ্যারাদের বিশ্বকাপ পাওয়া না গেলেও মামুনুল হক নিজের ফেক আইডি থেকে আশ্বস্ত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বাসায় না থাকলেও অন্য কোথাও থাকতে পারে। উনি খুঁজে দেখবেন।