শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে এখন উত্তাল ক্যাম্পাস। মুহুর্মুহু স্লগানে প্রকম্পিত চারিদিক। তবে কি অদি এবার ছাড়তে হবে?
সেটা যদি ভিসি না ছাড়তে চান, তাহলে এর জন্য টোটকা আছে হাতের কাছেই। কী সেই টোটকা? দেখে নিন গরম গরম...
১. ওনার দলের শিক্ষক এবং কর্মচারীদের নিয়ে ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং উন্নয়নের পক্ষে শাবিপ্রবি’ নামে নতুন একটি জনমত গড়ে তুলতে পারেন।
২.উক্ত দলটাকে সাথে নিয়ে 'ফরিদ স্যারের গদি সংরক্ষণ পরিষদ' নামে একটি আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেন। তাদের স্লোগান হবে— ‘ভিসি ফরিদের চরিত্র, ফুলের মত পবিত্র’, ‘ভিসি ফরিদের কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’, ‘ভিসি ফরিদ যোগ্য লোক, ভিসি পদটি তারই হোক’ ইত্যাদি ইত্যাদি।
৩. আন্দোলনকারীদের দমাতে হল বন্ধের পাশাপাশি ক্যাম্পাসের যাবতীয় বিদ্যুৎ লাইন, পানির লাইন, গ্যাসের লাইন বন্ধ করে দিতে হবে যাতে ছেলেমেয়েরা কোনোমতেই ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে না পারে।
৪. আশেপাশের সব হোটেল রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা না খেয়ে মরে।
৫. ফেসবুক গ্রুপগুলোতে কিছু পা-চাটা ছাত্রদের দিয়ে নিয়মিত ফেসবুক পোস্ট করাতে হবে। এরা ঘণ্টায় ঘণ্টায় ফেসবুকে পোস্ট করবে যে— কতিপয় বিপথগামী শিক্ষার্থী আন্দোলনের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। হল বন্ধ হয়ে গেছে অথচ এই ছেলেমেয়েগুলো আন্দোলনের নামে চিপায়-চাপায় রাত কাটাচ্ছে, নষ্টামি করছে, গাঁজা খাচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
৬. শিক্ষার্থীদের সিজিপিএ কমিয়ে দেওয়ার ভয় দেখাতে হবে। সার্টিফিকেট আটকে দেওয়ার ভয় দেখাতে হবে।
৭.গদিটাকে 'গুপ্তধন' হিসেবে মাটির নীচে লুকিয়ে রাখতে হবে।
৮. এসবে কাজ না হলে সেগুন গাছের কাঠ দিয়ে নতুন একটি গদি বানিয়ে নিতে হবে, যাতে টান দিলেই গদি ভেঙে পড়ে না যান।
৯. পুলিশবাহিনী এবং হেলমেট বাহিনী নিয়ে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় খুলে নিতে পারেন। তিনি হবেন সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের 'আজীবন উপাচার্য'।
১০. এ বিষয়ে অধিকতর প্রশিক্ষণের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্যের সাথে একটি জুম মিটিং করা যেতে পারে।