সম্প্রতি নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের তোলা মহাকাশের ছবি একইসাথে নাড়া দিয়ে গিয়েছে কঠোর ধর্মান্ধ থেকে শুরু করে শাহবাগের লিবারেলদের, পিও বড় ভাইয়ের শিষ্য সহমত ভাইদের থেকে শুরু করে লালসেলামি বিপ্লবী- প্রত্যেক গোছের মানুষকে। ডামাডোলের এই ফাঁকেতালে জেনে নিতে পারেন জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ নিয়ে কিছু অজানা এবং অপ্রয়োজনীয় তথ্য।
#১
মহাকাশ গবেষকদের কাছে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপটি সোনার মত দামী ঠেকলেও আক্ষরিক অর্থেই টেলিস্কোপটি সোনার মতই দামী। এর প্রত্যেকটি আয়নাই ২৪ ক্যারেট সোনা দিয়ে বাঁধানো।
#২
ছবি তোলার পাশাপাশি চুরিচামারিতেও টেলিস্কোপটি ওস্তাদ। তার তীক্ষ্ম দৃষ্টি ২৪ মাইল দূর থেকেও পয়সা খুঁজে বের করতে পারে, এমনকি ৩৬০ মাইল দূর থেকে লাত্থি মারতে পারে ফুটবলে। আশেপাশে যা কিছুই তার নজরে আটকায়, তুখোড় গতিতে চুরি করে ভেতরে নিয়ে নেয় সে।
#৩
ফেসবুকের কমেন্টবক্সে কাউকে শায়েস্তা করার একটি দূর্দান্ত হুমকি প্রায়ই দিয়ে থাকেন বাংলাদেশিরা- ‘লোহার এক সাইড গরম করে ঠাণ্ডা সাইড ইয়ে* দিয়ে ঢুকিয়ে গরম সাইড বাইরে রেখে দিবো, যাতে কেউ লোহা টেনে বের করতে না পারে..’
এই চমকপ্রদ থিওরিটিই বাংলাদেশি ফেসবুকারদের অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করেছে নাসা। জেমস ওয়েবের একপ্রান্ত তারা রেখেছে সাহারা মরুভূমির ডেথ ভ্যালির চেয়েও গরম, আরেক প্রান্ত অ্যান্টার্কটিকার চেয়েও দুইগুণ বেশি ঠাণ্ডা।
ক্রেডিট ছাড়া এমন চুরিচামারির মানে হয়? অন্তত টেলিস্কোপের গায়ে ক্রেডিট হিসেবে ‘কালেক্টেড’ লিখে দিলেও তো পারতো!
#৪
বিপদে পড়লেই টেলিস্কোপটি চাইলে কাপড়ের মত হাত পা ভাঁজ করে নিজেকে গুটিয়ে ফেলতে পারে। এমনকি চাইলে নিমকহারামের মত মূল শরীর থেকে টেলিস্কোপ অংশটিকে ফেলেও দিতে পারে।
গাদ্দারির কী অসাধারণ উদাহরণ!
তবে সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হলো, মহাবিশ্বের পুরনোতম ছবি দেখিয়ে আমাদের অবাক করে দেওয়া এই টেলিস্কোপটি আর কখনোই ফিরে আসতে পারবে না পৃথিবীতে, নিজের ঘরে। কেননা, ফুয়েল ফুরিয়ে গেলে নতুন ফুয়েল তৈরির উপায় তার জানা নেই। তাই অদূর ভবিষ্যতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপটির জায়গা হবে মহাবিশ্বের কোন এক নির্জন জায়গায়, 'বৃহত্তম মহাকাশীয় কবরস্থান' হিসেবে!
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন