বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল টুর্নামেন্টে স্বাগতিক বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপে ছিল আরব আমিরাত এবং কিরগিজস্তানের সাথে। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ আরব আমিরাতকে ২-০ গোলে হারিয়ে এগিয়েই ছিল। তার উপর কিরগিজস্তানের সাথে আরব আমিরাত হেরে যাওয়ায়, সেমি ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তাই ২৬ এপ্রিল (শুক্রবার) গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ-কিরগিজস্তান মুখোমুখি হয়েছিল গ্রুপ সেরা হওয়ার লড়াইয়ে। বাংলাদেশের মেয়েদের দরকার ছিল ড্র আর কিরগিজস্তানের প্রয়োজন ছিল জয়ের।
তবে দুর্দান্ত ফুটবল খেলতে থাকা বাংলার মেয়েরা ড্রতে কেন খুশি থাকবে? তাই, একেবারে ম্যাচের ২৯ সেকেন্ডেই সানজীদার গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। পরে ম্যাচের ৫৯ মিনিটে কৃষ্ণার গোলে ব্যবধান বাড়ায় বাংলাদেশ৷ পরে কিরগিজস্থান একটি গোল শোধ করলে ম্যাচের স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-১৷ স্কোরলাইন দেখে অবশ্য বাংলাদেশ পুরো মাঠজুড়ে কেমন খেলেছে সেটা পুরোপুরি বোঝা সম্ভব না। একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষকে ব্যতিব্যস্ত রাখা বাংলাদেশের মেয়েরা গোলের সুযোগ ঠিকমত কাজে লাগাতে পারেনি।
ম্যাচসেরা হয়েছেন ২৯ সেকেন্ডে গোল করা এবং পুরো ম্যাচেই ভালো খেলা সানজীদা আক্তার। ম্যাচসেরা হওয়ার পুরস্কার স্বরূপ পেয়েছেন ৫০০ ডলার। এই সানজীদা আক্তার কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটনের সাথে এসেছিলেন সংবাদ সম্মেলনে। কিশোরী সানজীদা বেশ খানিকটা আড়ষ্টই ছিলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন কোচ এবং সানজীদা। এক পর্যায়ে এক সাংবাদিক সানজীদাকে প্রশ্ন করে বসেন, ম্যাচসেরা হয়ে পাওয়া ৫০০ ডলার দিয়ে তিনি কী করবেন? খানিকটা লজ্জা পেয়েই যেন সানজীদা বলে ফেলেন ‘ইয়ে… মানে… একাউন্টে রেখে দিব!’ কথাটি বলেই লজ্জা পেয়ে মুখ লুকিয়ে ফেলেন তিনি। আর উপস্থিত সকলেই হেসে ওঠেন সরল এই উত্তর শুনে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় সানজীদার এই সরল উত্তরটির ভিডিও বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। eআরকির পাঠকদের জন্য থাকছে মজার এই ঘটনাটি।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন