বহু ভাষা প্রচলিত এমন দেশগুলোতে নির্বাচনী প্রচারণার সময় দোভাষী ব্যবহার করা নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে দেশটি যদি হয় ভারত তাহলে দোভাষীর বিকল্প নেই বললেই চলে। বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতের মতো জায়গায় দোভাষীর গুরুত্ব যেকোনো ভারতীয়মাত্রই জানেন। কিন্তু দোভাষী অনুবাদ করতে গিয়ে যদি আপনার মূল বক্তব্য থেকে আলাদা কিছু বলেন তাহলে বেশ বিড়ম্বনাতেই পড়তে হবে। এমন ঘটনাই ঘটেছে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সাথে।
ভারতে চলছে জাতীয় লোকসভা নির্বাচন। ১১ এপ্রিল শুরু হওয়া নির্বাচন শেষ হতে হতে ১৯ মে। এর মাঝেও রাজনৈতিক নেতাদের ব্যস্ত সময় চলছে সভা-সমিতিতে। তামিলনাড়ু প্রদেশে তেমনই এক নির্বাচনী প্রচারণা সমাবেশে রাহুল গান্ধীর দোভাষী বেশ বিড়ম্বনায় ফেলে দেয় তাকে। দোভাষী ভদ্রলোক ইংরেজিতে বেশ কাঁচাই ছিলেন বলতে হবে। প্রায় প্রতিটা কথাই দুবার করে বলার পর ইংরেজি থেকে তামিলে অনুবাদ করছেন আর অর্থ পাল্টে দিচ্ছেন। যেখানে রাহুল গান্ধী বলছেন, 'প্রতি মাসে আমরা ৭২ হাজার রুপি ৫ কোটি ব্যাংক একাউন্টে দিব।' যেখানে অনুবাদক বলেন, 'প্রতি মাসে আমরা ৭২ হাজার কোটি রুপি ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের ব্যাংক একাউন্টে দিব।'
ভুল তথ্যের সাথে কিছু জায়গায় রাহুল গান্ধীর ‘মনের কথা’ও বলে দিয়েছেন দোভাষী! যেমন তিনি বলেছেন, 'আমরা তামিলনাড়ুর জনগণকে সম্মান করি।' অপরদিকে অনুবাদক বলে ফেলেছেন, 'নরেন্দ্র মোদী তামিল মানুষের শত্রু।' আবার রাহুল বলেছেন, 'নরেন্দ্র মোদি সম্পূর্ণ ইন্সুরেন্স সেক্টর তার ব্যবসায়ী বন্ধুদের দিয়ে দিয়েছেন।' সেখানে অনুবাদক বলেছেন, 'নরেন্দ্র মোদির সরকার জনগণের জন্য নয়। বরং তা তার ব্যবসায়ী বন্ধুদের জন্য।' অনুবাদক কূটনৈতিক কথার ধার না ধরে মনের কথাই আসলে বলেছেন! প্রতিপক্ষকে নিয়ে এমন কথা তো নেতারা বলেই থাকেন… সে হিসেবে খুব হয়ত ভুল হয়নি।
একজন নয় একাধিক সময় একাধিক দোভাষীকে নিয়ে এমন বিপাকে পড়েছিলেন রাহুল গান্ধী। অবশ্য দক্ষিণ ভারতে রাজনীতিবিদদের এমন পরিস্থিতিতে সম্মুখীন হওয়ার ঘটনা খুব একটা নতুন না নিশ্চয়ই। অনভিজ্ঞ অনুবাদক রাখার কারণে এক দিকে কংগ্রেসকে নিয়ে যেমন সমালোচনা হয়েছে, তেমনই রাহুল গান্ধীর ধৈর্যের জন্য তার প্রশংসাও করেছেন অনেকে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওর কমেন্টে।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন