পছন্দের খেলনা না পেয়ে আমরা প্রায়ই শিশুদেরকে কাঁদতে দেখেছি। কিন্তু মনোনয়ন না পেয়ে কান্নাকাটি করার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। নিজের সমর্থক ও নানান মোবাইল ক্যামেরার উপস্থিতিতে অঝোরে আর্তনাদ করে কেঁদেছেন নানক, যা বর্ণনায় কান্নার পরিবর্তে 'আহাজারি' শব্দটিও ব্যবহার করেছেন অনেকে। সাংবাদিকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেয়ার সময়ও কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
এ সম্পর্কে আমরা তার সমর্থকদের একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি টিস্যু দিয়ে চোখ মুছে বলেন, 'দেখুন, এই আসনে মনোনয়ন পাওয়া স্যারের রাজনৈতিক অধিকার। ওই আসনে তিনিই মনোনয়ন পাবেন, তাই তো স্বাভাবিক। স্যারের মনোনয়ন না পাওয়া গত বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার বাদ পড়ার চাইতেও বড় আপসেট!'
কেন উনি এত কষ্ট পেলেন? কষ্টের কারণ কি উনার মনোনয়ন না পাওয়া, নাকি ওই এলাকায় উনার 'এন্টি-পার্টি' হিসেবে খ্যাত সাদেক খানের মনোনয়ন লাভ? এ সম্পর্কে জানতে আমরা যোগাযোগ করেছিলাম একজন সাদেক খান সমর্থকদের সঙ্গে। নেতার নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত থাকায় সম্ভবত উনি ফোনটি ধরতে পারেননি। তবে উনার 'ওয়েলকাম টিউন' হিসেবে আমরা জেমসের 'কান্নায় লাভ নেই, কান্নায় হবে না...' গানটি শুনতে পাই।
নানক সাহেবের এই আহাজারি সম্পর্কে আমরা একজন শখের মনোবিজ্ঞানীর কাছে জানতে চাই। কেন এই হতাশা। কেন তিনি এভাবে কান্নায় ভেঙে পড়লেন? তিনি ভিডিওটি দেখে নিজেও বিমর্ষ হয়ে যান। এরপর নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে বলেন, 'তীব্র কষ্ট বা হতাশার সময়ে মানুষ অনেক সময়ই শৈশবে ফিরে যায়। হতে পারে শৈশবে কোনো প্রিয় খেলনা না পাওয়ার স্মৃতি তার মনে পড়ে গেছে। তাই তিনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি।'
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন