পৃথিবীব্যাপী শুরু হয়েছে #MeToo আণ্দোলন। শিশু অবস্থায়, কর্মক্ষেত্রে, বাড়ি, রাস্তায় যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার মেয়েরা তাদের নির্যাতনের বিষয়ে মুখ খুলছে। এই যৌন নির্যাতনের শুরুটা কিন্তু হয় ছোটবেলা থেকেই। বাংলাদেশের পরিসংখ্যানও দেয় ভয়াবহ হিসাব। কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ প্রতিবাদী ফাউন্ডেশন ও সুইডেন এবং ডেনমার্কের ‘সেভ দ্য চিলড্রেন'-এর এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশের ৫০ শতাংশ শিশু, অর্থাৎ প্রতি দু'জনের একজন কোনো না কোনোভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার। এর ৯১ শতাংশ যৌন নির্যাতনই পরিবারের আত্মীয়দের দ্বারা সংগঠিত হয়। শিশুরা সবচেয়ে সহজ টার্গেট ধর্ষকামীদের জন্য। শিশুরা সামাজিক ট্যাবুর কারণে এই বিষয়টি কারও কাছে শেয়ার করতে পারে না, তাই তারা দিনের পর দিন নির্যাতনের শিকার হলেও বাবা-মা বিশ্বাস করবে না, উল্টা বকা দিবে এইসব ভেবে জানানো থেকে বিরত থাকে। অনেক সময় পরিবার বিষয়টি জানলে ‘পরিবারের সম্ভ্রম', কখনও ‘ভবিষ্যত হয়রানির' কথা চিন্তা করে অনেকদিন পর্যন্ত বিষয়গুলো ধাপাচাপা দিয়ে রাখা হয়।
ভারতের চাইল্ড লাইন এই ভিডিওটি তৈরি করেছে অভিভাবক ও শিশুদের সচেতন করে তুলতে। যৌন নির্যাতন লুকিয়ে রাখার বিষয় নয়। এমন কোনো ঘটনা ঘটলে সাথে সাথেই বাবা-মাকে জানাতে হবে। জানাতে হবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। আমাদের বাংলাদেশেও দেশেও রয়েছে ১০৯৮ নাম্বারে ফোন করার সেবা। টোল ফ্রি এই নাম্বারটিতে ফোন করে শিশুরা তাদের নির্যাতনের বিষয়ে জানাতে পারে।
নিজে এই ভিডিও দেখে সচেতন হোন, আপনার শিশুর বন্ধু হোন, তাকেও সচেতন করে তুলুন।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন